নীল দরজা
নীল দরজা
তথাকথিত নরকের দরজাটা খুব সহজেই খোলা যায়। বাইরে যদিও সিকিউরিটি। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে বুঝে নেয় বিস্ফোরক আছে কিনা। আওয়াজ ওঠে, বিস্ফোরক আছে। ব্যাগ খুলে হেসে ফেলে, আপনি কবি?
নরকের ভিতরে প্রচুর নীল আলো, লাল ও বেগুনী মেয়েরা অনেকটা মৎসকন্যার মতো।
চমকে চমকে ওঠে আলোকিত মুখ, চ ওড়া মেকআপে বিষণ্ণতা মিউজিকাল কার্নিভালে ঢুকে পড়ে নানারঙের ঢেউ।
নরকে ঈশ্বর। ঈশ্বরীর সাথে বসে আছি আমিও। মেঘবালিকা এখানে রোজ আসে।
এখানেই হিসেবে বসে মুমূর্ষু প্রজাপতি, রাস্তার শেষে ঢেলে যাচ্ছে গলে যাওয়া ধাতু।
হৃদয় ধাতব হয়ে গেলে, এত আলো পরীদের কান্নায় মদের গন্ধ মেশায়।
জড়ি সুতো, অভ্রের ঝলমলে ঝোঁক একটা একটা করে পাপড়ি খুলে ফেলে মনিয়া ফুলের।
নরকের প্রতিটি রাত বসন্তের দগদগে ঘাঁ, চামড়া পোড়া গন্ধে মেতে ওঠে।
আদিম পৃথিবীর এত রঙ, অন্ধকার নেই, নৈঃশব্দ্য নেই, নির্জনতা নেই।
তবুও ঈশ্বরীর কোল থেকে নেমে আসে রক্ত।
ঈশ্বরীর চোখে অপাপবিদ্ধ মেয়েদের ডিজাইন করা ভ্রু, অর্ধনগ্ন শরীর, নিষিদ্ধ ক্লিভেজ।
নীল রক্তে ধুয়ে যায় রাতের কলকাতা। এখন এখানে কবিতা, এখানেই কবিতার মেয়ে-
ওষ্ঠভাঁজে অসুস্থ নদী, অবিরত গলে যাচ্ছে মৃত চাঁদ-নেচে উঠছে শরীরের প্রতিটি বিভাগ।
ওরা কী দেখছে অসহায় উন্মাদ কবিকে, ওদের কী আজকেই বলার ছিল কয়েকটি গোপন বিন্যাস।
নরকের দরজা খোলা। ফিরে যাবো আমি। কবিতা লিখবো আবার বৃষ্টির।
ওদের ফেরা হয়না। হয়নি।
ঈশ্বরের ব্লুপ্রিন্টে পাকা চুক্তি করা, মাসতুতো ভাই শয়তান নরকের লাভের বড় অংশটুকু ওদের ক্রমাগত খুলে ফেলা পোশাকের ওজনের মাপে পৌঁছে যায়।
ভালোবাসা তোদের রাতপরী।
ফিরবো এবার।
ক্ষমা করিস।
ঠিক দিনে বুথে গিয়ে ভোট দিস।