Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!
Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!

Nurul Hoque

Abstract Fantasy Others

3  

Nurul Hoque

Abstract Fantasy Others

কবিরা উদ্ভট নয়

কবিরা উদ্ভট নয়

20 mins
153



কবিরা উদ্ভট নয়, সমাজের তৃতীয় নয়নঘুরে ফিরে খায় দায় পরিহরি যাযাবর দিনকবিতা কালের সাক্ষী ময়ূরাক্ষী কবিসৃষ্টধনমহাকাল বুকে ধরে কবি চলে বর্ণাঢ্য রঙিন।

অন্ধকার খেকো কবি অসামান্য আলোর প্রতীকসময়ের সরণিতে লিখে রাখে সত্যের ভাষণকবির লেখনী পড়ে দেশকাল খুঁজে পায় দিককবিতা বর্ষার জল আকাশের তারা অগণন।

আমি কবি নই বলে নানাছলে নামি নুনজলেযদিও জানিনা তারা কতটুকু মিথ্যে কথা কয়নিয়ত তাদের দেখি অনর্নিশ জলে ও জঙ্গলেঅনিবার কবি থাকে অবিচ্ছিন্ন নির্ভার অক্ষয়।

জীবনে আনন্দ থাকে এইকথা কবি খুব জানে অঙ্গীকার রক্ষা করে কবি হাঁটে নদীর উজানে। 


না, আমি ভালো নেইনূরুল হক 

না, আমি ভালো নেইতুমি যখন জানতে চাও কেমন আছি আমিহারিয়ে ফেলি খেইজীবনের মধ্যবেলায় এ মধ্যরাতে         একা একা ক্ষারজলে নামি।আমি ভালো নেই না বলে, বলা ঠিক ছিলআমি ভালো আছি , খুব ভালো আছিআলো ঝরা অন্ধকারে একা খেলি কানামাছি।অন্ধকারে ছড়িয়ে পরে লীলাক্রমেওইসব মিথ্যার ফুলঝুরি প্রতি কদমেআমি ভালো নেই আলো নেইআছে বিরহ , আছে বাদনার ভারতুমি বেশ ভালো আছো নির্ভারকেটে কুটে অন্ধকার আর জাগতিক হাহাকার

ভালো থেকো জলধোয়াবাতাস ভালো থেকো উচ্ছ্বাসে আক্রান্ত ফুলভালো থেকো ফুলের নির্যাসতুমি অনাঘ্রাতা মরমে ও গানে তুমি নির্ভুল

ভালো থেকো লাবণ্যমাখা গীতল কাব্যকলাভালো থেকো ভাটিদেশ সুজলা সুফলা 


প্রেম এক অনশ্বর রাতনূরুল হক

এই রাত এই নিশিসঙ্গমক্লান্তরাত স্বাক্ষীআমি আছি তোমার সান্নিধ্যেআছি আমি ময়ূরাক্ষীবাতাসের মহাঘোর হয়ে নির্ভয়েশন শন শন শনদেখো আজ চাঁদ নেইআছে তারা, নক্ষত্র অগণনজানিনা কেন বারবার হারিয়ে ফেলি খেইআমি রাতের নৈশ প্রহরীপ্রেয়সী আমার অস্পরী তোমার সেই অমর ভালোবাসার ঘোরনৈঃশব্দ্য নিরাভরণ, ভোরের শিশির হয়েঝরে পরে আমার বুকের মৃত্তিকায়।

তুমিতো জানোআমি নূরুল বলেই বারবারভুল করে বসি। তবুওআঁধারকে তোমার প্রেমের অনলেকরে দেই ছারখার।তুমি যদি জেগে থাকোরাতের পাখিরাও জেগে থাকেজেগে থাকি আমিঅস্তগামী সূর্য নয়। সেতো নশ্বর এক নক্ষত্র, নিম্নগামী।আমি প্রেম। আমি প্রেম হয়েবেচেঁ আছি বেঁচে থাকিতোমার সেই আলো আর হীরকখচিত দেহে নির্ভয়ে।

এই রাতএই নিশিসঙ্গমক্লান্ত নিশুতি রাততুমি স্বাক্ষী থেকো এই হিরন্ময়সময়ের।আহা অনশ্বর সময়যতোই ভেঙে যাক সৌহার্দের উপকূলতুমি তাকে বলো অনন্তরতার প্রতীক্ষায় বসে আছে নূরুলহায়। যদি ভেঙে যায় এক বাঁধপ্রেমের অনন্তঅনীলশীলাখণ্ড দিয়ে রচে দেব স্বাক্ষর, হবো আরো উন্মাদ।


তোমার হাত ধরে হে রাতহটাৎ বৃষ্টি এলো প্রাগৈতহাসিকমেঘালয় পাহাড় ছুঁয়ে। কিসের মৌতাতবলো, বৃষ্টিরাও তোমার মতো নির্ভীককখনো থামে, দীঘিনালা মেঘবন্দরেঅতঃপর নামে বিরহের বিবর্ণ অবয়বেবৃষ্টি হয়ে প্রেয়সী আমার, বুকের কন্দরেজানিনা হে রাত, বৃষ্টিও বলেসে নাকি  আমার হবে,      আমারই হবে।।আহা। আমি বলি সেতো আমারই ছিলআহা। আমি বলি সে, আমারই আছেদহন নয়, আমার শোকে আড়িয়াল বিলওশুকিয়ে কাঠ। পাখিরাও কাঁদে পত্র শূন্য গাছেআসুক বৃষ্টি আসুক, ঝরে পড়ুক সবআমার চৈতন্যের সন্নিহিত ভূমেআজ রাত আমি শুনি তার নৈঃশব্দ্য কলরবআসুক বৃষ্টি রাঙামাটি পাহাড় পাদদেশ চুমে।


বৃষ্টি নয়, মেঘ নয়, রাতের আঁধার নয়আমি কেবল ক্ষয়ে যাই বিশীর্ন হাড়ের মতোতুমি কি জানো    এ বৃষ্টির কি আছে আদি পরিচয়কেবল ক্ষয়, কেবল বাড়ে তার ক্ষতোআসে বৃষ্টি। আসে তার পূণ্য রূপ ধরেঝরে পরে ধসে পরে পৃথিবীর যত অহমিকাহে সুন্দর রাত। আজ এই নীলাভ নির্ঝরে দূর হয়ে যাক জগতের সকল বিভীষিকা।বৃষ্টির সাথে তুমি ঢেলে দাও অন্তরে তারসুন্দরের সুকোমল জলদূর হয়ে যাক পাষণ্ড আঁধারতুমি নির্মল করো তাকে,অতিশয় নির্মলআহা বৃষ্টি জল পূণ্যতায় ভাস্বরবিধাতার অম্লান অপরূপ দানঝরে বৃষ্টি কাঁপে ধরিত্রী কাঁপে থর থরতুমি তাকে করো মহীয়ান।



একবার সেবৃষ্টি হতে গিয়ে অদৃশ্যেমিশে গেলো নগ্ন বাতাসেআর আমি হে রাত তোমার অন্ধকারেখুঁজতে খুঁজতে হয়রানতুমি ভাসতে থাকো বিরহের ক্ষারেআর আমি অগোচরে তার      প্রেমের সড়ক করে যাই নির্মাণঅতঃপর সে প্রেমের সড়ক ধরে অতি ধীরেফিরে আসেউচ্ছ্বাসে ভরা এভিনিউ অথচ ক্লান্তক্লান্তির ছায়া পরে অক্লান্ত নিশির শিশিরে


চলবে______



একলা একা আকাশ দেখিনূরুল হক

১.

দেখতে আকাশঅমাবস্যাদেখতে গভীর বনতুমিই আমার চাঁদ বটে হায়নিরাভরণ প্রেমের অনুরণন।

যখন বলোনিকষ কালো অন্ধকারসেই আঁধারে   হৃদয়খানি বন্ধ কারআঁখি তার    ভীষণ টলোমলো।

দেখতে আকাশ মন মহুয়াদেখতে সবুজ বনচক্রবালে টানে আমায়   আমার তনুমন।।

অমন মধুর লগ্নে তুমি নেইতো কাছে, নেইতো আশেপাশেএকলা একা আকাশ দেখিজমিন ভরা শ্যমল দূর্বাঘাসে।

২.

