পিতা
পিতা


মলয় ঝংকার বাজে মনের আঙিনায়
নিঝুম নীরব নিকশ রাতের কালিমায়,
প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ আলগোছে আগলে
একজোরা পরিচিত শক্ত হাত দাড়িয়ে।
যখন অন্ধকার গ্রাস করে নিতে চায়,
যখন ত্রাসের হুংকারে চৈতন্য বিক্ষিপ্ত,
তখনো আশ্রয়দাতা হাতদুটি চোখে পড়া দায়
কিন্তু প্রদীপের আলোটুকু পেয়েছি নিত্য।
আজ তুফানের তান্ডব চোখের স্থবিরতা
আর ধোয়াশার পর্দা তুলে, দিয়েছে দিব্য জ্যোতি।
অদৃশ্য কিন্তু কঠোর এক বটবৃক্ষের দৃঢ়তা।
কাঁচামিঠা সম্পর্ক কিন্তু নির্ভরযোগ্যতার তৃপ্তি।
শৈশব-কৈশোর কেটে যায়, বুদ্ধি বাড়ে-
কিন্তু উপলব্ধি করতে কেটে যায় আমৃত্যূ
সে আমায় বোঝেনা নাকি আমি বুঝিনা তারে?
এমন দুরত্বের কেনো পাইনা গোলযোগ হেতু?
আজও যখন নিয়তি চোখ রাংগায়, সব পথ-
বন্ধুর হয়, প্রতি পদক্ষেপে স্মরি হাত দুখানা
মনে পড়ে- সেই হাত ধরে স্কুলে যাওয়া পথ,
স্নেহ প্রকাশে দিধা আদতে কিন্তু ষোলআনা
কড়া শাসনের আবডালে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি
হাসি-কান্না, মান অভিমান আর বিচ্ছেদের মাঝে-
মাফ পেয়ে যায় হাজারো অজ্ঞতা আর ত্রুটি
প্রতিক্ষনে শাসনের আড়ালে আশীর্বাদি স্তুতি বাজে।