ক্ষণস্থায়ী মরুদ্যান—মরীচিকা
ক্ষণস্থায়ী মরুদ্যান—মরীচিকা
সে এক আছে বিরল মরুভূমি
কোন্ সে দেশে অবস্থান
জানা নেইকো কারোর তা,
কারণ সে যে ভৌগোলিক নয়কো
হৃদয় জুড়ে সৃষ্ট এক মরুর দেশ
মানবিক না ঐশ্বরিক সৃষ্টি সে
আজও সে সকলি অনুদঘাটিত;
যাও বা দশক দুই আগে
রুক্ষ মরুতে আগমন ঘটে এক ফোঁটা বৃষ্টির
সে আগমনে মরুদেশবাসীর এমন হাবভাব
যত অপেক্ষা-আকাঙ্খা এই এক ফোঁটারই
যেন এই এক ফোঁটাই জন্ম দেবে
এক চিলতে মরুদ্যানের
এই অসীম বালিনগরে
সে আশা অবিশ্যি মরীচিকার মতো
অবাস্তব হয়ে আজও এক সান্ত্বনা
বরং সেই জলকণা শোষিত হয়
তেজী বালিনগরের রুদ্র প্রতাপে
দলবদ্ধ অন্যায়ের পদপৃষ্ঠে ম্লান হলো
একাকী নিরীহ কণার শক্তি
তথাপি শত নিপীড়নে ম্লান হয়নি তার ন্যায়ের আবেগখানি, তেলে না মেশার সহজাত প্রবৃত্তিটুকু
তবে মরুদ্যান গড়ে উঠেও গড়ে উঠেনি যেন
কারণ হয়তো ন্যায়-অন্যায়ের মিলনে সৃষ্ট
এক ফণীমনসা—
মানায় না সে বালি বিনা কোথাও
চিন্তা সেই যে
এখন নগরায়ণ ঘটছে বালিনগরেও
ভবিষ্যত অনিশ্চিত....
হে বিধাতা, রক্ষা করো বালিনগরের একমাএ প্রাণের!!
