বাপিদার বাটপারি
বাপিদার বাটপারি
আমি সুমন, আমারা যে পাড়ায় থাকি সেখানে কিছু আজব লোকেরা বাস করেন। তাই আমাদের পাড়াকে লোকেরা ঠাট্টা করে রাঁচি পাড়া বলে ডাকে। আর সেই রকম কিছু লোকের মধ্যে বাপিদা একজন। আমাদের বাপিদা ৬" ফুট লম্বা, রোগা, হালকা কালো, মাথায় কোঁকড়ানো চুল। আজকে আমি এই বাপিদার একটি ঘটনারই কথা বলব। একদিন আমারা ৪-৫ জন বন্ধু মিলে বিশুদার দোকানের বাইরে বসে ফ্রী-ফায়ার গেম খেলছিলাম, এমন সময় বাপিদা এসে বিশুদার থেকে এক কাপ চা নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে এক চুমুকে চো চো শব্দ করে অর্ধেক চা শেষ করে বলল তোরা যে কি গেম খেলিস ধূর ধূর। খেলতাম তো আমারা মাঠে, ফুটবল। ফুটবল খেললে সরির মন সব চাঙ্গা হয়ে যেতো। ঠিক এমন সময় আমাদের পাড়ার রাস্তায় মুখোমুখি দুটি গাড়ি এসে আটকে গেল।একদিকে একটি ম্যাস্ক গাড়ি অন্য দিকে একটি ইকো গাড়ি। আমরা গেম খেলতে থাকায় খেয়াল করিনি, মনে হয় ইকো গাড়িটির দোষ ছিলো।যখন দুই ড্রাইভার ঝগড়া করছিল ঠিক তখনই বাপিদা পুলিশ পুলিশ ভাব নিয়ে ইকো গাড়িটির দিকে এগিয়ে গিয়ে ড্রাইভারকে বলল এই তোমার লাইসেন্স আছে? দেখি। ড্রাইভার প্রথমে তেমন পাত্তা দিলোনা। এতে বাপিদা রেগে লাল হয়ে উঠলো,আর বেশ জোর গলায় বলল এই তোমার লাইসেন্স আছে?? ড্রাইভার একটু আমতা আমতা করে বলল হ্যা হ্যা, গাড়ি টা সাইট করে দেখাচ্ছি। এমন সময় আমার বন্ধু রাজেশ বলল এই পালাচ্ছে পালাচ্ছে মার মার।(আসলে রাজেশ গেম খেলার কথা বলছিল) এই কথা শুনে ইকো গাড়ির ড্রাইভার ভয় পেয়ে ওমনি গাড়ি সাইট দিয়ে সরিয়ে ছোটানো সুরু করলো।আমরা কিছু বোঝার আগেই দেখেছি বাপিদা গাড়ির ভেতরের একটি হাতল ধরে ঝুলে পড়েছে। আমরা তা দেখে গাড়ির পেছনের ছোটা শুরু করলাম। এইদিকে বাপিদা ড্রাইভার কে বলছে গাড়ি থামা, না হলে খুব মারব কিন্ত।ড্রাইভার এই কথা শুনে আরো জোড়ে চালানো সুরু করলো।বাপিদা আর ও ৩-৪ বার সাসিয়ে দেখল কোনো লাভ ইচ্ছে না, তখন একটু ভয়পেয়ে গেছে আর বলছে ভাই গাড়ি থামা আমার হাত স্লিপ করছে। কিন্তু ড্রাইভার কোনো কথাই সুনছেনা ।বাপিদা প্রায় কেঁদে ফেলে আর কি। ঠিক এমন সময় গাড়িটা বড় রাস্তায় ওঠানোর জন্য একটু স্লো করে, এই সুযোগে লাফ দিলো আর তিন বার ডিগবাজি খেয়ে খোলা ড্রেনে গিয়ে পরলো।আমরা ছুটে ছুটে এসে দেখি বাপিদা ড্রেনের ভিতর থেকে বলছে বাবাগো.... মাগো.... ছাড়বোনা.... আ....।