একলা একা আকাশ দেখিসংরক্ষিত বননিঝুম রাতে ঝিঁঝিঁ পোকাতারা অগণন।

রাতের আছে মিষ্টি সুবাসসব লোকে কি পায়রাতকে নিয়ে বসেই থাকিতবু মন কেন যে হারায়।

হারায় হারুক গন্ধ আসুকরাতের সাথী আমিরাতের সাথে খেলতে থাকিআঁধার জলে নামি।

গানের সাথে মিতালী তাইসপ্ত সুরের নামগঙ্গাধরে পূণ্য স্নানবিধি নহে বাম।

এক নদী নয় বঙ্গদেশেহাজার নদী বহেচর্যা পদের পদকর্তরাএই সব বুঝি কহে।

পদের ভেতর লাবণ্য আরশাহানামার শাখাএকলা আছি সেটাই ভালোকিসের আঙরাখা ।




আমরা আজ আমাদের সময়কেঅতিক্রম করছি।নূরুল হক


আমরা আজ আমাদের সময়কেঅতিক্রম করছি।সুখে এবং শোকে ঘাতকের বুলেটে, যে দেহ লুটিয়ে পড়ল মাটিতে, এবং অবসান হলো একটা অধ্যায়ের।কখনো সেই হন্তারককেআমরা ক্ষমা করবো না। মাত্র একটি বুলেট ।কি করে ভেদ করে গেলো পুরো জাতির হৃদয়। আমি দেখি , কি করে ফুঁসে ওঠে শোকাহত সমুদ্রের জল। আজ এ ভেজা অপরাহ্নে, অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে আছে ভারাক্রান্ত পাখিরা। নতুন করে জেগে ওঠা হিরোশিমা আর নাগাসাকি। কি করে পুনর্বার বহন করবে সেই পুরনো আণবিক শোক।যদিও ভালোবাসা কখনো পরাজিত হয় না। 

হে নেতা। আমরাও তোমার সাথে ঘুমিয়ে যাবোযেমন করে আমার জননী দুদিন আগে ঘুমিয়ে পড়েছিলমৃত্তিকার শয্যায় যেমন করে সেদিনঘুমিয়ে পড়েছিল পৃথিবীর অন্য প্রান্তেতাইওয়ানের উজ্জ্বল আলোকচ্ছটার ভেতরHong Ying এর পবিত্র পিতা।

আমি তোমার আত্মার শান্তি কামনা করিযেমন করেমাতৃ বিয়োগ ক্লান্ত আমিমায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি 




তুমি নেই এ নিখিলেনূ রু ল হ ক

মাঝে মধ্যে মনে হয় তুমি আছোযেমন তুমি ছিলে সর্বব্যাপী এ নিখিলেএখন নিশ্চিত আমি , তুমি নেইআমি আছি পূর্ববৎ সেই মতিঝিলে

তুমি নেই বলেই খেই হারা এ শহরে ইদানীংথাকে না কিছু শরীরী কিংবা অশরীরীবুকে বাজে ভ্রমে, রিকশার বেল হিং টিংচোখ দুটি ক্রমে হয়ে যায় আগ্নেয়গিরি।

এখন এ শহরের উত্তর দিক, অকমর্ণহিম আক্রান্ত দ্যুতিহীন পান্ডুর ফ্যাকাসেদক্ষিণের মতিঝিল সেও আজ বিবর্ণবিরহ শিশির ঝরে পড়ে অস্তিত্বের দূর্বাঘাসে 

কোথাও যেতে মন চায় না আর , কোন দিকেযদি ফের ফিরে এসে না পাও আমাকেযদিও একে একে সব কিছু হয়ে আসে ফিকেশহরের ফুটপাথ অলিগলি দৈব দূর্বিপাকে।

যাহাই বলো, উত্তর দক্ষিণ কিংবা পূর্ব পশ্চিমতুমি নেই বলে এ নিদাঘে আমি হয়ে গেছি হিম




হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়।

কিছু কিছু স্মৃতি কথা কিছু কিছু গানহৃদয়ের ছায়াপথ, বিবর্ণ উঠানফেলে আসা জীবনের যত প্রেম কামআরক্ত শরীর থেকে ঝরে পড়া ঘামএকে একে যায় ক্ষয়ে পাথর সময় হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

ছবিরা ছবির মতো কথা কয় একাবৃক্ষডালে হেসে উঠে কুহু আর কেকাএসব লাজুক হাসি, লাজে ভরা গালকুমুদ কৌতুক যেন হয়ে আসে লালহাসে গায় মহাকাল নেই লয় ক্ষয়হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

কখনো অধীর তুমি কখনোবা আমিস্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে নোনা জলে নামিস্মৃতির দহন আহা প্রস্ফুটিত দিনপ্রবল মায়ায় ঘেরা , হয়ে আসে লীনতবুও মানিনি হার , লব্ধ পরাজয় হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

মনে পড়ে তুমি আমি উপমহাদেশেফলিত চাষীর মতো কিষানীর বেশেউড়িয়েছি বিজয়ের নন্দিত নিশান ভেসে ওঠে গ্রামোফোনে দিগ্বিজয়ী গানকোথায় সেসব স্মৃতি মুগ্ধ মায়াময় হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

অতপর এ নগরে পাখি হয়ে আরআসিবোনা এই আমি মাড়িয়ে আধাঁররাতের সড়ক ধরে অবিচল মনেখট খট সিড়ি ভেঙ্গে স্থিত পদ্মাসনে ফিরিবোনা সুকুমার অচিন অজয়হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

আমার সঙ্গিনী তুমি ভূতপূর্ব সখিআমার সঙ্গিনী তুমি তিক্ত হরিতকী আমার সঙ্গিনী তুমি সিক্ত পানিফলআমার সঙ্গিনী তুমি সমুহ সজল সমতল পাটাতনে অজর অক্ষয়হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

রজনী গভীর সেই নারঙ্গি প্রহর অদৃশ্য তরঙ্গে কাপে অন্ধকার ঘরআমি শূন্য বাতায়ন দৃশ্যপটে কেউতোলেনা নিশির বুকে উজ্জিবিত ঢেউশীতের সন্ত্রাসে রাত বিভীষিকাময় হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

আহারে অতীত স্মৃতি ব্যথা ভারাতুরসহেনা হৃদয়ে আর বেদনা বিধুর তবু দিন চলে যায় রাতের নিয়মে স্মরি আমি তোমাকেই প্রতি দমে দমেবিরহে বিদগ্ধ মুখ দেখি কতিপয় হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

চেন্নাই শহর কিন্বা সমুদ্রের পাড়ললিত লাবণ্য মেখে করেছি উজাড় বিমূর্ত প্রকৃতি স্নিগ্ধ সবুজের ঘ্রাণ জুড়িয়ে শীতল করে বিদগ্ধ এ প্রাণ হেটে গেছি দুজনেই বিমুগ্ধ হৃদয় হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়


জননী স্কোয়ার হয়ে সৌম্য চার্মিনারকুয়াশা আচ্ছন্ন আখিঁ কেটে অন্ধকার হাজার হাজার ক্রোশ ঘুমে কি নির্ঘুমপেছনে রেখেছি ফেলে স্বীয় মাতৃভূম আলো ধৌত নগরের মুখ জ্যোতির্ময় হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়

এভাবেই অবিরাম লিখে কাব্য কলাগড়েছি হৃদয়টাকে সুফলা সুজলা মুঠে পুরে এ পৃথিবী মায়াবী কাননসুশীল সৌন্দর্যে আকা তোমার আননঅচেনা বৃক্ষের সারি বিম্বিত বিষ্ময় হারানো অতীত যেন ঋদ্ধ বরাভয়।







মধ্যরাতের কবিতা-------------------------------------------------

স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে দিলে আনন্দ মুখরসব দিন আর রাত। আবেগের বসেকাটাও বিরহ কাল । হিংস্র নখর সুখগুলো একে একে পড়ে শুধু খসে

সুরম্য ঘরের ছাদ যেন অযাচিত বিনা মেঘে আচম্বিতে পড়ে বজ্রপাত কেমন নিয়তি দেখ হিতে বিপরীতসয়ে নাও স্বেচ্ছাচারী ঘাত প্রতিঘাত

