STORYMIRROR

Sanghamitra Roychowdhury

Tragedy

3  

Sanghamitra Roychowdhury

Tragedy

বেশ করেছি

বেশ করেছি

7 mins
1.1K


ট্রেন বাস ঠেঙিয়ে কোলকাতা থেকে অফিস করে গলদঘর্ম হয়ে যখন সারাদিন পরে বাড়ি ফেরে, তখন নিখিলের কোনো নৌটঙ্কি, কোনো ধ্যাষ্টামো মোটেই পছন্দ হয় না। সারাদিনের পরিশ্রমের পর শরীর আর মন দুইই বিশ্রাম চায়। পরিবারের লোকজনের হাসিমুখ দেখতে চায়। শান্তিমতো বসে ধীরেসুস্থে দুমুঠো খাবার খেতে চায়। এই খাবার, সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, এসবের জন্যই তো দিনরাত একাকার করে এতো দৌড়ঝাঁপ, এতো পরিশ্রম। আর দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যদি সেই সুখ শান্তিটুকুই না মেলে, তবে কার মেজাজ, মাথার ঠিক থাকে? নিখিলেরও মেজাজ হারিয়ে যায়, বাড়ি ফিরে বৌ আর মায়ের নিত্যদিনের খিটিরপিটির আর কূটকচালির অশান্তি দেখলে, শুনলে।


এতোদিন শুধু নিখিলদের মা ও ছেলের সংসার ছিলো। নিখিলের বিয়ে হয়েছে সবে মাস ছয়েক।

এর মধ্যেই নিখিল মা আর বৌয়ের টানাপোড়েনে তিতিবিরক্ত। তার ওপর সেদিন কী একটা গোলমাল হয়েছিলো ওদের লাইনে, প্রায় আড়াইঘন্টা ট্রেন লেট। এমনিতে নিখিল রাত আটটার মধ্যেই বাড়িতে ফিরে যায়। সেদিন একেবারে রাত দশটা পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ হয়ে গেলো বাড়িতে ঢুকতে। জুতোটা বাইরে খুলে সোফায় বসে মোজাটা খুলছে সবেমাত্র, স্নান করতে হবে, ঘামে সর্বাঙ্গ চ্যাটচ্যাট করছে। হঠাৎই দেখলো নবনী, মানে নিখিলের ছ'মাসের পুরনো বৌ নতুন একখানা শাড়ি পরে কোমর দুলিয়ে একেবারে রাম্পে হাঁটা মডেলের মতো কায়দা করে এসে সামনে দাঁড়ালো। মুখে চওড়া হাসি। নিখিলের মা টিভি থেকে চোখ সরিয়ে খেঁকিয়ে উঠলো, "সারাদিন পরে স্বামী ঘরে ফিরেছে, কোথায় তার খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত করবে, তানা উনি রাতদুপুরে ধিঙ্গিপনা করে সেজেগুজে বেড়াচ্ছেন। প্রেম করে কী এক আদেখলা ঘরের মেয়েকে বৌ করে আনলি নিলু?" নিখিল মা'কে থামাবার আগেই নবনীর গলা, "বেশ করেছি।" ওর নাকের পাটা ফুলে উঠেছে, ঘাড় বেঁকানো, গলার স্বর কেমন হিসহিসে। নবনীকে নিখিলের কেমন অচেনা লাগলো। মা'কে বললো শুধু, "ছাড়ো না, মা। যত্তসব ফালতু ব্যাপার স্যাপার তোমাদের!"



স্নান করে বেরিয়ে গরম ভাত আর চিকেনের ঝোল পেটভরে খেয়ে নিখিলের সারাদিনের ক্লান্তি একটু কমেছে। গাটা এলিয়ে দিতে চাইলো নিখিল। সবে তো ছ'মাস বিয়ের বয়স, নতুন নতুন বিয়ের গন্ধটা এখনো যেন গায়ে লেগে আছে, ঘরে ঢুকলে সেই গন্ধটা আরও অনেক বেশী করে নাকে লাগে নিখিলের। নবনী সাজগোজ করতে খুব ভালোবাসে। বিয়ের আগে থেকেই দেখে আসছে। প্রেম পর্বে খুব ঘন ঘন ওদের দেখা হোতো না, তবে যখনই দেখা হোতো, তখনই দেখেছে নিখিল, নবনী ভারী পরিপাটি করে সুন্দর সাজগোজ করে রয়েছে। সত্যি বলতে কী, তাতে ওকে আরো সুন্দরই দেখায়। এই চোখ ধাঁধানো রূপেই তো মশগুল হয়েছিলো নিখিল। বিয়ের পর থেকে তো কোথাও তেমন যাওয়াই হয় না, ছুটির দিনে ছাড়া। তবে নবনী ঘরেই সেজেগুজে, রোজই প্রায় পাটভাঙা শাড়ি পরে, টিপটপ হয়ে থাকে। একটু মাত্রাছাড়া বিসদৃশ রকমের টিপটপ। এটাই হয়তো মায়ের পছন্দ নয় তেমন। কাজকর্মে হাত এখনো লাগাতে হয় না। মা'ইই করে এখনো প্রায় সবটাই। নবনীর দায়িত্ব শুধু দু'বেলার চা আর নিজের ঘরটা গুছিয়ে রাখা। তাও ঠিক করে পারে না, নাকি করে না, তা নিখিল ঠিক বুঝে উঠতে পারে নি এখনো।




নবনীর খুড়তুতো দাদা নিখিলের ক্লাসমেট, সেই আলাপের সূত্রপাত। নবনীর মা দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে সন্তান কোলে হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফেরে নি। তখন নবনী চারবছরের সবেমাত্র। নবনীর বাবা পাহাড়ে পাহাড়ে ঘোরার নেশায় বুঁদ। নবনী মানুষ হয়েছে যৌথ পরিবারে, কাকিমা জ্যেঠিমা ঠাকুমা দাদুর কাছে। মা-মরা মেয়ে, বাবা বাউণ্ডুলে, কেউ কখনো শাসন তেমন করে নি। আর লেখাপড়াতেও তেমন মাথা ছিলো না। থাকার মধ্যে ছিলো মারকাটারি মাথা ঘোরানো রূপ, সেই রূপকে আরো শান দিতে চটকদারি সাজগোজ। দাদুর চোখের মণি নবনী। খুব বিরাট স্বচ্ছলতা না থাকলেও, মা যেমন বলে, "হাড় হাভাতে", নবনী ঠিক তেমন ঘরের মেয়ে নয়। আর পাঁচটা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের মতোই নবনী। নিখিল ঠিক বুঝতে পারে না, মা কেন কিছুতেই নবনীর সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না। আর নবনীও হয়েছে তেমনি। সবসময় মায়ের বিপরীতেই কথা বলে। ওদের দু'জনের এই টানাপোড়েনে দমবন্ধ লাগে নিখিলের। ওর দু'জন প্রিয় মানুষের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। নিখিলের দশা, 'শ্যাম রাখে কী কুল রাখে'!



আজ নবনী খেতে যায় নি, ঘর অন্ধকার করে শুয়ে রয়েছে। নিখিল অনেকবার ডাকলো, উঠলো না কিছুতেই। অগত্যা নিখিলও শুয়ে পড়তে গেলো আলো নিভিয়ে। শুতে গিয়ে নিখিল দেখলো নবনীর পায়ের কাছে শাড়িটা পড়ে আছে, ছিঁড়ে কুটি কুটি। অবাক হয়ে নিখিল নবনীকে জিজ্ঞেস করলো, "নতুন শাড়ীটাকে এরকম করে ছিঁড়েছো কেন?" নবনী ছিলা ছেঁড়া ধনুকের মতো উঠে বসে নিখিলের হাত থেকে শাড়ির টুকরোগুলো কেড়ে নিয়ে মুখ বিকৃত করে সেইরকম হিসহিস করে বললো, "বেশ করেছি।" নবনীর মুখে যেন সারা শরীরের রক্ত এসে জমা হয়েছে, চোখগুলো চকচক করছে, ঘনঘন শ্বাস পড়ছে। নবনীকে ওভাবে দেখে নিখিলের গাটা কেমন যেন শিরশির করে উঠলো।


 


এরপর দিনে দিনে নবনীর যা ইচ্ছে তাই করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়তে থাকলো। নিখিলের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়, অফিস থেকে বাড়ীতে ফিরেই নবনীর নামে মায়ের অভিযোগ শুনতে শুনতে। ছুটির দিনগুলোতে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকে নিখিল। সবসময় মনে এই বুঝি নবনী ভুলভাল কিছু করে ফেলবে, আর মা সহ্য করতে পারবে না, আর নবনী ঐরকম উদ্ধত ভঙ্গিতে বলবে, "বেশ করেছি।" নিখিল নবনীকে নিয়ে ওর বাপের বাড়ীতে গিয়েছিলো দিন কয়েক আগে। ও বাড়ীর সবার সাথেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আকারে ইঙ্গিতে কথা বলে জানতে চেষ্টা করেছে, এরকম করতো কিনা নবনী বিয়ের আগেও! খুব কিছু তথ্য জোগাড় হয় নি। নবনীর জ্যেঠিমা শুধু বলেছিলো, "আদরে আদরে বাঁদর, পাল্টায় নি এখনো?" নিখিল বুঝলো, যা ওর বোঝার ছিলো। সত্যিই তাই, নবনী খুব আদরখাকি! ন

