পারাপার
পারাপার


তোমাকে রোজ দেখি দু’হাতে জল ছিঁটিয়ে
ঘরের চৌকাঠে আসতে ।
ঠিক যখন সন্ধ্যার ডালে সূর্যাস্ত হয় নিস্তেজ
আলোয় ভাসতে ভাসতে ।
মাথায় আঁচল ফেলে ঈশ্বরী প্রদীপ জ্বেলে
দু’হাতে বাতাস বাঁচিয়ে
পার করে আসতে সব বিভাজনের কাঁটাতার
লুকিয়ে তোমার আঁজলায় ফুলের গন্ধের ঝনত্কার ।
দিনের অসম্ভব রোদ জানলার কাঁচ দিয়েছে ঝলসে
কাঁচা ধানের শীষ সূর্যের দানা যদিও দিয়েছে ঝলসে
তবু সমস্ত পথের শেষে
তোমার দু’পায়ের পাতা পুড়িয়ে  
; ফুল বৃষ্টির গন্ধে
অধমের কাছে আসতে ।
সন্ধের গা তখন কাঞ্চন ।
ছ্যাৎলা ধরা পুকুর পাড়ে ঘোলা জলের নিম অন্ধকারে
পরস্পরের স্পর্শ ধারাস্নানে প্রেমের সঙ্গে প্রেমের ঘ্রাণে
লজ্জার ব্যবধান সাজিয়ে লজ্জার আভরণে;
আকাশের আবরণ ছিঁড়ে আর এক আকাশ দেওয়াল জোড়া
তোমার স্পর্শের নিবিড়ে
তোমার দুচোখের গভীরে
আমার একই জন্মের অন্তরালে আমার সাত জীবন পারাপার ।