সেই নীরার মতো (১৫)
সেই নীরার মতো (১৫)
সেই নীরার মতো (১৫)
সেই কাক ডাকা ভোরে, এই প্রথম তোমার শহরে আমার পা,
তোমার বাতলে দেয়া ম্যাপ ধরে ধরে, ক টা সিড়ি মাড়িয়ে,
দোতলার বাম পাশে দরজা পেরিয়ে, একটা ছোট ঘর।
ঘুমহীন রাত্রি, ক্লান্ত শরীরে,
আমার চোখ মুদে আসছে ক্ষণে ক্ষণে,
আরামের সোফায় আমার আধা শোয়া বিশ্রাম।
সেই বিশ্রামের সুযোগে ঘুমের হানাহানি দুচোখে।
চোখে মুখে জল ছিটিয়ে সিক্ত করেছি বারবার,
চোখের ঘুমকে বলেছি একটু অপেক্ষা কর।
মাঝে মাঝে সিগারেটের আগুনে, ঘুমের চোখে দেই ধোঁয়া,
বারে বারে ফিরে তাকাই সেই দরজার দিকে,
সেই দরজা ঠেলে আসবে প্রথম নীরা।
আমার বুকের ভিতর বাজে ক্ষণে ক্ষণে দরজা ঠোকার শব্দ,,
সতর্ক, সদা তটস্থ দুটো কান,
আমার দৃষ্টি নিবন্ধ সেই দরজায়।
এরপর এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
দরজায় খটখট আওয়াজ নয় যেন,
বেজেছে আমার বুকের ভিতর।
চোখ থেকে ঘুম হারালো একপলকে,
দরজা খুলে প্রথম দেখা নীরা তোমাকে।
সেই সুন্দর হাসি,
সাদা শাড়িতে স্বপ্নের নীরা তুমি আমার মুখোমুখি,
তোমার এই হাসি দেখার জন্য,
আমি হাজার বছরের দুরের পথ মাড়িয়ে,
আমি তোমার কাছে,
নীরা।