উত্তরণে
উত্তরণে
সিঁড়িতে তরতর করে উঠে যেতে যেতে হাত রেখেছি কাঁধে। উদযাপনের জন্য ফেলে এসেছি অক্ষত ইবাদতখানা।
দরজা খুলে সেখানে তখন অস্তিত্ব কুড়োবার হুড়োহুড়ি। এভাবে উঠতে উঠতে পা পড়লো ভাঙা কাচে। ফুটে যাবার বদলে তারা পা থেকে খুঁটে নিল বিপন্ন চুম্বন। আরও ওপরে উঠলে আনাচেকানাচে ঠোঁট। ঘিরে থাকা জাফরির কাজ। সাজানো বাগান। চারদিকে প্রত্যেকের ওতপ্রোতভাবে ছুঁয়ে থাকা।
এরপর উঠতে উঠতে গুটিয়ে নিই ছাদের আড়াল। মাথার ওপর নির্ণায়ক শূন্যতা। বেপরোয়া হয়ে ওঠে পকেটে জড়ো করা দ্বিখণ্ডিত কবরস্থান। আরও উচ্চতায় উঠলে হালকা হচ্ছে নিঃশ্বাস। ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে মাটির কাছে ঋণ।
ছাদের প্রত্যেকটি কিনারা আসলে আমার একএকটি সঞ্চয়ের ভাঁড়ার।
মাটি আর চুম্বনের দাগ ঝেড়ে বেছে বেছে সেখানেই রোজ জমিয়ে রাখি নিজের প্রতিচ্ছবি।