জীবনের কুল ভাঙ্গে হতাশার ঢেউধেয়ে আসে দূর থেকে দ্রুততম বেগেধূসর বিবর্ণ ক্লেদ পাশে নেই কেউরাখিবে মাথায় হাত বাকী রাত জেগে

কে দেখাবে স্বপ্ন আর কে দেখাবে পথকে শুনাবে স্বপ্ন সিক্ত নান্দনিক গানকে রাঙাবে আলপনা সদৃশ্য দৈরথযেন নদী বহমান সমৃদ্ধ উজান 

কে আনিবে রাঙা ভোর গোধূলি রঙিনকে আনিবে অনাগত বর্ণালি প্রহর কে ঠেকাবে অনাহুত বিষে ভরা দিনযে হৃদয়ে বয়ে যেতো শোকের নহর

এ পৃথিবী বিভমিষা বিষণ্ণ বিমূঢ়এ পৃথিবী বর্জ্যময় অরণ্যে রোদনএ পৃথিবী অকৃতজ্ঞ অশুভ অসুর।এ পৃথিবী হীনমণ্য ক্লান্ত সূর্যধন 

হায়রে মুকুন্দপুর। সোনা ফলা দিনচেন্নাই সৈকত আর ইন্ধোর লালবাগছিল কত চিত্ত হরা আনন্দ রঙিনবিরহ বিমুগ্ধ আর অন্ধ অনুরাগ


জল ধোয়া মুখ নিয়ে আসে বার বারমুছে ফেলে জড়তার শেষ চিহ্ন সবমনে পড়ে অতীতের হৃদয় উজাড়করা দিনের স্মৃতি স্নান স্নিগ্ধ অবয়ব

কখনো ঝড়ের গতি অতি উল্লম্পনপ্রচণ্ড প্রবল সেই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাতবু তুমি ছিলে কাছে আমার আপনএভাবে কেটেছে কত বেলা অবেলা চলবে...





নিহত নক্ষত্রনূরুল হক

ত্রিশূলে রক্তাক্ত আজ আমার হৃদয়কি অমন অপরাধ জনিনাতো প্রভূএ জীবন ধীরে ধীরে হয়ে যাবে ক্ষয়বুঝবে না কোনদিন জানবে না কভু

কাহার চক্রান্তে তুমি বিজিত সৈনিকবীর বেশে যুদ্ধে নেমে বিদ্ধ কর দেহপ্রেমে পরাজিত আমি হারিয়েছি দিকখুন হলো অনায়াসে এ অপত্য স্নেহ

কিছুই বুঝার আগে হয়েছি নিহততোমার প্রদেয় প্রেম ছিল নাতো মিছেআমাদের দুজনের ছিল কত ব্রতএখন ঝরাও রক্ত তীরের কিরিচে

মহিয়সী নারী তুমি আমি কোন ছাইএকাই বাসিব ভালো চরাই খাড়াই


অনন্ত নক্ষত্র প্রেমনূরুল হক

তোমার অনন্ত প্রেম আমাকে প্রদেয়আনত মস্তক শীর্ষে অনাবাদি বুকেরেখেছি পুজোর ফুল কেন হবে হেয়কান কথা বলে যায় নিকৃষ্ট উল্লুকে

তোমার সরল মনে যে ঢেলেছে বিষতার প্রতি ঘৃণা আজ অপুরান অতিআমার সে অভিশাপ ঝরে অহর্নিশতোমার চলন দেখ , হারিয়েছে গতি

তোমাকে আশ্বস্ত করি তুমি শুধু তুমিতোমার তুলনা তুমি আমি নই কমপ্রেম কাম গল্প কথা পারস্যের রুমীচক্রান্তে তোমার কবি, রুদ্ধ হয় দম

ঘুমের পৃথিবী দেখ নিদ্রাহীন আমিঘুমে তুমি বেসামাল জানে অন্তর্যামী


সাড়া নেই তাড়া নেইনূরুল হক

তোমাকে ডেকেছি আমি নেই কোন সাড়াক্লান্তির পাখায় চড়ে অনুপম ঘুমযদিও প্রতীক্ষা ছিল নেই কোন তাড়াতারা ভরা রাত আজ নিভৃতে নিঝুম

ঘুমের পক্ষিনী দেখ ঘুম নিয়ে একাতোমার দুচোখে ঢালে নেশার আরতিসারারাত সাক্ষী আছে কুহু আর কেকাক্লান্তির পারদ উঠে নেই কোন যতি

গল্পকার চোখ খোল কবি আছে বসেতোমার গল্পের ঝোলা তাও নাও খুলে নীল হয় কবিবর যন্ত্রনার কষেগল্প নয় কব্যকলা যায় কবি ভুলে


আহারে বাদল দিন। ঝরে ঝর ঝরঅদৃষ্টে চিত্রিত কষ্ট জানে দিবাকর।

--------♥️ডাকলাম


এখনো চোখ খোলাতোমার আত্মভোলা কবিরযে চোখে কেবলই তুমি আরকবিতার ঝোলাতুমি নেই, ঝোলা শূন্য স্থবির দু চোখে ঘুম আসে কি করেরাতের উপত্যকা আর পথে প্রান্তরেকবি খোঁজে তোমাকে চক্ষু বুজেতুমি নাই। ঝোলা নাই ঘরেকবি কাহারে খুঁজেশব্দের পুষ্প কলি খোঁপায় গুজে।

রাতের বুকের উপর দিয়েসময় গড়িয়ে যায় সময়ের তালেঅন্ধকার চক্রবাল হয়ে রাত চলে নিরানন্দে এই করোনা কালে।

আমিতো রাত নই , স্থবির নিশ্চলআত্মভোলা তোমার কবির দুচোখ থেকে কেন ঝরে পড়ে অশ্রুজল।।

রাত 4 : 44


যেতে চায় না মন। হে অবুঝ মনতবু যেতে হবে। ঘুম ঘুম চোখেশ্রাবণ বৃষ্টির দিন। ঝরে ঝন ঝনতুমি আছো জেগে এই অনন্তলোকে

এখন আমায় একটুখানি বিদায়একটু খানি দাও বিদায় পরশপেরেশান ছিলে প্রেমের ক্ষিধা য়মন ভরেছে তব খ্যাতি আর যশ


কোমল কচি আর নম্র হাতে আজমন খুলে রচি প্রীতিময় সৌধছন্দে প্রেম, প্রেমের কারুকাজমেঘ কেটে উঠুক ঝরঝরে রৌদ

তোমার প্রেমে আজন্ম আনতমুগ্ধ চিত্তে আজ বিমোহিত আমি শুকিয়ে গেছে প্রিয় সমূদয় ক্ষততোমার হয়েই রহিবো অনুগামী

বৃষ্টি ভেজা এ কদম তোমার জন্যবর্ষা স্নিগ্ধ কদম ভেজা সুপ্রভাততোমায় পেয়ে তোমার নূরুল ধন্যকেটে গেছে অন্ধকার দুর্বিষহ রাত




আমার এখানে রাত্রি শেষআমি কার পানে অনিমেষআঁখি মেলে তাকিয়ে থাকিকার ছবি অপলক বুকে আঁকি

আমার দুচোখে বুঝি নামে ঘুমতুমি এখন কি করো বলোআমার এখানে রাত্রি নিঝুমবিরহে কাদি আমি অশ্রু টল টলো







আকালনূরুল হক

এখন আকাল খুব কবিতার। কবি আছে ঢেরকবিতা নিহত আজ অন্তর্জালে, অনাহুত ঝড়েকিছু কিছু প্রিয় নাম দিশাহীন গুছিয়ে আখেরআপন অস্তিত্ব নিয়ে অন্তর্লীন কৃষ্ণ গহবরে।আহাম্মক ভাঙ্গে গড়ে কিযে গড়ে কেউ কি তা জানেরাগে ক্ষোভ পদাবলী ভেসে যায় খরা আর বানে


দেবী ১

আমি তোমাকেই দেখিভেতরের আঁখি মেলেঅন্তরের প্রদীপ জ্বেলেআহ্ হা হা হা আহ্ হা হা হা

যেদিন তোমায় দেখেছি প্রথম তুমি ছিলে   গুরু গম্ভীর মেঘ থম থম    মেঘ থম থম  যেন টুকরো টুকরো সুখ উড়ে উড়ে যায়।।ভর করে স্বপনের পাখায়হেসে আর খেলেভেতরের আঁখি মেলে


