স্মৃতিই চুড়া
স্মৃতিই চুড়া
"আছে নাকি ভাঙা হারিকেন, বালতি বুলতি____
ঝালাই করবেন নাকি ইইইইইইইই?"
আগে আসতো ওরা দুইজন এক সাথে।
জানিনা ওরা দুই বন্ধু ! নাকি সহকর্মী,
হতে পারে বাবা ও ছেলে, অথবা শ্বশুর-জামাই।
পাড়ায় ঘুরে ঘুরে ঝালাই করবার জিনিসগুলো,
জোগাড় করে নিতো বেশ হাতে হাতে।
তারপর কোনো গাছের নিচে, একটা জায়গা বেছে,
শুরু করতো ঝালাই এর কাজ নিজেদের হাতে।
হ্যাঁ, কোনোরকম কারেন্ট বা গ্যাস ছাড়াই,
থাকে হয়তো কেরোসিন, আগুন তো জ্বালানো চাই! যেকোনো লোহা বা এ্যলুমিনিয়ামের ফুঁটো বালতি,
ওদের হাতে পড়ে কাজের হতো অকেজো জিনিসটি।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে লোকের আয় বেড়েছে,
ঝালাইয়ের জিনিসপত্রের দামও মাত্রা ছেড়েছে।
ওদের দুজনের একজন হয় বুড়ো হয়েছে বা মরেছে,
কিন্তু বাকি একজন, এখনও কাজটা _______
চালিয়ে যেতে প্রাণপণে চেষ্টা করে চলেছে।
লোকে আজকাল ভাঙা ফুঁটো জিনিস পছন্দ করেনা,
নতুন কিনে নেয়, সারাই টারাই আর করতে চায় না।
আসে পাড়ায় পাড়ায় আরেক রকম পেশার লোক,
তারা হাঁক দেয় " ভাঙা, চুড়া, লোহা, টিন, বই-খাতা,
পেপার, প্লাস্টিক, কাঁচের শিশি বোতল______
বিক্রি করবেন নাকি ইইইইইইইইইই ! "
দ্বিতীয় হকারেরাই বেশী আকর্ষন করে মানুষের মন,
সবকিছুই যখন বিক্রি হয়, কিছু টাকাও ঘরে আসে,
কি দরকার অপ্রয়োজনীয় জিনিস রেখে অকারণ!
আছে অবশ্য কিছু কিছু এমন লোক,
পুরোনো জিনিস একটু বেশিই ভালোবাসে।
স্মৃতিসুধা মাখানো জিনিস রাখে যেন কিসের আশে!