কাঠের মা
কাঠের মা
সুধীর মিস্ত্রি বই পড়বার জন্য ঠিক পাখির মত দেখতে একটা নৌকা বানিয়ে দিয়েছিল।
সুধীর পড়তে জানতোনা।
নৌকা বুঝতো। পাখিও-
আমি পড়লাম তো অনেক।
ঘুমোলামও অনেক।
পাখি নৌকা কাঠ জল আর জাহাজ- এসব বোঝা কী পন্ডিতের কাজ! ভাঁজ পড়ল ঘড়িতে। টান পড়ল তেমাত্রায়-
করিডোর ডেক আর সূর্যমন্ত্র দিয়ে চাঁদের ব্যাস মাপতে গিয়ে সুধীরের কোচকানো অন্ডকোষে কত গ্যালন সোমরস জমে আছে বুঝিইনি কখনও।
বই পড়ার জন্য ওই কাঠের পাখিটা বাবার সামনে সেই যে চুপচাপ ওড়ে অথচ স্থির গম্ভীর স্টিলের চামচে আমি সুগার রেখেছি কয়েকটন।
সুধীরের পেচ্ছাপের মধ্যে জাগতিক সমস্ত তিতো মিশে আছে।
মোহানায় ডুব দিয়ে দেখছি সুধীর আমার বাবা হলে মা একজন আজন্ম উড়নচন্ডী পাখি হতো।
কেউ আটকাতে পারতো না। সুধীর মারা গেছে-তবুও একটা কাঠের কলম বানাচ্ছে যার ঠোঁট আমার মৃত প্রেমিকার জরায়ুর ভিতরে রোজ ডিম পাড়ে।