যেমন ছিলে তুমি প্রথম দিনেএখনো তেমনি আছ হৃদয় গহীনেতাই আমি দেখে যাইদেখে দেখে কেবলই হারাই




নূরুলের আত্মা নূ রু ল হ ক


কবেই মরে হয়ে গেছে কঙ্কাল যে ছিল একদিন তোমার নূরুল এখনো তার আত্মা নির্ভেজাল ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীর পথেঘাটে      একথা নয় ভুল এক চুল 

মনে রেখ সে ছিলনা কোন ফেককিংবা ভার্চুয়াল কবি। প্রকৃতির নির্যাস ছেকে ছেনে সাজিয়ে তুলতো তোমায়। এর অতিরেককখনো সে ভাবেনি। আজ খড়কুটো ঘাসঢেকে আছে তার কবরের উপরদেখ দেখ। সেখানেও লিখা নেই নাম ধাম এপিটাফ ইহকালে তার ছিলনা যেমন               কোন বাড়ি ঘর       যে তুমি তাকে বুঝেছিলে ভুল।                        করে দিও মাফ

পরকালে সে তোমায় ঠিক ঠিকচিনে নেবে একেবারেই নির্দ্বিধায় যখন তুমি আড়চোখে তাকাবে এদিক সেদিকআসবে তোমার নিশানা বরাবর গুটিগুটি পায়...গুটি গুটি পায়। কেটেকুটে সকল অন্তরায় তোমার নূরুল দেখিও এ নয় কোন স্বপ্ন অপ্রতুল----------+++--------

ঘুম আসেনা , আসে রাতনূ রু ল হ ক

যতই বলো ঘুমাও। বললেই কি ঘুম আসে?এ দেশের ঘুম কখনো ছিলনা কারো অধীন অবলিলায় চারদিকে পরে থাকে কত কাজনিয়তির সিড়ি বয়ে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে আসে দিন।

তুমি আর আমি মুখে মুখে যত বলি শুভরাত্রিরাত আসে অন্ধকারে রাতের নিজস্ব নিয়মে অচেনা স্টেশনে বসে আছি এক নিশীথ যাত্রী কই তুমি। জপি তোমার নাম প্রতি দমে দমে

আমার বসুন্ধরায় আমি একা, কেবলি একাপ্রেম আসে ঘনঘোর বৃষ্টি আসে মেঘের হাত ধরেঅন্য বসুধায় তুমি সেই সুপ্রাচীন কুহু আর কেকাআমিহীন পরে থাকো অতি দুঃখ ভরে কার ঘরে


তুমি যখন সপ্রতিভ বলো শুধু ঘুমিয়ে যেতেঘুম আসেনা আসে রাত, আসে রাতের পাখিতোমার সন্ধানে ঘুরি বাংলার পথে আর ক্ষেতেঘুম নয়। তোমার বিরহ আজ কই আমি রাখি




স্বর্ণলতানূ রু ল হ ক

মৃত্তিকার সংযোগহীন হলদেটে গুল্মরাজি এক পরগাছে বাস যার অতি প্রিয় স্বর্ণলতা তুমিআপন মেরুদন্ডে অহর্নিশ ভর করা মনুষ্য বিবেককখনো হয় না জাগ্রত আহা। কলঙ্কিত পুণ্যভূমি

নিখুঁত সোনালি রঙ উদ্ভাসিত গোধুলি আকাশ বাংলার অবারিত জমিন জুড়ে গুল্মের আবাহনঅনন্তের ছায়ায় আজো দেখি তরু আর তারুণ্যের উদ্ভাসপরগাছা নও তুমি।এ তোমার অযাচিত সাত কাহন

বৃক্ষের শরীরে শরীরে সুন্দরের মনোরম আরতিবেড়ে ওঠে অবিরাম উচ্ছ্বাসের ভাসমান আবিরেহে গুল্মরাজি। তোমার ভালোবাসায় পরেনা যতিআমিও বেড়ে ওঠি লকলকে অনুভবের বৃক্ষঘিরে


এখন শ্রাবণ দিন। কেয়া ও কদমের সন্নিহিত ডালে বঙ্গদেশি এ কবিকে পুনরায় স্বীয় মায়ায় কেন জড়ালে




আসতেই হবেনূরুল হক

আসতেই হবে চুকিয়ে দিতে প্রহরতোমার আসল শিকড় সন্নিকটে সমাজের চিরচেনা আমার জয়া সূত্রধরএই পৃথিবীর মানবিক বালুময় তটে।

আমিই বা আর কে কিবা পরিচয়পড়ে থাকি অবজ্ঞায় প্রতিটি দিনহয়তো মানুষ নই প্রাণহীন নিশ্চয়তুমি বিবেক জন্মভূমি সার্বজনীন

চলে গেছো যতই এসেছো ফিরেপুনর্বার অবনীর মায়ার শৃংখলেআমি মানুষ নই ।আমাকে ঘিরেনাচে না রাধা নাট্যমঞ্চে, মখমলে

দুনিয়া কাঁপানো ঘৃণিত মহামারীআমি তুমি দেখ পরে আছি ফাঁদেকরোনায় প্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়িকাজও হয়না যে কোন ফরিয়াদে

আমাকে নিয়েই কত অভিযোগআনমনে হাসি ভালোবাসি কইএখানে আমাকে কে দেবে নিয়োগনেই প্রাণ তাই আর কিসের হইচই

জানিনা আমি কেন আসো ফিরেতবু ফিরে আসো এই ধরণীতেঅদৃশ্য মায়া আর কবিতার ভিড়েকাঁপন ধরে যায় অস্তিত্বের ভিতে

এভাবেই তুমি আসো বার বারআসতেই থাকো আসতেই থাকোকবির জন্য করে দিয়ে উজাড়সৃজন করো নব প্রনয়ের সাঁকো

চলবে........ধারাবাহিক ভাবে


আসতেই হবে ফের শত অনুরাগেমুছে দিয়ে সব ক্লিষ্ট অনুযোগরাগে বিরাগে এই পুষ্প ভরা বাগেনতুন করে তাকে করিতে সম্ভোগ


পারিনি দিতে কিছুই তোমাকেপ্রভাতের সূর্য স্নিগ্ধ কিছু আলোকর্মক্লান্ত দিবসের ফাঁকহীন ফাঁকেপাখি জাগারাত ছিল অগোছালো

নাক্ষত্রিক প্রেম দিয়েছি কিঞ্চিৎ স যত্নে সরিয়ে জোছনার স্পর্ধাকখনো গ্রীষ্ম আহা হেমন্ত ও শীতখুলেছি দুহাতে তার শরমের পর্দা

পারিনা যেতে করোনা কালে তোমার কাছেএ আমার অনিচ্ছাকৃত অপারগতাএকা থাকি চারপাশে প্রেতাত্মা নাচেতবু তোমাকে জানাই আমার কৃতজ্ঞতা


জাত কচুনূরুল হক

চাপায় কাঁপায় বন। জাত কবি উনিজাত কচু বড় ভাই। শুনি বড্ড গুণী গাল গপ্প গার্ল ফ্রেন্ড হায় কলি কালকবি নয় আহাম্মক। যুগের জঞ্জাল



