সুপ্রভাত
সুপ্রভাত
সত্য আর বিশ্বাস এর মধ্যে সংঘাত চলে হামেশাই,
সেভেন বার্থের কথাও বলেছেন শেক্সপিয়ার মশাই।
পশ্চিমের অনেকেরই ধারণা কিছুটা তাঁর মতোই,
আর প্রাচ্যের তো এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরিই।
পুনর্জন্ম, আত্মা, এসবে বিশ্বাস করে অনেকেই।
বিজ্ঞানের দৌলতে অস্বীকার করি অনেককিছুই,
বিপদে পড়লে আবার আশ্রয় নিই ঠাকুর ঘরেই।
ভগবানকে অবিশ্বাস করেও কেউ কেউ,
আবার ভুতকে বিশ্বাস করে বসি।
এমন প্রত্যক্ষদর্শী এখনো রয়েছে যারা দেখেছে,
বাটি চালন, নখদর্পনের মতো অদ্ভুত ঘটনা।
টি. ভি সম্পর্কে তখন ছিলনা কোনো সম্যক ধারণা,
বুড়ো আঙুলে ভুসো কালি মাখিয়ে তৈরি হতো স্ক্রীন,
তারপর নাকি তাতে দেখা যেতো সাম্প্রতিক চুরি!
হুবহু যা ঘটেছিল, এক্কেবারে সীন বাই সীন।
মানুষের শরীর আসলে একটা উৎকৃষ্ট যন্ত্র,
শুধু কি করে চলে, জানা নেই বিশেষ কোনো মন্ত্র।
জীবন একটাই কথাটা বেশ সন্দেহজনক!
রোজ রাতে ঘুমাতে যাই,পরদিন কি জাগবো সত্যিই?
আশ্চর্য তো, রোজ ভোরে ঘুম থেকে জেগে ওঠাটাই।
এভাবেই রোজ রোজ নতুন নতুন জীবন পেয়ে যাই।
তাই খুশি হয়ে, সুপ্রভাত অথবা গুড মর্নিং বলে,
যাদের ভালোবাসি তাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই!
মানুষ মাত্রই আমরা সকলেই কিছু না কিছু ভুল করি,
জীবন একটাই, সেই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি।
এটাই শেষ সুযোগ, ভালো ব্যবহার টুকু করতে পারি!
আর কখনও কোনোদিন কোথাও দেখা হবে না,
ক্ষমা টুকু তো কোনোভাবে চেয়ে নিতেই পারি।
নিজের হৃদয়কে আরেকটু প্রসারিত করে,
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ টুকুকে দূরে সরাতে পারি।
গাছপালা, পশু, পাখি সকলকে আপন করতে পারি।
জীবন একটাই, এটাই শেষ সুযোগ,আজই শেষ দিন,
কোনোভাবেই কি হেলায় এ সুযোগ হারাতে পারি?