কলমকাহিনী
কলমকাহিনী


ছেলেটি ভালো লেখে। মেয়েদের উষ্ণ ভূগোল, নাতিশীতোষ্ণ চোখের ঢলাঢলী, পিনকোড মেনে নিষিদ্ধ সড়ক থেকে গা বমি গা বমি রজনীগন্ধার আঁতড় গন্ধ।
ছেলেটি লেখে ভাল, ইলেভেন ক্লাসের সবচেয়ে চটকদার ধানিলঙ্কার লুটপাট হয়ে যাওয়া ঠোঁটের টসটসে রঙের লিপস্টিক।
মেয়েটি এসব লেখেনা, তার শুধু নানাভাবে হেলিয়ে গড়িয়ে সেলফির ডিফারেন্ট মুড ও ডিজাইন থেকে ক্যামেলিয়া নামের বুকপিঠ কাটা সন্ধ্যার আঁচল কেটে আটপৌরে নাবিকদের মাঝসমুদ্রের বলড্যান্সে সঙ্গী হতে চাওয়া।
মেয়েটি বাবা লেখে। ধাঁ ছুট দিয়ে উধাও শ্লেট পেন্সিলে মেয়েটি সংসার লেখে, তারপর আত্মমর্যাদা লিখতে গিয়ে ডিভোর্স ফাইল লেখে।
মেয়েটি গর্ভ লেখে। ছেলেটি হুল ফোটানোর ছলে গর্ভপাতের প্রেসক্রিপশন লেখে।
সভ্য পশুর জন্য কর্পোরেট ফর্মাটে শিক্ষক ক্রিটিসিজম লেখে।
সামাজিকরা ইগো লেখে। চালাক রা আলসেমি লেখে।
সদ্যজাত শিশু আশ্চর্য লেখে, মৃত্যু লেখে তাতা থৈ থৈ।
নির্জনত
া পার্থক্য লেখে, শব্দেরা রঙ লেখে। রঙেরা ধূসরতা লেখে।
মিছিল এডজাস্টমেন্ট লেখে।
ছেলেরা মাদার লেখে।
শুধুমাত্র কবি নামের হুলোবেড়াল মাছ দুধ আর বাটার পনির স্পষ্ট লেখেননা।
খাই খাই খাই লিখতে লিখতে আকাশ থেকে নদী ভাঙিয়ে, পাহাড় থেকে ঈশ্বরকণা কুড়িয়ে, ধাপ্পাবাজির মাদুর পেতে গাছ লেখার দৃশ্য পেড়ে কবি টসকে যায়।
অঙ্ক লেখার বদমেজাজে ধেনো মদের কৃষি-নেশা মাঝরাত্তির টুকরো করে বৃষ্টি লিখে ফেলে।
লেখার নাটক কবির মজ্জা, নাটক লেখার গুপ্তসজ্জা- চুরি লেখে মহাভারত।
একলব্যের বুড়ো আঙুল প্রেম লিখতে যায়।
পাঁচটি পুরুষ একক নারীর মুক্তি লেখেনা।
গ্রহের মুখে সময়রেখা শরীর নামের ভুল পাখিদের মেরে ফেলার মহৎ গুণে যুক্তি শেখেনা।
ছেলের পেটের হাজার স্নায়ু ছায়ার বুকে মা লিখে যায় মিথ্যে ঝোঁকে-
প্রাচীন শোকের স্বরলিপি হাসতে হাসতে অদৃশ্য হয়, লাঙল দেখেনা।