ভালোবাসার স্কোর যেখানে শুন্য ২
ভালোবাসার স্কোর যেখানে শুন্য ২
ভালোবাসার স্কোর যেখানে শুন্য
(অথ পেত্নী দর্শন )
"তুমি সুখ যদি নাহি পাও যাও সুখের সন্ধানে যাও আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে, আর কিছু নাহি চাই গো । আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস,
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ মাস ।যদি আর কারে ভালোবাস,যদি আর ফিরে নাহি আস,তবে তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও,আমি যত দুখ পাই গো ।"
চোখের জল যে বাঁধ মানছে না রোদ্দুর ? আমি কষ্ট পাচ্ছি , আমি যেন বিষের জ্বালায় জ্বলছি , না পাওয়ার জ্বালা । আমি রোজ মরি একটু একটু করে । আমায় তুমি মুক্ত করে দাওনা কেন আয়ুশমান ? কেন ?
কন্যা মদের ঘোরে বকেই যাচ্ছে আবোলতাবোল আর রোদ্দুরের হাজার চেষ্টাও ওকে শান্ত করতে পারছে না । কন্যা ভালোবাসে আয়ুশ বলে কাউকে , সে কি মিস্টার আয়ুশমান কাঞ্জিলাল ? উত্তর রোদ্দুরের জানা নেই । ও জানতেও চায় না । ও জানে যে কন্যা এখন রোদ্দুরের শুধুই রোদ্দুরের । হাজার বাধা আসুক রোদ্দুর কন্যাকে হারাবে না কিছুতেই । রবিবার বিকেলে ওদের চার হাত এক হয়ে গেলে কন্যার মাথা থেকে সব ভূত বেরিয়ে যাবে । হয়ত ইন্টিমেশন ওর মাথা থেকে ভূত গুলো তাড়াতে পারে কিন্তু রোদ্দুরের স্বপ্ন ওদের বিয়ের পর ফাস্ট নাইট । ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড রোদ্দুরের কাছে এক প্রকার ট্যাবু ছাড়া আর কিছুই না । কন্যা কলকাতা এসে যেন একটু বেশি আপসেট , আর তাই রোদ্দুরের ইচ্ছা সকাল হলেই ওকে নিয়ে পাঞ্জাব ফিরে যাবে । ডিল না হয় বিয়ের পরই এসে করে যাবে ।
আয়ুশ তারাকে নিয়ে বেডরুমে চলে যায় কিন্তু কেন জানে না ওর মন আজ উথাল পাথাল হচ্ছে ! এম এম এস সমৃদ্ধ লিক করেছিল আর ওর দোষ যদি কিছু ছিল তো এটাই যে ও একবারও সেটা প্রুফ করতে চেষ্টা করেনি কন্যার কাছে । কন্যা সেদিন ওকে বিচ বলায় সাডেন রাগ করে চলে যায় আর আয়ুশ ঝোঁকের মাথায় সামিয়ার সাথে ইন্টিমেট হয়ে পড়ে । যদি কন্যাকে গিয়ে তখন সরি বলত তা হলে কি ক্ষতি হত ? যদি বোঝাতে চাইত যে ও এম এম এস বানাইনি তা হলে কি আজকে দিনটা অন্য রকম হত ? আয়ুশ কিছুই জানে না তবে এটা জানে এখন ওসব পুরোন কাসুন্দি ঘেঁটে কিছু লাভ হবে না । তবে শক্তি কোথায় পালালো ? সমৃদ্ধ কে ডিচ করে পালিয়ে ও ভালোই করেছে এক প্রকার । আর কিছু না হোক আয়ুশ এর বুড়ো বাবা তো বেঁচেছে । কাঞ্জিলাল ঘরে শুয়ে আছে , প্রেসার হাই হয়ে গেছে আর সুগারটাও চর চর করে বেড়ে যাচ্ছে । সকালে ইনসুলিন নিতে হবে । কোথায় কাল সকালে লাল টুকটুকে বউ আসত ঘরে না সব ভণ্ডুল হলো ! কাঞ্জিলাল রাগে জ্বলে যাচ্ছে । একি সামনে কে দাঁড়িয়ে আছে ! ও কি পাগল হয়ে যাচ্চে ! উত্তরা দাঁড়িয়ে আছে সামনে ! সেই লাল পাড়ের তাঁতের শাড়ি , কানে পাশা , গলায় মভ চেন , মাথা ভর্তি সিঁদুর ! উত্তরা ই তো দাঁড়িয়ে আছে ! ওই তো বলছে কি হে বুড়ো মিনসে খুব রস না , মর মর মর তুই ঘাটের মরা রে ! আর পারছে না কাঞ্জিলাল বো বো করে মাথাটা ঘুরছে ওর । আক করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো কাঞ্জিলাল । উত্তরা এবার এগিয়ে গেলো সমৃদ্ধর ঘরের দিকে ।
সমৃদ্ধ পেগ পেগ হইস্কি উড়িয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে আর ভাবছে শক্তি কোথায় গেল ? ওর সাহস কি করে হলো সমৃদ্ধর বিরুদ্ধে যাবার ? এবার কি করে ও পিসির সম্পত্তি নিজের নামে করাবে ? শালা আয়ুশ এর কাছে ও কি কোনদিনই বদলা নিতে পারবে না ?