একটু পরহটাৎ কবিতার ভেতরউঠল ঝড়।

তুমি টেমসের পাড়েআমি বাঙলায়ধুলি ধূসর বাঁশ ঝাড়ে

দেখি কাতর দৃষ্টিতেতুমি ভাবছ অবিরামকে আমি কবি কি নাম ধাম

আমিও ভাবি আহাকে আমি কে আমি কার নামে বেলা যায় অস্তগামী।

মেলেনা উত্তর কভুদক্ষিণে শন শন বায়ু বয়আমি হেরে গেলেই তোমার প্রভূত জয়


একটু পরেআমি লণ্ডভণ্ড বুঝিকবিতার ঝড়ে




এক

তোমাকে বলছি।।এ বলার মধ্যে নেই কোন ছলাকলাহ্যাঁ। তোমাকেই বলছিকবিতা ভেবে ছুড়ে ফেলে দিও নাএকবার চোখ বন্ধ করে দেখআমি টেক্সীতে তোমার পাশেই বসাগন্তব্য স্থল সাভার।সেখান থেকেই তোমাকে উঠিয়ে দেবমানিকগঞ্জের বাসে।এতটুকু পথ কেবল আমাদের ভালোবাসা নামক অতি দূর্লভ একঅনুভূতিকে আরও শাণিত করার নন্দিত অভিপ্রায়তোমাকে জয় করার অদম্য বাসনা,অণু পরমাণু আর তিল তিল করেসঞ্চিত সেই ভালবাসার পুষ্প রেনুতোমার অতি বিরল অস্তিত্বে    ছড়িয়ে দেওয়াবিনিময়ে তোমার শরীর নিঃসৃতঘামের সুখেদ গন্ধ গ্রহন করা।দুটি ভিন্ন মেরুর বিপরীত লিঙ্গপরস্পরের সান্নিধ্যে এসেএকটি দেহে রূপান্তরের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করা। অতঃপরএকটি মিনি খাদ্যের দোকান থেকেফ্রাইড রাইস আর চিকেনভেজিটেবল মাখা প্রলম্বিত প্রহরহাতে ধরে পুনরায় বাহনে ফিরে এসেচলন্ত ঝুলন্ত সেই খাবারেঅনুযোগ মিশিয়ে খেতে বাধ্য করেতোমার শিয়রের দিকে ঝুঁকে পরাকিংবা তুমি তন্দ্রার ছলে বার বারআমার গায়ের উপর    নম্র ভাবে ধাক্কা দিয়েস্যরি বলে লজ্জায় আনত হওয়া।আহা, সেই সব দিন যেন তিলে তিলেগড়ে ওঠা প্রেম। পটে বসা সূর্য।তুমি বললে, কবি। আমার কবিকিছু সময় কি কোন একটা কক্ষেএকান্তই সংশ্লিষ্ট হতে পারিনাআমি সেই কক্ষ খোঁজার নিমিত্তেপূর্ব পশ্চিম এক করলামমানব অঙ্গ ভাঙ্গা গড়ার     সেই দোকান থেকেআদিষ্ট হলাম ভবানীপুরের এনজিও অতঃপর বাকিটুকু ইতিহাস।জন্ম আর পুনজন্মের জয়গান।

দুই

তোমার ভেতর থেকে অন্য এক তুমিকেবের আনার প্রেক্ষিতে আমার কত কসরত। প্রেম কাম পেষণ নিষ্পেষণসৌহার্দ্য কামনা বাসনা কল্পনাস্বপ্ন প্রীতি সম্প্রীতি ঝগড়া আরওনিন্দিত ঘৃণিত বলতকার।।

তুমি বেরিয়ে এলেতুমি প্রকাশিত হলেআমি কখনই নিজকে জাহির করিনিতুমি যখনই বলয়ের বাহিরে গিয়েবৃন্তচুত ফুলের মতো পঙ্কিল জলেঅহেতুক প্রস্ফুটিত হবার গোপন বাসনায় নিজেকে নতুন করে মেলে ধরার অভিপ্রায়ে নিমজ্জিত হলেআমার পৃথিবী দুমরে মোচড়ে যেতে থাকলআমি খান খান হয়ে হিতাহিত জ্ঞান শূন্যপাগলের মতো প্রলাপে মেতে উঠলাম।

তিন

তুমি ফিরে এলেতোমার মতোই ফের নতুন অবয়বেতুমি ফিরে এলেআমার পৃথিবীতে প্রকাশ্য কলরবেতুমি ফিরে এলেদর্পিত চিত্তে চোখের তারায় নির্ভারতুমি ফিরে এলেফুলে ফুলে ভরে উঠলো বাগান আমার।

এবংযে আমার মৃত্যু হয়েছিল তোমাদেরকিছু কিছু কথায় আর ভাব বিনিময়েসে আমি ফিরে পেলাম সম্বিৎতোমার করুণা ক্রমে করোনা জয়ে।।

চার

জানি। প্রেমিকের বিরহে প্রেয়সীহতভম্ব হয়। নিজেকে সঁপে দেয় না অন্য কারো হাতে ভোগের নিমিত্তে।তুমিও দেবে না। যেমন দাওনি আগেনিজকে রেখেছ ধরে নিজের বৃত্তেআমার জন্য সহস্র রাগ অনুরাগে।

আমি মরে গেলেসংযত থাকিও অন্যুন চল্লিশ দিনকাউকে করোনা আহ্বান। কিংবাগ্রহন করনা কারো প্রেমের প্রস্তাব।

আমার জীবৎকালেআমার অবর্তমানে কষ্ট হলেওসবুর করে ঠিক রেখো নিজের পুত পবিত্র এ শরীর খানি






কষ্ট


ভালবাসা প্রতিহিংসা নয়কবিপ্রেম বলে কথাকলি কালে চলে হিসেব জয় পরাজয়আমি পড়াজয়ে খুঁজি জয়ের সার্থকতা।কষ্ট কণ্টকাকীর্ণ বৃক্ষ ডালহালচাল মহাকালসময়ের মহা জঞ্জালআনত আগুনে জ্বলি তবু আমি নই কোন দজ্জাল।

কষ্ট ক্লান্ত কবি কর্মমুখরকষ্ঠের নোনাজলে তার বসতঘর



আমার প্রকৃতি তুমি নূরুল হক

 রাতের মৌনতা ভেঙে জেগে উঠি রাতের বিবরে পাশে নেই এই তুমি। নিশিভোর কখনো কি ছিলে শুধাই নিজেকে আমি অন্তপ্রাণ শূন্যতার ঘরে তুমি আছো তুমি নেই। সুনসান নীলাভ নিখিলে

 প্রস্ফুটিত পুষ্প বাগ ভাইরাসে প্রকম্পিত আজ তোমার সৌরভ তবু কিছু তার ভেসে ভেসে আসে প্রকৃতির মন ভার , এ ধরার অমলিন সাজ কেমন বিবর্ণ দেখ মৃতপ্রায় করোনা সন্ত্রাসে।

 তোমাকে সাজাবো ফের ঘষেমেজে পূণ্য অবয়বে তোমাকে ফিরিয়ে দেব সমূদয় শরীরী উত্তাপ যদিও কিছুই নাই এ চাষীর ফসলের স্তবে অচেনা কিটের ক্ষত অনির্নিত বেঘোর প্রলাপ।

 আমিতো পাষণ্ড নই। কবি আমি তাই ফিরে আসি আমার প্রকৃতি তুমি। হে প্রকৃতি এক সাথে হাসি

 মার্চ ৩১ ২০২০  ০৪:৪৪












না থাক যাব না আরনূরুল হক

না থাক যাবো না আর, কেন যাবো কার সাথে কবেগোড়ায় পড়েছে বাঁধা। জল শূন্য শোকে ক্লান্ত আমিপড়ে থাকো তুমি নগরের সেই অন্ধ কলরবেঅস্তগামী সৌরলোকে অপ্রসন্ন ঘোলা জলে নামি

কথা ছিলো যাবে তুমি সাথে যাবে চিম্বুক পাহাড়যাবার আগ্রহ নিয়ে কবিতার প্রচণ্ড উচ্ছ্বাসইতিহাস মাথা কুটে। ভেঙে পড়ে অস্তিত্বের হাড়দুজন ছিটকে পড়ি অন্যপ্রান্তে বেড়ে উঠে ঘাস।

কবিতা লিখিনা আমি সেই থেকে, চেতনায় ঘুনদু ধারি করাত যেন চেটে খায় প্রবাল হাঙরআবেগের পাখি গুলো একে একে হয়ে যায় খুনধসে পড়ে অনন্তের অনির্নিত নির্বোধ প্রহর।

কথা ছিলে যাবে তুমি। লিখা ছিল লুপ্ত ইস্তেহারসরে যায় কালক্রমে পথ ভ্রমে চিম্বুক পাহাড়।।


