পূবালী
পূবালী
বাঁধের ওপর হাঁটার সময়-
পূবালী হাওয়ার বড্ড হুটোপাটি;
একদিন চেঁচিয়ে বললাম কি চাও আমার কাছে।
‘কি আবার চাই, এত যে লেখালিখি
আমায় নিয়ে কিছু লিখবে নাকি?’
ভাবিনি তো, কথার ভিড়ে মন অশান্ত,
শব্দ গোছাতে, অন্ত মেলাতে কত প্রয়াস-
হাওয়া কে নিয়ে লিখব কি গো
কথাই তো নেই তোমার কাছে!
একটু পরেই শো শো হাওয়ায়
কতগুলো দীর্ঘ নিঃশ্বাস, একের পর এক-
জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া, অতিমারির হিসেব নিকেশ;
এসব একদম শুনবো না, কান চেপে রই।
ও মা, তাকিয়ে দেখি পলাশের সেই কি রূপ,
মৌমাছির গুনগুনে বসন্তের একমনে আলাপ।
আবার আমায় কানে কানে সেই পূবালী,
এবার কি বলবে বলো বলেই ফেলো,
চুপটি করে বসে রইল, থির সামনের জলের স্রোত,
বেলাশেষেরর আকাশ ছুঁয়ে যায় তার আদুরে দিগন্ত।
ভাবনা গুলো একে একে ভিড় করে মন আঙিনায়,
অনুভূতিরা যেন দুহাত বাড়িয়ে কারো অপেক্ষায়;
নিজেকে খুঁজে চলার এক নিরন্তর প্রয়াসে আমি-
যেই ভেবেছি কথারা আজ দিলাম তোমায় ছুটি,
তাকিয়ে দেখি পূবালী হাওয়া হাসছে মিটিমিটি।