শায়ক
শায়ক


আকাশের আরো কাছে, ঝকঝকে রোদ্দুরে
দুর্গম পাহাড় বেয়ে সীমানা, দুপাশে মৃত্যু।
যখন পৃথিবী কাঁপে ভয়ে করোনা,
দেশ পাহারাতে পথে সাহসী সেনা।
কারো বাড়ি ফেরার সময় হয়ে আসে,
পাহাড়ে বরফ পড়বার আগে নেমে আসবে।
কারো অধীর অপেক্ষা নবজাতকের মুখ দেখবার।
কারো চিন্তা লক ডাউনে কিভাবে চলছে শয্যাশায়ী বাবার।
দীর্ঘ দিন পেরিয়ে পাহাড় কোলে সন্ধ্যা নামে,
চাঁদের আলো পাহাড়ে রুপো ঢেলে দেয় যেন,
নীরব চারিদিকে, কেউ একটা মাউথ অর্গান।..
প্রিয়ার মুখ, সন্তানের আবদার, সবার যেন উজ্জ্বল মন।
রাতে নক্ষত্রদের সামিয়ানা টাঙানো আকাশ,
হঠাৎ শত্রুর সীমানা পেরিয়ে আক্রমণ,
কাঁটা লাঠির এলোপাথাড়ি, অন্ধকারে মার
দেশ কে বাঁচাও, বাঁচাও দেশের সীমানাকে।
রক্ত বন্যা সেই আলোর পাহাড়ে, লাশ পরে শায়কে
চরম আহত সেনারা সেই মৃত্যুনদীতে চিরনীরব হয়ে আছে.
হা রে মানুষ তোর ও তো আপনজন পথ চেয়ে আছে!
কফিনবন্দী ফুলসাজানো গাড়িতে বাড়ি ফেরা,
মানুষের ঢল নামে, ছোট্ট মেয়েটা তার বাবাকে ডেকেই চলে।
স্বামীর মুখ খানা একবার দেখবার ভিড়।
প্রিয়জনেরা চোখের জলে বিদায় নেয় বীর।
তবু নবজাতক দেশের হয়েই লড়বে, স্ত্রীর অঙ্গিকার চাপা কান্নায়
বাবার জেদ, আরেক ছেলে সেনা হয়েই যাবে দেশের সীমানায়।