প্রতীক্ষায় থাকিনূরুল হক

পাহাড়ে নগরে আহা পাখি হয়ে আরকখনো যাবনা আমি মাড়িয়ে আধাঁররাতের সড়ক ধরে অবিচল মনেখট খট সিড়ি ভেঙ্গে স্থিত পদ্মাসনে ফিরিবো না সুকুমার অচিন অজয়হারানো স্বপ্নেরা তবু ঋদ্ধ বরাভয়

কিছু সেই স্বপ্ন কথা কিছু কিছু গানহৃদয়ের ছায়াপথ, বিবর্ণ উঠানফেলে আসা সংলাপ যত প্রেম কামআরক্ত শরীর থেকে ঝরে পড়া ঘামএকে একে যায় ক্ষয়ে পাথর সময় হারানো স্বপ্নেরা তবু ঋদ্ধ বরাভয়

ছবিরা ছবির মতো কথা কয় একাবৃক্ষডালে হেসে উঠে কুহু আর কেকাএসব মোহন হাসি, লাজে ভরা গালকুমুদ কৌতুক যেন হয়ে আসে লালহাসে গায় মহাকাল নেই লয় ক্ষয়হারানো স্বপ্নেরা তবু ঋদ্ধ বরাভয়

কখনো অধীর ছিলে কখনোবা আমিস্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে নোনা জলে নামিস্মৃতির দহন তবু প্রস্ফুটিত দিনপ্রবল মায়ায় ঘেরা , হয়ে আসে লীনতবুও মানিনি হার , লব্ধ পরাজয় হারানো স্বপ্নেরা তবু ঋদ্ধ বরাভয়

আমার সঙ্গিনী তুমি আরক্তিম সখিআমার সঙ্গিনী তুমি তিক্ত হরিতকী আমার সঙ্গিনী তুমি সিক্ত পানিফলআমার সঙ্গিনী তুমি সমুহ সজল সমতল পাটাতন অজর অক্ষয়হারানো স্বপ্নেরা তবু ঋদ্ধ বরাভয়

রজনী গভীর সেই নারঙ্গি প্রহর অদৃশ্য তরঙ্গে কাপে অন্ধকার ঘরতুমি শূন্য বাতায়ন দৃশ্যপটে কেউতোলেনা নিশির বুকে উজ্জিবিত ঢেউআশার সন্ত্রাসে রাত বিভীষিকাময় হারানো স্বপ্নেরা তবু ঋদ্ধ বরাভয়

আহারে অতীত স্মৃতি ব্যথা ভারাতুরসহেনা হৃদয়ে আর বেদনা বিধুর তবু দিন চলে যায় রাতের নিয়মে স্মরি আমি তোমাকেই প্রতি দমে দমেবিরহে বিদগ্ধ মুখ দেখি কতিপয় হারানো স্বপ্নেরা তবু ঋদ্ধ বরাভয়

দেশের চৌহদ্দি ছেড়ে আশা নিয়ে বুকেহয়না যাওয়া আর, বক্ষ ধুক পুকেআজ নয় কাল যাব, আসেনা সে কালআশা নিয়ে আঁখি মুছি স্বপ্নের রাখালসবুরে মেওয়া ফলে। অতি স্বপ্নময়হারানো স্বপ্নেরা তবু ঋদ্ধ বরাভয়

স্বপ্ন বাজ কবি আমি নীলাম্বরী পাখিহয়তো আসিবে ডাক প্রতীক্ষায় থাকি





পান করে মৃত্যুর আরক, চলে যাবনূরুল হক

এখন পড়ন্ত বেলা। ফিরে দেখি পেছনের দিনমৃত্যু মৃত্যু খেলা আঁখি পটে ভাসে স্মৃতির কঙ্কালযারা ছিল খুব কাছে তারা আজ অতি অর্বাচীনছেড়ে যাব সবকিছু পড়ে রবে সুপ্ত মহাকাল।

তোমাকে কখনো আর ডাকিব না ইশারা ইঙ্গিতেবিজয় নিশান আর উড়াব না সমরে সম্মুখেহিমের আগুন বুঝি বহিবেনা আসন্ন এ শীতেযৌবনের কল্লোলিত ঢেউগুলো ভাঙ্গবেনা বুকে।

আমার অর্জন বলে কিছু নেই শূন্যতায় ভরালেখাজোখা কল্প কথা অকর্মণ্য বাহক ধারকছিল না বসন্ত কভু। সারাবেলা সাহারার খরাতবুও প্রসন্ন আছি। পান করে মৃত্যুর আরকচলে যাব বেলা শেষে হাস্যোজ্জ্বল প্রভূর হুকুমেপ্রত্যাশা করিনা কোন দিনক্ষণ যদি থাকি ঘুমে



এখনো আছি, আছিনূরুল হক

আছি এখনো বহালপ্রাণ নিয়ে দেহের আকরেভেদ করে সন্দেহের ধুম্রজালআছি একা নোনাজল       বালি ও কাকরে

এমন করোনা কালবিনা প্ররোচনায় করোনা যাচ্ছে ঢুকেমানব শরীরে নির্ভেজালমরছে মানুষ। মরে মানবতা ধুঁকে ধুঁকেযেন কলি কাল, নয় নির্ভেজালপ্রেমের আকাল   বিশ্বাসের আকাল      মানবতার আকালআর আমি সবকিছুতেই নাকালনাকে চোখে জল। বিষম চক্রবাল

বলেছি আছি।           আছিবলিনি কিভাবে আছি এক আধটু গলা ব্যথা উসকুসসন্দেহের কাছাকাছিকরোনা নিয়েছে দখল নিরঙ্কুশ

তুমিও কেমন। এ করোনা ক্রান্তিকালেযদি বলি যক্ষের ধনরেগে মেগে অগ্নিমূর্তি। চলে যাও চক্ষের আড়ালে




এখনো আছি, আছিনূরুল হক

আছি এখনো বহালপ্রাণ নিয়ে দেহের আকরেভেদ করে সন্দেহের ধুম্রজালআছি একা নোনাজল       বালি ও কাকরে

এমন করোনা কালবিনা প্ররোচনায় করোনা যাচ্ছে ঢুকেমানব শরীরে নির্ভেজালমরছে মানুষ। মরে মানবতা ধুঁকে ধুঁকেযেন কলি কাল, নয় নির্ভেজালপ্রেমের আকাল   বিশ্বাসের আকাল      মানবতার আকালআর আমি সবকিছুতেই নাকালনাকে চোখে জল। বিষম চক্রবাল

বলেছি আছি।           আছিবলিনি কিভাবে আছি এক আধটু গলা ব্যথা উসকুসসন্দেহের কাছাকাছিকরোনা নিয়েছে দখল নিরঙ্কুশ

তুমিও কেমন। এ করোনা ক্রান্তিকালেযদি বলি যক্ষের ধনরেগে মেগে অগ্নিমূর্তি। চলে যাও চক্ষের আড়ালে


জঙ্গীবাদ নিপাত যাক

ক্যমন করে হাসিকেমন করে কাটাই সময় বৃষ্টিভেজা মুখর গানেরক্তপাতের এমন দিনেশোলাকিয়া গুলশানে       তুর্কিতেউদযাপনের তুমুল ভীড়ে ফ্রান্সেরক্তে ভেজা কনক্রিটে আর       সুরকিতে

তুমিওবা ক্যমনে হাসো কেমন করেবিশ্বজুড়ে মানবতার লালে লাল রক্ত ঝরে        রক্ত ঝরেহাসো তুমি কেমন করে

ক্যমনে বলি সুপ্রভাত ভালোয় ভালোয় কাটুক দিন

হতাশার মেঘ কেটে শেষ হবে রাতউঠবে রবি নিপাত যাবে জংগীবাদফিরিয়ে দেব. জংগিদের প্রতিশোধের সকল ঋণ



পিতার আদেশের কি করে বরখেলাপ হয়নূরুল হক

১০ জুলাই ১৯৭৫ কাপ্তাই। পার্বত্য জেলায় শেষ ভাষণ

অতঃপর তিনি বঙ্গবন্ধুর মতো অতি ধীর পায়েহেলিকপ্টার হতে নামলেন। তার অক্ষীকোটর থেকে যুগপৎ বের হতে লাগলো স্নেহের পরশমাখা আগুনের প্রজ্জ্বলিত গোলা। আমি ছিলামতার পাশেই নব অঙ্কুরিত উতুজ্জল প্রেমের আরক।

