স্বাধীন অগ্রগতি
স্বাধীন অগ্রগতি
বাল্যকালে স্বাধীনতা ছিল পতাকায় হাতে নেওয়া,
একটু বড় হতেই বুঝি, স্রোতেই ভেসে যাওয়া।
প্রথম যেদিন স্কুলের শেষে চায়ে চুমুক দিলাম,
নিজের মধ্যে স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছে খুঁজে পেলাম।
বুঝতে পারি স্বাধীনতার ব্যাপ্তি কত বিশাল,
পাড়ার রকের আড্ডায় মজে হতেই পারি মাতাল।
চায়ের সাথে সিগারেটে টান, অবশেষে বিড়ি,
সুখ টানেতে দ্বিগুন আমেজ, খুশিতে গড়াগড়ি।
ভেতরে যদি গাঁজার মশলা ভরে দিয়ে থাকে,
মেজাজটা হয় আসল রাজা, কানাকড়ির ট্যাঁকে।
স্বাধীনতার সুখ পাখিটা হাতের মুঠোয় নিয়ে,
নিজের মতোই ওড়াই তারে, ডানা ভেঙে দিয়ে।
ধীরে ধীরে আড্ডা মারা রকের গন্ডি ছেড়ে,
প্রভাব আমার ছড়িয়ে গেলো বাঙ্কোয়েট ঘরে।
দেশি বিদেশী তরল পূর্ণ পাত্র নিয়ে হাতে,
মধুমক্ষির শরীর ঘেঁষে নাচতে থাকি সাথে।
গান বাজনার তালে দিয়ে তাল, দুলতে থাকে শরীর,
স্বত্বা হারায়, শিহরণ জাগে, স্পর্শ পেলে নারীর।
শিখে গেছি টিটকারি দিতে, বিদ্রুপ বলে যাকে,
গালাগালি দেওয়া সহজ ব্যাপার, মূল্য দিই না তাকে।
পার হইনি স্কুলের গন্ডি, তবু বুদ্ধি আছে খাসা,
বুঝতে পারি অন্যায় নয়, সবই মানি তামাশা।
সমাজ বিরোধী কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত করে,
দেশের মানকে বাড়িয়ে তুলেছি নিজের মতো করে।
ধর্ষণ বা সম্ভ্রমহানি কিছুতেই নেই ভয়,
নামটা আমার লিখিয়ে নিয়েছি পার্টির ছত্রছায়।
মুখে, হাতে এখন কাজও করিনা, কাজ করে বন্দুক,
আমি নাকি উচ্ছন্নে গেছি, বলে যত নিন্দুক।
তোমরাই বলো, যুগের সাথে যদি তাল মিলিয়ে যাই,
বাস্তব এই জীবন পাওয়া কি স্বাধীনতা নয় ?