িখিলও যে নবনীকে বড্ডোই ভালোবাসে।



সেদিন অফিস থেকে ফিরে বাথরুমে ঢুকেছে নিখিল। বাথরুম থেকেই শুনতে পাচ্ছে নিখিল মায়ের গলা।


ভীষণ উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করছে মা, কিন্তু এটা বুঝতে পারছে না, মায়ের চিৎকারের উৎসটা ঠিক কী। কী ঘটালো আবার নবনী? তাড়াহুড়ো করে কোনোরকমে স্নান সেরে বেরিয়ে দেখতে এলো নিখিল। নবনী আবার নতুন কী ঘটালো? রান্নাঘরে ঢুকে দেখে তো নিখিল থ একেবারে! একী?



মায়ের কোনো কথা নবনীর পছন্দ হয় নি সেদিন। ওরা রাতে একটু তাড়াতাড়িই খায়। নিখিল ফিরে ফ্রেশ হয়ে নিলেই খেতে বসবে। তাই মা বলেছিলো রাতের খাবার গরম করতে, নবনী করতেও এসেছিলো খাবার গরম। কিন্তু মা বলেছিলো, "এই বাসনটায় না, অন্য বাসনে গরম করো।" কী এমন কথা এটা, রাগ হবার মতো? কিন্তু তাতেই নবনী রেগে গেলো। আর সব খাবারের মধ্যে বোতল উপুড় করে জল ঢেলে, সবার খাওয়া পণ্ড করে দিয়ে দুম দুম করে পা ফেলে নিজের ঘরে যাবার আগে, কথাটা বলে গেলো। সেই রোষকষায়িত চোখে তাকিয়ে ওর সেই হিসহিসে গলায়, "বেশ করেছি।"



একী কোনো সুস্থ মানুষের কাজ? নাকি সবটাই নবনীর বদমায়েশি, যেমন মায়ের ধারণা, এই সবই স্বামী নিয়ে আলাদা হয়ে যাবার তালে? বুঝতেই পারে নি নিখিল নবনীর এই সমস্যার কথা কার সাথে আলোচনা করবে। অবশেষে নিখিলের এক কলিগকে বললো সব খুলে। ঐ ভদ্রলোক বললো, "কোনো মানসিক সমস্যার শিকার, ইমিডিয়েটলি ভালো একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাও।" নিখিলের নিজেরও একবার কথাটা মনে হয়েছিলো, তবে স্নেহের বশে এটা বিশ্বাস করতে নিখিলের একটু যেন কষ্ট হচ্ছিলো, "এতোদিনের চেনা জানা ফুটফুটে মেয়েটা মানসিক রোগগ্রস্ত? পাগলের রকমফের? মনটা তেতো হয়ে আছে নিখিলের। ধূর, এর থেকে বিয়ে না করলেই ভালো হোতো। এই অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতো অন্ততপক্ষে। ভাবতে ভাবতেই বেল বাজালো নিখিল। কেউ দরজা খুলছে না, অনেক ধাক্কাধাক্কির পরেও, দেখে পাড়ার ক্লাবের ছেলেদের ডেকে আনলো নিখিল।



নিখিলের হাত পা থরথর করে কাঁপছে, নির্ঘাত কোনো বড়ো বিপদ বাধিয়েছে আজ নবনী। নয়তো মা বা নবনী একজনও দরজা খুলতে এলো না? পাড়ার ছেলেরা বললো, "পুলিশকে খবর দেওয়াই ভালো!" নিখিল বুঝতেও পারছে না, দরজা ভাঙা হলে ঠিক কী দেখতে পাবে ভেতরে? 


******


কত সুন্দর হতে পারতো নিখিল নবনীর জীবন। কিন্তু অলক্ষ্যে থেকে কে যেন কোন জন্মের কোন অপরাধের এমন গুরুতর শাস্তি নিখিলকে দিয়ে গেলো। কী হতে পারতো, অথচ কী হয়ে গেলো!



