শুকতারা আমার শুকতারা
শুকতারা আমার শুকতারা
আমার কাছে রাত্রি যেন
অবারিত আঁধারের শয্যাপাতা নিসর্গের চাদর
আমি প্রতিরাত সেই শয্যায় নশ্বর
এ শরীরখানি এলিয়ে দেই....
আমার দৃষ্টি বহুদুর প্রসারিত এবং ঊর্ধাকাশে নিক্ষিপ্ত
আমি সংহতি প্রকাশ করি।
রাতের শরীর জুড়ে
নির্জন আর নিখাদ আঁধারের সাথে,
তারা ঝলমল লক্ষ লক্ষ নীহারিকাপুঞ্জের মধ্যে,
একটি মাত্র তারকা আমাকে কাছে টানে...
আমি তার অলাজ চাহনীতে বিমোহিত,
আমার শরীরের প্রতিটি লোমকূপ
খরগোশের কানের মতো
সদা সতর্ক ভঙ্গীতে তোমাকে ডাকে
তুমি আমার শুকতারা...
কৈশোরে দাদু বলতো
তুমি নাকি জগতের সমুদয় পাপ ও তাপ
শোষন করে স্থিত হয়েছো আকাশের উচ্চতম স্থানে
সেই থেকে তোমার প্রতি আমি
অনুরাগসিক্ত শিহরিত আর প্রলুব্ধ
শুকতারা !
তোমার শরীর কি জ্যোতির পোষাকে আবৃত
আর চন্দ্ররেনুর মতো চির উদ্ভাসিত ?
তোমার চারপাশ কি ধান নদী খাল ব্যেষ্টিত?
সেখানে কি ফেসবুক নামের কোন
তারুণ্য হন্তারক যুধিষ্ঠির বাস করে?
আজ রাত তোমাকে বেদনাহত বিমর্ষ মনে হচ্ছে আমার
তোমার ভারাক্রান্ত মুখ যেন বিবর্ণ আলোর প্রতিচ্ছবি
আমি তোমার বুকের ভেতর
হাতুড়ী পেটার এক যন্ত্রনাকাতর শব্দ শুনতে পাচ্ছি শুকতারা।
তবে কি তুমি গ্রহণকবলিত কোন অপ ছায়ার
সমান্তরালে দ্বিখন্ডিত!
শুকতারা,আমার শুকতারা !