প্রজাপতি
প্রজাপতি
কিছুই না শিখে নেট দুনিয়ায় পা রাখি ট্যুইটারে,
কিছু একটা ছবি ও কোনো কথা দিই পোস্ট ক'রে।
বাটারফ্লাই নামে, তুমি আমায় নিয়েছিলে বন্ধু ক'রে!
জানি ওটা তোমার আসল নাম নয়,এভাবেই পরিচয়।
ইন্টারনেটে বন্ধুত্ব বুঝি এভাবেই হয় ?
এক বছর পার হবার আগেই করোনা এলো,
টিকা নিলে, সেকথাও সকলকে জানালে !
তারপর জানিনা কি যে হলো !
হারিয়ে ই যাবে যদি, কেন তবে এসেছিলে ?
কেউ ফলো করলে ভদ্রতার খাতিরে করতাম ফলো,
এভাবেই ভার্চুয়াল বন্ধুদের সংখ্যা বাড়লো।
কারো কোনো পোস্ট ভালো লাগলে আমিও করেছি,
এর কিছুদিন বাদে ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট খুলেছি।
প্রথম দিনেই ঘাড় ব্যাথা করে কনফার্ম টিপে গেছি,
কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট যে কি করে পাঠাতে হয়,
তা জানার সুযোগ কি আমি পেয়েছি ?
"প্রোফাইল দেখে, বুঝে তারপর এ্যাকসেপ্ট কোরো"
এই সাবধানবানী টুকু কানে গেছে বটে, মন দিয়েছি?
আসলে মানুষকে সামনে থেকে দেখেও চেনা যায় না,
প্রোফাইল খুঁটে দেখে কি বুঝবো? এই ছিলো ভাবনা।
কিন্তু পরেরদিন কথাটার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি।
সারাদিন ফোনের পর ফোন এলো অচেনা লোকের,
আমার তো ইচ্ছে নেই কারোর সাথেই কথা বলার।
প্রোফাইল থেকে লুকোনো হলো আমার ফোন নম্বর,
ফোন থেকে আন-ইনস্টল করা হলো মেসেনজার।
কিন্তু কিছুদিন পরে না জেনেই স্টোরির উত্তরে,
কি করে বুঝিনি চলে গেলাম মেসেনজারে।
প্রচুর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট থাকলো ওদিকে পড়ে,
মাঝে মধ্যে দেখতাম হাতড়ে হাতড়ে,
একসেপ্ট করেছি দু-চারজনকে এখানেও,
নাম পদবী আর ধৈর্য্য ও মেসেজ দেখে মেসনজারে!
বাধ্য হয়ে ব্লক করতে হয়েছে অনেক প্রোফাইল,
সবাই খারাপ তা নয়, খারাপের মধ্যেই ভালোও রয়।
কিন্তু ঠগ বাছতে যে গাঁ উজার,
তাই আর নয় মেসেনজার!
ফেসবুকেও আজকাল ঢুকি অকেশনালি,
অত সময় কোথায় যে সময় দিই জলান্জলি !
তবে এতদিনে শিখে গেছি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে,
চেনা জানা কাউকে, অথবা অচেনাকে,
ইচ্ছে হলে পাঠাই আমিই, কারন আমার কাছে যে অনেক নাম এখনও জমে আছে,
আমি তো পারবোনা অতশত খুঁজতে টুজতে।
