লাস্ট বেঞ্চের প্রেম
লাস্ট বেঞ্চের প্রেম
সুদীপ্ত ও দীপালি তাদের প্রথম বারের বিবাহ বার্ষিকীর জন্য সপিং করতে গিয়েছিল মার্কেটে। ফেরার পথে ওরা একটা রেস্টুরেন্টে ডুকলো, চারিদিকে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নিল দীপালি। তারপর একটা ভালো জায়গা দেখে ওরা বসলো। সুদীপ্ত দুটো চিকেন ললিপপ ও কফি অডার করল আর দীপালি এক প্লেট ফিস ফিঙ্গার ও ব্লাক কফি অডার করল রেস্টুরেন্টে বয় একটা ছোট্ট নোট বুকে অডার গুলো লিখে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল।এমন সময় রেস্টুরেন্টে ডুকলো এক দম্পতি আর ওদের সঙ্গে বছর চারেকের একটি সুন্দর ছেলে। সুদীপ্ত ঐ দম্পতিদের দেখেই চিনতে পারে। দম্পতিরা সুদীপ্তকে দেখে হাসি মুখে ওদের কাছে আসলো। সুদীপ্ত বলল কি ব্যাপার, ভালো আছিস তোরা? আমার ভালোই আছি।তোর খবর বল, কলেজের পর কোথায় হাওয়া হয়ে গেছিলি? এতদিন পরে তোর দেখা পেলাম। সুদীপ্ত বলল হ্যাঁ আমি ব্যাঙ্গালোরে ছিলাম। সুদীপ্ত এবার দীপালির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল। বলল এরা দুইজন আমার ক্লাসমেট ছিল,এর নাম আশীষ আর ওর নাম পৌলমী। দীপালি হাত জোড় করে নমস্কার করে। আশীষ আর পৌলমী ও হাত জোড় করে নমস্কার করে। সুদীপ্ত বলে বাচ্চাটা কে? তোদের ছেলে? আশীষ বলে হ্যাঁ। কি নাম ওর? অনিকেত।এবার সুদীপ্ত বলল এই হলো আমার বৌ দীপালি। তারপর আশীষ বলল ঠিক আছে ভাই আবার পরে দেখা হবে। এখানে আর মাত্র একটি টেবিল ফাঁকা আছে। সুদীপ্ত বলল ঠিক আছে, তাহলে তোরা গিয়ে বোস , পরে দেখা হবে।
ওরা চলে যাওয়ার পরে সুদীপ্ত দীপালিকে বলে আশীষ খুব ভালো ব্যাটমিন্টন খেলতো। কিন্তু লেখাপড়ায় খুব একটা ভালো ছিল না। প্রতিদিন লাস্ট বেঞ্চে বসতো। ওদের একটা গ্ৰুপ ছিল,প্রায় প্রত্যেক দিন কিছু না কিছু কান্ঠ ঘটাতো ওরা। আবার কিছু ভালো কাজ ও করতো,যেমন একবার আমাদের কলেজের তিন টি সিনিয়র ছেলে আমাদের ব্যাচের একটি মেয়েকে একা পেয়ে অসভ্যতামি করে।আশীষ হঠাৎ সেখানে এসে পড়ে, তারপর ঐ তিন টি ছেলের সঙ্গে একাই মারামারি সুরু করে। সেই ছেলে গুলো আশীষের হাতে মার খেয়ে, অবশেষে মেয়েটির কাছে খমা চাইতে বাধ্য হয়।
পৌলমী আমাদের ব্যাচের ফার্স্ট ইয়ারে মাঝামাঝি কলেজে ভর্তি হয়।ওর বাবা সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাই কিছু দিন পরে পরেই টান্সফার হয়। কিছু দিন আগে আমাদের এই খানে টান্সফার হয়ে আসে। পৌলমী আমাদের কলেজের সেরা সুন্দরী ছিল। কতো ছেলেযে ওকে প্রপোজ করেছিল তারা ঠিক নেই। কিন্তু পৌলমী কাউকে তেমন একটা পাত্তা দিতনা। আশীষের ব্যাটমিন্টন খেলা দেখিয়ে এবং ওর ডেয়ারিং স্বভাবের কারণে ও পৌলমী কে বেশ ইমপ্রেস করে ফেলেছিল। ধিরে ধিরে ওদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রথম প্রথম দুই এক দিন ওরা লাস্ট বেঞ্চে বসে অফ টাইমে গল্প করতো। ধরে ধরে লাস্ট বেঞ্চটা ওদের পার্মানেন্ট ঠিকানা হয়ে গেছে। পুরো কলেজে ওদের লাস্ট বেঞ্চের লাভ স্টোরি ছরিয়ে পরলো।