না পারবি না , তুই পারবি না আমার বাবুকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে , উত্তরা কর্কশ স্বরে বললো । সমৃদ্ধ মুখ তুলে দেখে সামনে দাঁড়িয়ে তার মৃত পিসিমা ! ও বির বির করে বলে মারা মদটা একটু বেশিই খাওয়া হয়ে গেছে মনে হয় । এত লোকের কাছে বাঁশ খেয়ে হচ্ছিল না বাকি ছিল পিসিমা , সেও শালা মরে ভূত হয়ে চলে এসেছে !
এই চ্যামরা ছেলে আমি তোর পিসিমাই বটে কিন্তু আমি ভূত না পেত্নী রে ! তুই ভুলিস কি করে শক্তি এখন আমার হৃদয় নিয়ে বেঁচে আছে । তোর দজ্জাল মুখরা পিসীমার হৃদয় যার মধ্যে আছে সে কি আর তোর মত পোড়ার মুখো বাঁদরের কথায় চলে রে কাদাখোচা ? আমার হৃদয় তোর ওই চেমরি শক্তির মস্তিষ্কের উপর ভারী হয়ে ওঠে আর ও পালায় । নামে শক্তি আর নেই বিন্দুমাত্র শক্তি আ মলো যা ! ভেক দেখে আর বাঁচি না । সমৃদ্ধর ভয়ে হাল খারাপ ওর প্ল্যান্ট ভিজে গেছে তাও ও জানে না । ও শুধুমাত্র একটা কথাই বললো আমি সব আগের মতো করে দেব পিসিমা । আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই ও মূর্ছা গেল ।
চলবে
ভালোবাসার স্কোর যেখানে শুন্য
(অথ মানভঞ্জন )
কাঞ্জিলালের চেতনা এখনো ফেরেনি আর সমৃদ্ধর ফিরলেও তার মাথা যন্ত্রনায় ফেটে যাচ্ছে । সমৃদ্ধ ভাবছে কি করা যায় এখন ? আগে তো প্রাণ তার পর সম্পত্তি ! পেত্নী হয়ে যাওয়া পিসি গলা টিপে মেরে ফেলার আগেই কিছু একটা ব্যবস্থা করতে হবে । আয়ুশমান টা পিসির মতোই হয়েছে ডাটিয়াল । শক্তিই বা কোথায় পালিয়েছে ? সমৃদ্ধর কান্না পাচ্ছে , ভগবান যখন দেয় না ঝেঁপে দেয় সে সুখ হোক বা দুঃখ ! তারাকে নিয়ে এলেও তার সাথে মেক আউট করতে পারেনি আয়ুশ , মদ খেয়ে মাতাল হয়ে সারা রাত সে টানা কেঁদে গেছে আর তারাও ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছে । রাতে তারা স্পষ্ট দেখেছে ঘরে একটা ভূত আছে ! আয়ুশ এর যখন ঘুম ভাঙল তখন বেলা দেড়টা বাজে । কন্যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে দেখতে বেলা কখন বয়ে গেছে ও নিজেই জানে না । উঠতে গিয়ে দেখে প্যান্টের হাল খারাপ । ও ফাক বলে তাড়াতাড়ি আয়ুশ বাথরুমে ঢুকে পড়ে । রেডি হয়ে সোজা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় হোটেলের দিকে যেখানে কন্যা চেক ইন করেছে । কাল থেকে দানা নেই পেটে তার পর সারা রাত মদ আর শরীর চলছে না আয়ুশের তবু ওকে আজ নিজের টা