আত্মগত
আত্মগত


লালপাথরের টিলা পার হয়ে ছেলেটি যাচ্ছে একা।ছেলেটি এখন ছুটিতে আছে। ছুটি ভেঙে গেলে আবার পাথর, তাই তার আত্মগত নদী তাই তার ফেরিওয়ালা সাজ। ছেলেটি খুঁজছে কাজ বাঁশি বাজানোর।
ছেলেটি কাগজ ছেঁড়ে, নানা মাপে নানা অছিলায়, যা কিছু বন্ধন ভেঙেচুরে কাগজের ফুল পাখি বানিয়েছে নানা মাপে , উড়োজাহাজের মত অলীক নৌকাও।
ছেলেটি ঈশ্বর নয়। ছেলেটি শয়তান নয়। শুধু তার গল্পের নেশা। নেশাতুর দৈত্যরা ছেলেটিকে বুঝেছে আপন।
ছেলেটি পায়ে হেঁটে মেঘদূত হয়ে যাবে বলে আকাশ ভেঙেছে নিছক খেয়ালবশে।
বেশ ছিলো ভোরগুলো, দুপুরের রোদভাