বদলা
বদলা
"আজকাল আর দেখা যায়না তোকে, কেন?"
"আছি তো, এইতো দেখতে পাচ্ছিস।"
"প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাই, অথচ তোর দেখা পাইনা। থাকিস কোথায়?"
"ওহ আচ্ছা, তার মানে এখনও আমাকে খুঁজিস?"
"না, তা নয়। আগে এখানেই দেখা হত-তো, তাই..."
"তাই বুঝি এই জায়গায় এলে আজও তোর চোখ চারিদিকে ঘোরে?"
"ওহ আচ্ছা, তুইও আমাকে ফলো করিস তাহলে?"
"না, আমি তোর আমাকে ফলো করাটাকে ফলো করি।"
"বুঝলাম।"
"কি বুঝলি?"
"বুঝলাম আজও আমরা থেকে গেছি।"
"কোথায়?"
"একে অপরের স্মৃতিতে, একে অপরের চোখে, এই রাস্তার পিচে, এই চার মাথার মোড়ের বাসস্ট্যান্ড টায়।"
"বলছিস?"
"হ্যাঁ, বলছি।"
"বিয়েটা করে নে এবার।"
"বিয়ে? আমি! আমাকে কে বিয়ে করবে বল দিকি?"
"কেন?"
"দেখ কেমন চামড়াগুলো ঝুলে গেছে। তুইতো এখনও ইয়াং আছিস, করে ফেল।"
"কি?"
"বিয়ে!"
"তুই করবি আমাকে বিয়ে?"
"আমি?"
"হ্যাঁ তুই।"
"মুখের বাঁ পাশটা দেখেছিস আমার? ভয় পেয়ে প্যানটে ইয়ে হয়ে যাবে তোর। বিয়ে করতে গিয়ে।"
"তুই কি ভাবিস আমি দেখিনা তোর মুখ? আমি প্রতিদিন দেখি।"
"ভয় পাসনা?"
"না, একদম না।"
"কেন?"
"ভয়ের সীমা পার করে ফেলেছি যে!"
"ওহ।"
"আমাকে ক্ষমা করতে পারবি কোনদিন?"
"না। কোনদিন না।"
"তাহলে মনে রেখেছিস কেন আমায় এইভাবে?"
"তোর কাছে গিয়ে আমার এই অবস্থার বদলা নেওয়ার জন্য।"
"পাগলী। আমার কাছে আসা অত সহজ নয়।"
"জানি তো। তাই প্রতিদিন তুই আমার কাছে আসিস। আচ্ছা আমি ছাড়া আর অন্য মেয়ে ছিলনা?"
"না। তোকে ভালোবাসি তো।"
"ভালোবাসিস বলেই এত বড় দাগ দিয়ে গেলি আমায়?"
"হয়ত!"
"অ্যাসিডে পোড়ার যন্ত্রনা জানিস?"
"সিলিং ফ্যানে ঝোলার যন্ত্রনা জানিস?"
"জানি। প্রতিদিন সেই যন্ত্রনা ভোগ করি আমি। তুই ঝুলে একেবারে মরে গেছিস কিন্তু আমি প্রতিদিন মরি একটু একটু করে।"
"ক্ষমা করিস।"
"পারলাম না। তবে তুই মরলি কেন?"
"আসলে যে মারে সে নিজেও মরে জানিস তো!"
"হয়ত!"