সেদিন পুলিশ এসে দরজা ভাঙার পরে হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে নিখিল দেখেছিলো, মা রান্নাঘরের আর ডাইনিং স্পেসের মাঝখানের মেঝেতে চিৎপাত হয়ে পড়ে রয়েছে। রক্তে ভাসছে মেঝে। আর ডাইনিং স্পেসের বাঁ দিকের বসার জায়গায় মেঝেতে পা ছড়িয়ে সোফায় হেলান দিয়ে বসে রয়েছে নবনী। হাতে ধরা বড়ো ছুরিটা। রক্তমাখা, ওর হাতে পায়ে মুখে ছিটে ছিটে রক্ত। অথচ চোখমুখ একেবারে নির্বিকার,দেখে এতটুকু বোঝার উপায় নেই কোথাও কোনো গোলমাল। জিজ্ঞেস করতেই মিলেছে সেই হিসহিসে উত্তর, "বেশ করেছি।"




ভাবনায় ছেদ পড়ে, নিখিলের। গত দু'দিন ধরে হাসপাতালেই বসে আছে নিখিল, অশক্ত হয়েছে শরীর। একলা মানুষ, সহযোগিতা করার কেউ নেই। অ্যাসাইলাম থেকে ফোন করেছিলো। খবর পেয়েই চলে এসেছে নিখিল, নবনীর ম্যালেরিয়া হয়েছিলো, ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া। হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে ওরাই খবর দিয়েছিলো নিখিলকে। হাজব্যান্ড হিসেবে ওখানে নিখিলের নাম ঠিকানাই ছিলো লেখানো। আইনতঃ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত স্বামী স্ত্রীই রইলো ওরা। রিসেপশন থেকে অ্যানাউন্সমেন্ট শুনে নিখিলের শরীরটা কেঁপে উঠলো, গলাটা যেন বুজে এলো।




অতদিন ধরে মেলামেশা করেও নিখিল বোঝে নি, যে নবনীর মানসিক সন্তুলনের অভাব আছে। ছটফটে সুন্দর মিষ্টি মেয়েটার মনের মাথার সবকটা স্ক্রুইই যে পুরোপুরি ঢিলা, কোনো রকমে আটকে ছিলো শুধু, তা ওকে দেখে আপাতদৃষ্টিতে সামান্যতমও বোঝা যায় নি। নবনী যে মানসিক রোগী তা বুঝলো নিখিল নিজের মা নবনীর হাতে খুন হয়ে যাওয়ার পরে। শাস্তি হয় নি নবনীর, জায়গা হয়েছিলো বদ্ধ উন্মাদাশ্রমে। নবনীর পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার, জন্মগত.... কেউ ধরতেই পারে নি কখনো। নিরুদ্দেশী বাবার মা-মরা মেয়ের জেদ হিসেবেই সবাই দেখেছে নবনীর চণ্ডালে রাগকে। ওর মতের বিরুদ্ধে কেউ কখনো ওকে চালাতেই চায় নি। মতের অমিল হলেই নবনী যা খুশি করে ফেলতে পারে। ওর স্বাভাবিক যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে ভাবার কোনো ক্ষমতাই থাকে না তখন।



এই এতোকিছু ঘটার পরেও নিখিল কিছুতেই পারে নি, নবনীকে না দেখে থাকতে। প্রত্যেক রবিবার ঠিক আসতো, কিছু খাবার দাবার বা সাজের কোনো জিনিস কিনে নিয়ে। সাজতে যে বড়ো ভালোবাসতো নবনী। এখন অ্যাসাইলামের নীল রঙের একঘেয়ে পোশাকে, ছোট করে ছাঁটা চুলে খু্ব ম্লান দেখায় নবনীকে। নিখিল তো নবনীর ঐ টিপটপ সেজে থাকাটাই ভালোবাসতো। মায়ের সামনে যদিও মুখ ফুটে বলতে পারে নি কখনো। নিখিল ভাবে আবার যদি নবনী একবারও অমন সুন্দর করে সাজতো! কতদিন সাজে নি নবনী, চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর থেকে এই এক রুটিন। সেই দিনের সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর থেকে নবনী কখনো হাসতো হয়তো, নিখিলকে দেখে, তবে কোনো কথা বলতো না। শুধু হাতে কিছু দিলে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে, সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে, সেই একইরকম হিসহিসে গলায় বলতো, "বেশ করেছি।"



হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডের করিডোরে হাঁটতে হাঁটতে নিখিলের বুক জুড়ে চিনচিনে ব্যাথাটা চারিয়ে যাচ্ছে। নিখিলের স্মৃতি জারিয়ে উঠছে সে ব্যাথায়।একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেললো নিখিল, ঐ একটা মাত্র কথা.... "বেশ করেছি"....গত বাইশ বছর ধরে, সেটাও হারিয়ে গেল।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy