ফুলদল
ফুলদল
ফুলেদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ফুল নির্নয় করা!
আমার পক্ষে তো কিছুতেই সম্ভব নয়।
অনেক ফুলকেই তো আমার প্রিয় বলে মনে হয়!
কাকে ছেড়ে কাকে দিই বাদ, অথবা অপবাদ!
এ নিয়ে তো থেকে যায় বিষম সংশয়।
শীতের দিনের কাঁচা হলুদ রঙের তারাগ্যাঁদার হাসি,
কি করে বলো, আমি না ভালোবাসি?
আর সূর্যমুখীর তেজ সমৃদ্ধ সৌন্দর্য, কি করে ভুলি!
সূর্য আকাশে উঠলেই, দেয় যে তার মুখটি মেলি।
সাদা, লাল, গোলাপী, বেগুনী জবাদের দল,
জিজ্ঞেস তো আমাকে ওরা করবেই,
তুই কি আমাদের ভালোবাসিসনা? মন খুলে বল !
বাগান ভরা যদি ফুঁটে থাকে নানা রঙের গোলাপ,
পারবো কি আমি চলে যেতে, না করেই আলাপ !
হলুদ, কমলা রঙের ভোলা গাঁদার সাথে পাল্লা দিতে,
বড় হতে চায় যে সব গাঢ় মেরুন রক্ত গাঁদার দল,
তারা তো চ্যালেঞ্জ করবেই, কোন অংশে তারা কম!
ঝরা শিউলিদের মিছিলের শব্দ করবে তো গমগম।
নাহয় বছরে দুই এক বারই ফোঁটে দোলনচাঁপারা,
গন্ধে যে তখন পুরো বাগানটা হয়ে ওঠে আত্মহারা!
স্হলপদ্মের ডালের সাদা ফুলগুলো দিনের আলোয়,
ধীরে ধীরে গোলাপী হয়ে কেমন ম্যাজিক দেখায়!
অপরাজিতার সাদা-নীল, বেশ তো ম্যাচিং ম্যাচিং,
বেড়াতে আসে ওদের কাছে কত শত লাল ফড়িং।
বাগান আলো করে রাখে রঙ্গনের থোকা বহুদিন।
মৌমাছিরা এসে ঘুরঘুর করে, গান শোনায় বিনবিন!
ফুলের মেলায় থাকে চন্দ্রমল্লিকার নানা ভ্যারাইটি,
তারই একপাশে চুপ করে থাকে ক্যামেলিয়া ভাইটি।
কেউ যদি শখ করে কিনে এনে তার বাগানে লাগায়,
সারা বছর ধরে চুপ করে থাকলেও একটা সময়,
ফুল ফোঁটাতে ফোঁটাতে সবাইকে অবাক করে দেয়।
রজনীগন্ধাকে নিয়ে তো রীতিমত গান লেখা হয়,
চাঁপা, করবী, গন্ধরাজ, টগর এরাও কিন্তু কম নয়।
মরসুমী ফুলেদের কথা কি আর বলি!
বুনো ফুল তো ছড়িয়ে আছে সারা পৃথিবীময়।
একটা ঝুমকো বা নারায়নী ফুলের দিকে তাকিয়ে,
কেটে যেতেই পারে অন্ততঃ কয়েক মিনিট সময়।
মল্লিকা বা বেলীর সুগন্ধ পরিবেশটা করে আনন্দময়!