আদায় করে নিতেই হবে । ওর মনের দহন ওকে ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কন্যার দিকে । হোটেল পৌঁছে কন্যার রুম নম্বর জেনে সোজা চলে গেল আয়ুশ । রিসেপশন থেকে যদিও অল্যাও করছিল না কারণ গেস্টএর পারমিশন না নিয়ে এভাবে তার রুমে যাওয়া যায় না । কিন্তু ভদ্রেসর গ্রুপ যাদের এই হোটেল সে আয়ুশ এর বন্ধু তাই ওকে ফোন করে বলায় আয়ুশ কন্যার রুম পর্যন্ত যাবার পারমিশন পায় । কন্যা যদি জানতে পারতো হয়ত ও আয়ুশ কে আলাউই করত না । রুমের দরজা নক করে আয়ুশ , বেশ কিছুক্ষণ সময় পর দরজা খুলে দিল কন্যা । দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় আয়ুশ ভাবছিল হয়ত রোদ্দুরের সাথে ব্যস্ত কন্যা ! কিন্ত এ কি কন্যা দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে উদ্ভ্রান্তের মত । চোখের কাজল ঢেবরে গেছে , চুল গুলো পাখির বাসা , পরনে একটা বাথরোব । আয়ুশ কে আচমকা দেখে কন্যা হেসিটেট ফিল করে । কন্যা জানায় সে আজ ফিরে যাচ্ছে পাঞ্জাব , আপাতত কোন ডিল হচ্ছে না । রোদ্দুরের কিছু কাজ আছে সে বেরিয়েছে তাই আয়ুশ এখন আসতে পারে । কন্যা দরজা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছিল আয়ুশ বাধা দেয়। কিছুটা জোর করে সে ঢুকে যায় রুমে ।
আমার কিছু বলার আছে কন্যা , আমি সরি তোমাকে বিচ বলার জন্য । কন্যা কে দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে মদ খাবার হ্যাংওভার ও এখনো কাটিয়ে উঠতে পারে নি । কন্যা এগিয়ে আসে আয়ুশ এর দিকে , ওর শার্টের বোতাম গুলো পট পট করে ছিঁড়ে দেয় কন্যা এক টানে । তার পর নিজের আঙ্গুল দিয়ে আয়ুশ এর রোমশ বুকে খেলা করে । আয়ুশ অনেক কিছু বলতে এসেছিল কিন্তু কিছুই বলার ক্ষমতা নেই তার আর সে এক টানে কন্যার বাথরোবটা খুলে দেয় । তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক উন্মুক্ত নারী , তার প্রথম সেক্স পার্টনার তার এক সময়ের সোল মেট ! কন্যার চুলের মুঠি ধরে নিজের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় আয়ুশ । এই কয়েক বছর ধরে বহু নারীর সঙ্গ সে করেছে তবু এই আমেজ সে পায়নি । কন্যাকে কোলে তুলে নেয় সে আর বাথরুমে গিয়ে বাথ টাবে দুজনেই নিমজ্জিত হয়ে যায় । বহু সময় পার করে আবার কন্যাকে বেডরুমে তুলে আনে আয়ুশ । যত্ন করে ওর চুল মুছে দেয় টাওয়াল দিয়ে তার পর ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে দেয় আর
একটা ব্ল্যাক অন্তর্বাস পরিয়ে দেয় । কন্যা বলে ইউ ফাকিং বাস্টার্ড এত কিছুর পরও কোন পরিবর্তন নেই ! আমি কি শুধুই অন্তর্বাস পরে থাকবো ? আয়ুশ হাসে আর বলে , অনেক সার্ভিস দিয়েছে এই বান্দা বাকি নবাবী করে নেবেন নিজেই । কন্যা একটা জিন্স আর টপ গলিয়ে নেয় আর আয়ুশ কে ইশারা করে নিজের জামা কাপড় পরে নিতে । আয়ুশ কন্যাকে বলে , আমি সেদিন এম এম এস বানাইনি কন্যা , সমৃদ্ধর কারসাজি সব । কন্যা হাসে বলে , এত বছর পর পারবে প্রমান করতে ? যদি পারো তো রবিবারের মধ্যেই পারতে হবে । আদারওয়াইস আই এয়াম রোদ্দুরস ওয়াইফ জান । আয়ুশ হকচকিয়ে ওঠে , মানে ! তা হলে এত ক্ষন কি হচ্ছিল কন্যা ? তুমি যদি রোদ্দুরের সাথে এখনো বিয়ে করতে চাইছো দেন আমার সাথে ? কন্যা হাসে বলে ওটা তো আমার শেষ ব্যাচেলর মেক আউট ছিল , রোদ্দুরের সাথে বা তোমার সাথে কারো সঙ্গে তো সানডে বিয়ে করবোই তো লাস্ট টাইম অবৈধ সম্পর্ক এনজয় করলাম আর কি ! সও তুমি এখন যাও আর যেটা আমাকে বললে সেটা প্রমান করতে চেষ্টা করো না হলে হানি আমি রোদ্দুরের গলায় মালা দেবো । আয়ুশ আবার পাগলের মত ছুটে আসে কাঞ্জিলাল হাউসের দিকে , সমৃদ্ধর সাথে আজ একটা কান্ড সে করবেই । যদি কন্যাকে সে না পায় তা হলে বোকাচোদা রোদ্দুর কন্যার সাথে মজ করবে .......
সমৃদ্ধ রিসতেমে হাম তুমহারে বাপ লাগতে হে ফাকিং হোর ।।
চলবে
ভালোবাসার স্কোর যেখানে শুন্য
(অথ ষড়যন্ত্র সমৃদ্ধ )
রোদ্দুর কলকাতা থেকে কিছু শপিং করে বিকেলের ফ্লাইটে কন্যাকে নিয়ে পাঞ্জাব চলে যায় । কন্যার ফিরতে কেন জানে না মন হচ্ছিল না । কিন্তু ও যে পথে নেমেছে তাতে তো থামতে নেই ! সানডে তো এসপার ওসপার যা হবার হয়েই যাবে । এত বছর ধরে নিজেকে অনেক আটকেছে কন্যা আর সে আটকাবে না । জীবন থেমে থাকার নয় এগিয়ে যেতে হবেই সেটা রোদ্দুরের সাথে আমেরিকার পথে বা আয়ুশমানের সাথে কলকাতা । এটা তো ছুতো ছিল ডিলের নামে আয়ুশ এর কান ঘেষে বেরোনোর । কন্যা জানতে চাইছিল এত বছরে আয়ুশ কি আজও কন্যার জন্য ভাবে না সে নিজের অন্য দুনিয়া বসিয়ে নিয়েছে । কলকাতা পৌঁছে আয়ুশ কে দেখেই ও বুঝে গেছিলো আয়ুশ আজও তার আছে । হয়ত ভিন্ন ভিন্ন মেয়ের সাথে ও ইন্টিমেট হয়েছে তবু মন আয়ুশ কন্যাকেই দিয়ে রেখেছে । আর কন্যা অত মিন মাইন্ডের নয় যে ইন্টিমেশন ইস মাচ ইম্পরট্যান্ট ড্যান লাভ ফর হার । তবে আয়ুশ কি পারবে ও যা বলে গেল তা প্রমাণ করতে ? যদি পারে তা হলে কন্যা ওর , না পারলে ! এত বছর পর কি সম্ভব প্রমাণ করা ? কন্যা খুবই আপসেট হয়ে পড়ছে যত সময় এগোচ্ছে । এসব ভাবতে ভাবতে পাঞ্জাব ও পৌঁছে গেছে কন্যা । ক্যাব বুকিং করার সময় হঠাৎই একটা শোরগোল শোনা গেল , রোদ্দুর কন্যাকে বললো ক্যাব বুক করতে ও একটু দেখে আসছে ভিড়টা কিসের । কিছুক্ষণ পর রোদ্দুর ফিরে এসে জানালো একটা প্রেগনেন্ট মেয়ে কলকাতা থেকে এসেছে পাঞ্জাব ট্রেনে । আর মেয়েটি ক্যাব নিয়ে এখানে এসেছিল হোটেল বুক করতে এর মধ্যেই কোন গাড়ির ধাক্কায় পড়ে যায় আর মেয়েটির মিসক্যারেজ হয়ে গেছে হয়ত । কন্যা কৌতূহল বসত ওদিকে এগিয়ে যায় , আর দেখে সত্যি মেয়েটির হয়ত মিসক্যারেজ হয়ে গেছে বিকজ শি ইস ব্লিড । কন্যা এগিয়ে গিয়ে মেয়েটাকে যেচে হেল্প করতে চায় , অসুস্থ প্রায় সেন্স হারানো মেয়েটা ওকে দেখে স্পষ্ট উচ্চারণ করে কন্যা আমায় বাঁচাও ! তার পর সেন্সলেস হয়ে যায় । কন্যা ভাবে সে কি ভুল শুনলো ! না সে স্পষ্ট শুনেছে মেয়েটা তার নাম নিলো ! তা হলে মেয়েটা কন্যাকে চেনে ? কন্যা আর রোদ্দুর ওই মেয়েটা কে নিয়ে হসপিটালে পৌঁছায় । সারাদিনের অপেক্ষা উদ্বিগ্নতা শেষে ডাক্তার জানান শি ইস ফাইন নাউ । কন্যা ওই নাম না জানা মেয়েটাকে এম্বুলেস করে বাড়ি নিয়ে যায় । মেয়েটা এখনো ঘুমের ইনজেকশনের এফেক্ট এ আছে আর কাল বাদে পরশু কন্যার বিয়ে । তাই মেয়েটা কে আর কন্যাকে কি ভাবে চেনে জানতে ওকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে দেখাশোনা করাটাই শ্রেয় বলে মনে হলো ওর ।
আয়ুশ বাড়ি পৌঁছে থেকে সমৃদ্ধকে সমানে প্রেসার দিচ্ছে যাতে সে কন্যার কাছে সব কনফেস করে । আর সমৃদ্ধ তোতা পাখির মতো এক বুলি আউরে যাচ্ছে পিসিমা , পিসিমা । আয়ুশ এবার কি করবে ! সমৃদ্ধ কোন কারণে ভীষণ ভয় পেয়ে আছে আর সেটার জন্য ও এখন ট্রমাতে এটা আয়ুশ বুঝেছে কিন্তু তা হলে কন্যাকে সে কি ভাবে প্রমাণ করতে পারবে যে সেদিন এম এম এস সে লিক করেনি ? আর সমৃদ্ধর এক রাতের মধ্যেই এ অবস্থা হলো কি করে ? ওদিকে বাবা কাঞ্জিলাল কে বাড়ির কাজের লোকেরা নাকি হসপিটালে ভর্তি করেছে । বাবা নাকি অসুস্থ আর আই সি ইউ তে আছে । এবার কি হবে ? আয়ুশ কি করবে কাল বাদে পরশু কন্যার বিয়ে আর এদিকে বাপ অসুস্থ , ভাই আধা পাগল , সে এবার কোনদিক দেখবে আর কোনদিক ছাড়বে ?
উত্তরা আপসোস করে মরছে , হায়রে এতটা ভয় না দেখালেই ভালো হতো মনে হয় ? স্বামী হাসপাতালে , ভাইপো আতঙ্ক তে সিঁটিয়ে গেছে । এবার আমার খোকার বিবাহ অভিযানের কি হবে ? না কপাল চাপড়ে লাভ নেই যা করার আয়ুশকে একাই করতে হবে । উত্তরা এবার আয়ুশ এর ঘরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।
আয়ুশ সমৃদ্ধকে হাজার বার কনফেস করতে বলে থকে নিজের ঘরে ফিরে গেছে । সমৃদ্ধ মিচ মিচ করে হেসে উঠল , বাহ নাটকটা ভালোই করেছে সে । পিসিমা ভাববে ভাইপো ভয়ে বোবা হয়ে গেছে আর আয়ুশ ভাববে সমৃদ্ধ পাগল হয়ে গেছে । যার কোনটাই সে হয়নি , সে তো এভাবে রবিবার পর্যন্ত পার করে দেবে তার পর কন্যা বিয়ে করে নেবে অন্যজনকে আর আয়ুশ পাগল হয়ে যাবে । ব্যাস তার পর পিসিমা দেখবে সমৃদ্ধ কা খেল ।
চলবে
ভালোবাসার স্কোর যেখানে শুন্য
(অথ বিবাহ বাসরে )
উত্তরা হাজার চেষ্টা করেও আয়ুশকে দেখা দিতে পারছে না । কেন তার উত্তর জানা নেই উত্তরার আর জিজ্ঞাসা করবেই বা কাকে ? তবে মা হয়ে এভাবে বাবুকে সে হারতেও দেবে না । এবার কি করা যায় সেটাই প্রশ্ন ? এত দিন আগের কথা তো সমৃদ্ধকে ছাড়া প্রমান করা নেক্সট টু ইম্পসিবল । আয়ুশ এত বোকা কি করে হয় ! ও কেন কন্যাকে কাঞ্জিলাল হাউসে নিয়ে এলো না সমৃদ্ধর কাছে ? তা হলে উজিয়ে পাঞ্জাব গিয়ে প্রমান দেবার ব্যাপার তো থাকত না । আয়ুশ কিছুই প্রমান করতে পারবে না , হয়ত এটাই নিয়তি । তবে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজকের ফ্লাইটে সে যাবে পাঞ্জাব কন্যার বাড়ি । না হয় নিজের চোখে কন্যা আর রোদ্দুরের বিয়ে দেখবে ! কষ্ট পেতে যখন হবে তো পুরোটাই না হয় উপভোগ করে নেবে । আয়ুশ ব্যাগ প্যাক করে বেরিয়ে যাচ্ছিল আচমকাই ক্যাঁচ করে সমৃদ্ধর ঘরের দরজাটা খুলে গেল । আয়ুশ জানে কোন কারণে সমৃদ্ধ মানসিক ভাবে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে । তাই শহর ছেড়ে বেরিয়ে যাবার আগে ভাবলো একবার না হয় ওকে দেখে যাওয়া যাক । আর সে ঘরে ঢুকেই দেখলো কোথায় সেই কিছুক্ষন আগে পাগলের মত প্রলাপ বকা ছেলেটা ! সমৃদ্ধ আর তারা দুজনেই বিছানায় সম্পূর্ণ নিরাভরণ হয়ে । তারা সমৃদ্ধর প্রবল পৌরুষ এর তলায় বিধ্বস্ত কিন্তু তার মুখ বাঁধা থাকায় কোন শব্দ হচ্ছে না । সমৃদ্ধকে দেখেই সব বুঝে গেল আয়ুশ তবে তলায় তলায় এই চাল ? সত্যি ওরই দোষ যে ও সমৃদ্ধর মত একটা লম্পটের অভিনয় দেখে ওকে বিশ্বাস করে নিয়েছিল । রাগে উন্মাদ আয়ুশ ওই সিচুয়েশনেই ঘরের ভেতর ঢুকে সমৃদ্ধর সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায় ।
সংজ্ঞা ফিরে আসার পর শক্তি দেখে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কন্যা । সমৃদ্ধর কাছে সব শুনেছে ও কন্যা সমন্ধে আর ছবিতে দেখা সেই একই মুখ চিনতে অসুবিধা হয়নি । কন্যা এসে বসে শক্তির পাশে । আর ইউ ফাইন ডিয়ার ! শক্তি মাথা নেড়ে সম্মতি দেয় । কিন্তু তোমার বেবি , আমি সরি । শক্তি মাথা নিচু করে চুপ করে থাকে , ওর কান্না পাচ্ছে । কন্যা বলব বলব করে বলেই ফেলে আমায় তুমি চেন ? শক্তি বলে , সমৃদ্ধর প্রেমিকা আমি । আমার নাম শক্তি ।
চলবে