তিনি তার সদ্য প্রসবিত বহুল কাঙ্ক্ষিত আরাধ্যসন্তানবৎ মৃত্তিকার ওপর দাঁড়িয়ে পিতার অবয়ব নিয়ে উচুঁ নিচু সকলকে বাঙালি হয়ে যেতে বললেনআর অমনি কাপ্তাইয়ের জল আর হাওয়ার ভেতরধবনিত হতে লাগলো তার স্পন্দিত নন্দিত গান।

পার্বত্যাঞ্চলে স্থিত সমুদয় পক্ষী আর বুনো প্রজাতিরজীব জন্তু সেই কণ্ঠ ধারন করলেন তাদের স্বীয় কণ্ঠেতার কথার অমিয়ধারা কর্নফুলির ঢেউ হয়ে প্রবাহিতহতে হতে লংগদু বরকল নানিয়ার চর লুসাই পাহাড়েধাক্কা খেয়ে আছড়ে পড়লেন দিগন্ত ছড়িয়ে অন্যত্র।

সেই থেকে সব সমতল আর পাহাড়ির একই পরিচয়বাঙালি , পিতার আদেশের কি করে বরখেলাপ হয়।



বৃষ্টি এলো এ শহরেনূরুল হক

অনেক দিন পর বৃষ্টি এলোঅরণ্যমুখর এ কাব্যভূমেবৃষ্টি এলো তার বাড়ন্ত অবয়ব নিয়েউচ্ছৃঙ্খল অথচ সুশৃঙ্খল জলের     ফোঁটায় ফোঁটায়সন্নিহিত বৃষ্টির আকর নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে    ভূমিতেসুউচ্চ অট্টালিকা অলিন্দেবৃক্ষ শিরেপাখির পালকের মতো নৈঃশব্দেকালিদাসের পুঁথি থেকে উড়ে এলো বৃষ্টি।প্রাগৈতিহাসিক বৃষ্টি আজ নিয়ে এলো জলসিক্ত শান্তির বারতাপ্রখর রৌদ্রদগ্ধ জমিনপাখির ত্রাহী ত্রাহী কলরবক্লান্ত নিদাঘ দহনজলশূন্য পদ্মদীঘির দীর্ঘঃশ্বাস সব ছাপিয়ে আজ এলোউত্তাপগ্রাসী অতি আকাঙ্ক্ষিত পাললিক বৃষ্টি।

অনেকদিন পর এ পোড়া শহরেবৃষ্টি এলো শ্রাবণের হাত ধরেপরম নির্ভরতায়বৃষ্টির সান্নিধ্যে এ নগর আজ উল্লাসমুখর

চাঁপাই নবাবগঞ্জ / বাইশ মাত্রার সনেটনূরুল হক

চাঁপাই নবাবগঞ্জ, সোনামাখা নগরের নান্দনিক খাঁজেখুঁজি আমি প্রত্নতত্ত্ব সুপ্রাচীন শিবগঞ্জ গৌড় রাজধানীরামচন্দ্রপুরহাট নীলকুঠি ভেঙে পড়ে ক্ষিপ্র আওয়াজেদেখি তার ক্ষতচিহ্ন শতচ্চিন্ন, জমিদারী মোগল খান্দানি

শাহসুফি নেয়ামত পুণ্যস্নাত স্বনির্ভর খানকা শরীফঅনির্বাণ স্মৃতিসৌধ মুসলিম শৌর্যে সিক্ত সোনা মসজিদঐতিহ্য সমুদ্রে যেন ভাসমান কীর্তিমান দ্বীপ অন্তরীপপাগলা নদীরতীরে গঙ্গাস্নানে সেরে নেচে উঠে পুরোহিত

কংসহাট্টা রাজবাড়ী ক্ষয়েক্ষয়ে হয়ে ওঠে আজ কানসাটসহস্র বছর ধরে আম্র কুঞ্জে ফোটে ফুল সভ্যতার বোলবোধের খিলানে ঠেস দিয়ে আদিগন্ত জেগেরয় ভোলাহাটগম্ভীরা চাঁপাই তুমি মহানন্দা লখিন্দর বিদ্রোহী নাচোল

এ নগরে জন্ম নিয়ে ধন্য হলো শত জন কবি আমিনুল বেহুলা বিদগ্ধ প্রাণ পুনর্ভবা, মুখরিত আমের মুকুল



১.শরতের পঙক্তি মালানূরুল হক 

শরৎ সান্নিধ্যে আমি উজ্জীবিত আকাশ সুনীলসাদা সাদা মেঘবায়ু খুলে দেয় শুভ্রতার খিল

বৃষ্টি মাখা অনুভব সন্নিহিত বোধের শরীরভিজে যায় ক্রমাগত, ধেয়ে আসে রোদেলা সমীর

মেঘের জীবন আছে বুঝা যায় শরতের দিনেউড়ে যায় যাযাবর পেজা তুলো উত্তর দখিনে

জননীর আগমন যেন এক মহা অনুগ্রহথেমে যায় নির্দ্বিধায় ধরাতলে অনল প্রবাহ

পুজো আর আর্চনায় ঢাক ঢোল শারদীয়া গানআনন্দের প্রস্রবণ নান্দনিক দূর্গার আখ্যান

কবি নই তবু করি অহর্নিশ কাব্যের বড়াইএমন শরৎ দিনে ছন্দ নিয়ে কিসের লড়াই।



২.কণকের হার

শরতের শুভ্রমেঘ স্বাক্ষীসাক্ষী আজ বাঁশঝাড় সাক্ষী জারুলের সবুজ পাতাআমি বোধহয় হয়ে গেছিপ্রেমিক ফরহাদ। ও শিরিএসো ভিজি ফেলে দিয়ে সন্দেহের কালো ছাতা।

তরঙ্গে তরঙ্গে কিম্বা উতল বাতাসেভেসে আসে আমাদেরঅয়োময় সম্প্রীতির ঘ্রাণএসো ভাদরের ভরা জলে আজদুজনেই হাসিয়া ভাসিয়া করিবো স্নানকি হবে আগে কি হবে পিছে।ভাবিবো না অতটুকু আরতোমাকেই শুধু পরাবো আমিকণকের এই হার


 তুমিনূ রু ল হ ক


দূর বহুদূর ঘুরেবহুদিন বহু আলোকবর্ষ পরঘোরমগ্ন গোধূলিবেলায় দেখিহটাৎ অনেক আলোকচ্ছটা ।বজ্রের শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ল বুঝিআমার অসমতল বুকের জমিনে।আলোক নয়আলোর গোলক নয়সৌরজগৎ ফুটো করে আসা অন্য কোন গ্রহের ইন্দ্রজালে আবিষ্ঠপৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ আর ঘর্ষণে প্রজ্জ্বলিতদূর্লভ কোন বস্তু নয়। আমি মোহাচ্ছন্ন হয়ে অপলক তাকিয়ে দেখলামকোন এক অস্পষ্ট মানবীর ছায়া।

মানবী।মায়াবী আলোর ইন্দ্রজাল সরে গেলেআমি ফিরে পেলাম সম্বিৎ। আমার চোখবরাবরই অন্ধকার শোষণ করা এক পার্থিব যন্ত্রদেখি কোন সে মানবী অশরীরীআমাকে জাগিয়ে দিল অদৃশ্য দূরাগতরশ্মির তেজষ্ক্রিয় ইশারায়। আর আমি মুহূর্তেই হয়ে ওঠি অন্য এক আমিচঞ্চল অথচ গম্ভীরযেমন অন্ধকারে আলোর উন্মেষযেমন শুষ্কপ্রায় নদীর বুক চিরে বয়ে চলা জলের প্রস্রবণ।


দূর বহুদূর ঘুরেবহুদিন বহু আলোকবর্ষ পরঘোরমগ্ন গোধূলিবেলায় দেখিপ্রেম আর প্রেরনার শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়লে তুমি। তুমি।

সেই থেকে আমার চারপাশ কেবলই তুমিসেই থেকে আমি নিজেই কেবল তুমিসেই থেকে এ পৃথিবী কেবলই তুমিআলো তুমিআলেয়া তুমিসন্ধ্যার আকাশ তুমিশিশির সিক্ত ঘাসের স্বেদে জ্বলে ওঠা তুমিআমার অতল আকাংখা গহবর তলে তুমিসপ্তর্ষিমণ্ডলে বসে থাকা তারকারাজি তুমিসর্বোপরি তুমি মানেই আমার স্বদেশ শোভিত উদ্যান পূণ্যভূমি।

