জীবনঘড়ির বিবর্তন
জীবনঘড়ির বিবর্তন
একদিন ইতি টানবে জীবনঘড়ির চলন্ত কাঁটাগুলিতে;
মরিচা পড়বে কলকব্জা গুলিতে,
সড়বে না আর হাত-পা কোনো কাঁটাই—
লাগবে না সেদিন আর কোনো জোড়াই,
পড়ে রইবে প্যাকেট প্যাকেট ওষুধ নামক ব্যাটারিগুলি;
বোকার মতো লাগবে যে, তখন ঘড়িটার চেহারা!
একসময় যে ছিল কর্মঠ, সকলের দরকারি প্রাণোচ্ছল সখা;
সেদিন সে হয়ে পড়বে চরম অদরকারি এক নিষ্প্রাণ বস্তু,
জায়গা হবে তার ডাস্টবিনে।
কেউ কি দুবারও ভাববে তার কথা?
হারিয়ে যাবে বিস্মৃতির অতলে সেই স্বর্ণালী দিনগুলো;
এক লহমায় অবনতির পথে সে সবই:
কোনো এক অদৃশ্য স্মৃতির পাতায়,
শুধুই খোদিত হবে ভালো মন্দের কথা—
গুরুত্বপূর্ণ থেকে হবে ফেলনা,
নিরাপদ আশ্রয়ের চাদর সরে যাবে,
জায়গা হবে খোলা আকাশের নীচে,
এক ও অনন্য থেকে হারিয়ে যাবে, হাজারো জঞ্জালের ভিড়ে।
কাটবে যুগের পর যুগ —
মাটির নিচে জীবাশ্ম হবে হাড় কঙ্কাল গুলো;
বর্তমান হয়ে যাবে অতীত,
সে এক ইতিহাসই বটে!
এ ইতিহাস শুধু তবে একের নয়,
এ ইতিহাস সকল প্রাণের, সকল চলমানের।।
