ভ্যালেন্টাইন্স ডে
ভ্যালেন্টাইন্স ডে


তোমাকে চোখে দেখিনি
স্বপ্নের ভেতর পাথর কেটে কেটে তোমার রূপের স্বরূপ দেখেছি।
আমার দু’হাতে আঙুলের শ্রম;
আমার দু’চোখে পাতার ভ্রম
অনেক পাপ, দুঃখ শোক পুড়িয়ে,
তোমার হাতে সীমিত সুখ তুলে দিতে না পারলেও
তোমাকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসিনি।
তোমাকে ছুঁয়েছি নদী সাগরে
তোমাকে ছুঁয়েছি মাটি পাথরে
তোমাকে ছুঁয়েছি ক্ষতের দাগে
তোমাকে ছুঁয়েছি রাগ অনুরাগে
তবু আমার অন্তর জাগাতে পারিনি।
নিজের কথা নিজের একান্তে সাজিয়ে স্মৃতির মহলে
সম্পর্কের অক্ষরগুলো অজান্তে বাস্তবের হৃতকমলে
হারিয়েছি নিজেকে নির্জনে অন্ধকারের দূরের অরণ্যে
কথার বিস্ময়ে বিষণ্ণ বেলা হৃদয়ের একাকীত্ব...
অসম্পূর্ণ সূর্য আলোর ভোর
নিস্তব্ধ রাস্তার সমস্ত চরাচর।
রোজ সন্ধ্যা নামে ঘর-দুয়ার-উঠোন বারান্দায়
আমার উপস্থিতি নিষ্প্রয়োজন বাড়াবাড়ি জেনে
ইঙ্গিত ইশারায় সাড়া পাইনি।
বধির ঘুমের ভেতর শুয়ে
ধরেছি ভালোবাসার ভাবনায় কলম অনেকবার
কবিতার শয্যায় বিছিয়ে নকশিকাঁথা ঘাসদুর্বার
খুঁজেছি মনের মানুষ বিপণ্ণ ভিড়ের ঢলে
রেখেছি যার জন্য বুকের নিভৃতে ভালোবাসা।
দিনের পর দিন অপেক্ষার সাঁকোর দুরত্ত্ব ভেঙে
স্বপ্নে দেখা সেই নির্ভুল দুটি চোখ
পাথরের শীতে চাঁদের নিবিড়ে জ্যোৎস্নার উত্তাপে
বাতাসের আবেগে ঝড়ের মৌতাত ভেঙে চুরে
নতুন শস্যের বীজে অসামান্য ফসল মাটি ফুঁড়ে।
আমাকে নিজের থেকে আলাদা করতে পারিনি।
একজোট
পৃথিবী নিভৃত নির্মাণ
প্রকৃতির ছাতার তলায় ভালোবাসার নন্দন।
সবদিন রমণ প্রবণ জীবন। আশা-প্রত্যাশার অটুট বন্ধন।
তুমি আসবে।
প্রতিমুহূর্ত ভালোবাসার অস্তিত্ব
আঁকড়ে রাখবে আমার একাকীত্ব
তোমার বুকের অন্তঃস্থলে। ধমনী শিরার দোলাচলে।
নিঃসঙ্গতার অদৃশ্য নিঃশ্বাসে। আলোকবর্ষের চলাচলে।