ওয়েটিংয়ে
ওয়েটিংয়ে
ওইখানে ওই ঝিলের জলে ;
অবগাহন করতে হলে ;
থাকতে হবে কারও অপেক্ষায়,
দূর- দিগন্তে নীল গগনে ;
বৈশাখী মেঘ সেই লগনে ;
ঘনকালো বাদলে আকাশ ছায় ।
সূর্য্যতপা হৃদয় যে মোর ;
বাদল মেঘে হইল বিভোর ;
চিত্ত চেতন ভরে বেদনায়,
তাহার আগে শেষ ফাগুনে ;
মুখ পুড়ালাম যে আগুনে ;
আঁচটুকু তার এবার যদি যায় ।
ধূলোয় ধোঁয়ায় ধূসর হয়ে ;
ঝড় উঠল আকাশ বয়ে ;
থেমেও গেল একসময়ে; বৃষ্টি আসে নাই,
জলবিনে তাই শুদ্ধ সিনান ;
গেষ্টাপোদের সেই অভিযান ;
ব্যর্থ করে দিল অপেক্ষায় ।
ঝিলের জলে উঠল ভেসে ;
ভরল হৃদয় একি সন্দেশে ;
হয়নি সময় থাকো প্রতীক্ষায় ,
দিনরাত আমি দাঁড়িয়ে থাকি ;
বদন ভরে তোমায় ডাকি ;
তবু এ মন ভরল নিরাশায় ।
দেখছি আমায় যেতেই হবে ;
কতকাল আর ধরায় র'বে ;
আশার ঝুড়ি স্বপ্ন নিয়ে বুকে,
তারচে' বরং সেইতো ভালো ;
হোক না আঁধার যতই কালো ;
না নিভলে চোখের আলো মুখে ।
অনন্তর অন্তরে রবে ;
আশা নিরাশার দোলা সবে ;
হইনি হতাশ হঠাৎ আসা মেঘে,
করব সিনান ঝিলের জলে ;
করবে কি আর মেঘ বাদলে ;
আপেক্ষাদের অন্ত হলে বেগে ।
ধৈর্য্য ধরে সবুর করে ;
ধরার সহন বক্ষে ধরে ;
ছবি হয়ে ফুটবে নীলিমায় ,
তখন থেকে রই দাঁড়িয়ে;
উপর দিকে হাত বাড়িয়ে ;
যতই বলি হায় অপেক্ষা হায় !
