শান্তিচুক্তি
শান্তিচুক্তি
ইসরায়েল ফিলিস্তিন ও কতবার মুখোমুখি টেবিলে বসেছে।
যদি ও শোনীতের ধারা তখনো নদীর জলের মতো বহমান।
ভেংগেচুরে কত গেছে হৃদয়ের দ্বার।
অনাথ শিশুর ক্রন্দনে বাতাসে পিতা হারানোর শোক।
তখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ খুঁজে ফেরে স্বজনের লাশ।
কই তবুও তো মুখোমুখি বসাতে কেউ অগ্রাহ্য করেনি।
অথচ আমাদের হাতে তো রক্ত মাখা নেই,
কিংবা বেয়নেট দিয়ে খুচে দেইনি কাউকে বুকের ভিতর।
না মেরেছি বোমা। তুমি আমি।
ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে কখনো সীমানা ছাড়ায়ে করিনি খুন।
তাহলে কেন?
আমরাও তো বসতে পারি অনায়াসে বসতে পারি মুখোমুখি টেবিলে।
ভুলে যেতে পারি সহসাই অতীতের ক্ষোভ।
ভুল ভ্রান্তি সব অভিযোগ।
জাতীসংঘ বারবার বলছে,
তাগাদা দিচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ।
চলো মুখোমুখি বসি।
সবাই চাইছে।
একবার চোখাচোখি হলেই,
আমাদের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হোক।