আমিআমি তোমাকে আরাধ্য করিআমি তোমাকে কবিতা বলে জ্ঞান করিআমার সকল যাত্রায় অভিযাত্রায়আমার সকল বর্জনে অর্জনেআমার সকল প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তিতেআমার সকল অন্ধ আবেগে মথিত হৃদয় কোটরেতুমি। তুমি । তুমি। তুমি । তুমি





তার সাথে নেই কথা। সে এখন অন্য পথযাত্রীমৃত্তিকা চৌচির আজ। এ মাটিতে সব অর্থহীনচাষ করে অবশেষে বুঝে গেছি অন্ধকার রাত্রিআনবেনা ভোর কভু। ভাগ্যে নেই প্রস্ফুটিত দিন

কালীগঙ্গা ধলেশ্বরী জলভারে খুব বেসামালশ্যাওলা জড়ানো সব ফুটপাত খিটখিটে মনঅসংলগ্ন কথকতা মঙ্গা মন্দা ভীষণ আকালবশীভূত জলে আর কাজ নেই দূষিত অঙ্গন 

তবুও প্রার্থনা করি মেরুদণ্ড সোজা হোক তারভুলের মাশুল যেন শেষ হয় অতি অচিরাৎ কেটে যাক একাকীত্ব ঘুচে যাক সব অন্ধকারবেউথা বন্দরে ভীড়ে নাও ভরা ফুলেল প্রভাত

তার প্রতি নেই ক্ষোভ। ফিরে গেছি সেই চক্রবালেএ বন্দরে ভিড়বেনা নাও খানি। আর কোনকালে

শেষ কবিতা০৪০৯২০১৭

আর কটা দিন ঘরেই থাকোনূরুল হক


আর কটা দিন ঘরেই থাকোএক ঘেয়েমি । লাগছে বোর যতই লাগুক  হাত দুখানি করছি জোড়নিজের ঘরে আপন করেসুখ দুঃখের ছবি আঁকোআর কটা দিন ঘরেই থাকো


সূর্যোদয় আর অস্তরাগে       বিরহ কি অনুরাগেকরোনা কাল ফানসে জীবন ঘরেই লীন ফিরবে আবার রেশম বোনা    স্বপ্ন রঙিনঘরেই থাকো আর কটা দিন


বলছি তোমায়   চলছে দেখ ক্রান্তিকালভ্রান্তি পুষে মনের ভেতর নির্ভেজালবানের জলের মতোই দেখ আসছে কারা । কে শোনে কার কথাঅবোধ তারা। পাগলপারা সামনে আছে   আগুন মাখা কঠিন সাঁকোআর কটা দিন ঘরেই থাকো।।


বিশ্ব জুড়ে মহামারীদেশে দেশে লাশের সারিঅচেনা এক ভাইরাসে ঘুম হারামদুচোখ থেকে ক্রমাগত ঝরছে ঘামকাঁদছি আমি। আমার সাথে কাঁদছে কাকওআর কটা দিন ঘরেই থাকো।।





এ কোন নৈমিত্তিক অবহেলা নূ রু ল হ ক

আমি যখন আমার ভেতর থেকেমুহুর্তেই উধাও হয়ে যাইতুমি তখন পার করো রাতের অন্ধকারে       রাতের চড়াই উতরাইআর কথা বলো নিসীম তন্ময়েআকাশের সাথে নীলের কিনারে বসেঅতি ভয়ে। ভয়ে আর ভয়ে...ভয়ে ভয়ে রাত্রি যায় ক্ষয়েতোমার আমার স্মৃতিগুলো পড়ে খসেপাদদেশে স্মৃতির মিনারে

 কখনো তুমিও হারাওচৈত্রনিশিতে  খইফোটা নীহারিকাতলেআমার অস্ত্বিত্বে প্রগাঢ় এ শীতে তোমাকে খুঁজতে যাই আখিজলে ঋদ্ধ অনিরুদ্ধ সরোবরজলে...

বাংলাদেশে এখন চলছে যদিওপ্রভাত আর রাতের লুকোচুরি খেলাএকদিন সময়ের এ নদীওঅকস্মাৎ থেমে যাবে অসময়ে বলো!এ কোন নৈমিত্তিক অবহেলা

আমি যখন হারিয়ে যাই তোমার ভেতর মন খুশিতে আকতে থাকো আলপনা অন্ধকারের দুচোখ থেকে ঝরতে থাকে জোসনা নামের দিগ্বিজয়ী আলোর কণা


ঐ দূর আকাশে হাসে ঝিকিমিকি হাসে নীলাকাশ জননী আমার অভিমানী, চলে গেছে মহাশুন্যে কেঁদে কেঁদে আমি বুকে নিয়ে স্নেহ আলোর উদ্ভাস ওম চলে গেছে দূর অজানায় প্রেমে কিংবা পুণ্যে

আঁখিজলে আমি ভাসি মনে নিয়ে স্মৃতির গোলাপ ডেকেছিল কতবার বুকে ভার একবার আয় স্নেহ-মায়া প্রেম প্রীতি তোকে দেব মায়ার উত্তাপআকুল সে ডাকে আমি সাড়া দিয়ে যাই নির্দ্বিধায় 

সকল দুঃখের বোঝা সেই থেকে মাথা পেতে নিয়েকেবলি তোমাকে ডাকি কই তুমি জননী আমারপৃথিবী ঘুমিয়ে আছে। জেগে আছি গাঢ় রঙ টিয়েচারদিক অন্ধকার অস্তমিত বোধের খামার।

তুমি এলে ফের এই পৃথিবীতে সব ছেড়ে আমিতোমাকে জড়িয়ে রবো হে জননী নহে অস্তগামী।




সুকুমার কবি তিনিনূরুল হক

বেশুমার প্রেমে ঋদ্ধ সুকুমার কবি বর তিনিকবিতার পাখিগুলো ভীড় করে তার চারপাশেঅম্লখার কথা তার, আশৈশব কবি বলে চিনিনেচে ওঠে কাব্যকলা মহাকাল আলোর উদ্ভাসে 

কখনো নেতার মতো অন্তপ্রাণ, কাব্যিক হুঙ্কারকখনো প্রেমিক সেজে জয় করে রাধিকার মনসোমত্ত শাহীন রেজা, বলেশ্বর প্রিয় নদী তারবয়ে যায় উন্মাতাল মায়াজাল জলের আনন।

নাগরিক কোলাহলে আততায়ী সূর্যাস্তে ফজলসোনালী কাবিন আর ছান্দসিক আল মাহমুদকবিতার বেনোজল শ্রমসিক্ত কাব্যের ফসলমুখর জাকির আর অন্যসব হয়ে যেতো বুঁদ ।

আজ তার জন্মদিন বন্ধু মাঝে পড়ে যায় সাড়াকবি ও কবিতা তাই বঙ্গ দেশে বড্ড মন কাড়া।

প্রসন্ন জীবন হোক বটবৃক্ষ প্রবাদপ্রতিম।। নূরুল হক

যার চোখে ভাসে দেশমাতৃকার ছবি অবিরামমন ও মননে যার ফোটে ওঠে পরিকোট গ্রামহৃদয় অস্তিত্ব কিংবা জীবনের স্নিগ্ধ ছায়াপথেস্বদেশ সুরক্ষা ব্রতে যাকে দেখি বিজয়ের রথেনিরপেক্ষ রেখা ধরে উড়ে যায় দ্বিধাহীন অতিঅসাম্যে অনন্তকাল রক্তলাল দেখে অসংগতিআলমগীর শিমুল নাম, আমাদের প্রিয়ছোটভাইদৈব দুর্বিপাকে পাই তাকে নিত্যদিন চড়াই খাড়াই।

আজ তার জন্মদিন। শুভাশিষে উষ্ণ মাখা হিমপ্রসন্ন জীবন হোক বটবৃক্ষ প্রবাদপ্রতিম।। 


Rate this content
Log in

Similar bengali poem from Abstract