ফ্যাশন
ফ্যাশন
"সেদিন হতে চলিল জুতা পড়া,
বাঁচিল গোবু রক্ষা পেলো ধরা।"
জুতো আবিস্কারের গল্প এমন করে কবিতায় ,
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাড়া আর লিখবেন কে ?
মন্ত্রী মশাইয়ের বুদ্ধি ভারী, স্বীকার করতেই হয়।
"পূজোয় চাই নতুন জুতো" কোম্পানীর এই বিজ্ঞাপণ,
দেখেছি ছোটোবেলায় লেখা হতো যত দেয়াল ময়।
জামাকাপড়ের সাথে জুতো পেলে আনন্দ ডবল হয়,
তবে নতুন জুতো পরে, হেঁটে ঠাকুর দেখা ? আর নয়!
পায়ের ছাল ওঠা, শেষে অন্য কারোর জুতো ধার !
মনে পড়ে সেসব কথা, মনে থাকবে সারা জীবনময়।
আসি রবিঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথের কথায়,
উনি নিজের জুতো পুরোনো হতে দিতেন কোথায়!
একবার নতুন জুতো পরলে একমাস আর সেটা নয়।
করোনার আগমনে এখন দোকানে মাস্ক ঝোলায়,
মানুষ এখন হামেশাই সার্জিক্যাল মাস্ক পাল্টায়।
এন নাইন্টি ফাইভ ছাড়াও আছে মাস্ক নানা রকমের,
রঙ বাহারি মাস্কের বাহার, দখল করেছে বাজার !
জুতোর মত মাস্কও এখন অনেকটা ফ্যাশন মনে হয়।
পছন্দ/ক্ষমতা অনুযায়ী কেউ নতুন মাস্ক রোজ পরে,
কেউ বা তা ধুয়ে পরিষ্কার করে আবার ব্যবহার করে।
জুতো হোক বা মাস্ক, দুটোই লোকে প্রয়োজনে পরে।
আজকাল পুরোনো জুতোর ওপর মায়া পড়ে যায়,
নতুন জুতো, নতুন মাস্কের মতোই দেখতে ভালো বটে,
কিন্তু তা পরে হাঁটতে কি আর তত আরাম বোধ হয় !
শুধু আমিই যে এমন, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই তা নয়,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও কটকি-জুতো পড়ে গেলে পদ্মায়,
সাঁতার কেটে তা আনতে,অনায়াসে জলে ঝাঁপ দেয়।