সাধ
সাধ
ছোটোমামা, মেজোমামা ঘোরাতে পারতো লাটিম,
কখন আমার হাতে তুলে দেবে চলন্ত লাট্টু!
সেদিকেই তো আমি চেয়ে থাকতাম।
সে কি এক অদ্ভুত অনুভূতি!
এবার কখন ওটা থামবে? আমি পাবো ছুটি!
শ্রাবণ মাসের শনিবার আম কাঠালের দিন,
দিদার বাড়িতে বারের পূজো নাচছি খুশিতে তা ধিন।
কাউকে সাথে নিয়ে বেরিয়েছি করতে নিমন্ত্রণ,
সেদিন তো আমি এক বিশাল সম্মানীয় জন।
গুরু দায়িত্ব নিমন্ত্রণের করা হয়েছে যে
ভরসা করে আমার ওপর অর্পণ!
"আমার দিদার বাড়িতে আজকে বারের পূজো,
সন্ধ্যা বেলায় তোমরা সবাই প্রসাদ খেতে যেও।"
এই কথা গুলো বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বলে আসা,
ছোটো আমার কাছে যেন আনন্দ সাগরে ভাসা।
কিন্তু তার পরেও নিয়ম, পূজোর শেষে হাঁক দেওয়া।
আমি শুধুই তাকিয়ে দেখি, গলার জোর বেশি বলে, এই কাজটা, মেজোমামার ভাগেই ছিল দেওয়া।
যত দূরে যাবে এই আওয়াজ সেটাই আসল নিমন্ত্রণ,
শুনলে, যার খুশি সে আসতে পারে, যদি চায় মন।
এখনও কানে বাজে সেই আওয়াজ _______
"যার যার মনের সাধ, আউগ্যাইয়া লন শনির প্রসাদ"
ঠিক তিন বার এভাবে শনিঠাকুরের নাম নেবার
ছিল মেজোমামার একচেটিয়া অধিকার।