ফাঁদ(7)
ফাঁদ(7)
আপন মনে উড়েছিল পাখিটি আকাশের বুকে
তার ছোট্ট দুটি ডানা মেলে।
এমনিভাবে তুমিও পারো উড়তে
অনিশ্চয়তার রাজ্যে পেরিয়ে গেলে।।
আজ যাব উড়ে দূর-বহুদূরে
পাখিটি ভাবলো মনে মনে।
ঘরের জন্য আনব খাবার ফল-মূল আরও কিছু
ঘুরবো আমি এ বিশ্বের সবখানে।।
উড়তে উড়তে হাঁপাল একবার ওই ছোট্ট প্রানটি
খুঁজে পেল একমাত্র আশ্রয় সেই স্থানে।
একটিই বিশ্রামালয় উন্মুক্ত অনন্ত গগনের মাঝে
বক্র নয়, সমান্তরাল আর আশ্রয় নিলে সেইখানে।।
কিছুক্ষণ আরাম , কিছুক্ষণ সুখ, সবই কিছুক্ষণ
প্রতিক্ষায় ছিল অনেকে, অনেক কিছু দিতে।
জানতো না সে "অনেক কিছুর" নাম
তাই তখনও বিশ্রাম নিচ্ছিল মহাসুখেতে।।
হঠাৎই "এ কি হল আমার শরীরে অসহ্য
যন্ত্রনা"
শরীরের প্রতিটি অংশে আগুনের ছোঁয়া,
কে যেন দিয়েছে এই স্পর্শ তার অজ্ঞাত সারে,
শূন্য থেকে হুকুম এল —দূর করো তোমার মায়া।।
কিছুক্ষণ আমি চুপ, তুমি চুপ, জগৎ রইল চুপ করে
পাখিটি পড়ে রইল রাস্তার ওপর মহাসুখ পেয়েও
ওর কাছে আর শক্তি নেই ওড়ার মতো, তবুও
শক্তি ফিরে পেল না সে ভগবানের কাছে চেয়েও।।
ঘরের জন্য নিয়ে যেতে পারলো সে
ফল-মূল আরও কিছু।
ডেকেছে সে মৃত্যুকে, অজানা নাম ধরে, অজান্তেই
তাই সেও চলেছে তার পিছু পিছু।।
এবার থামলো, পাখিটি ঘুরে প্রশ্ন করলো
কেন ডাকলাম তোমায় আমার জীবনে?
মৃত্যু তার জবাব দিল, বাধ্য করেছে মানুষ,
সেই বলেছে -"সাড়া দিতে তোমার আহ্বানে"।।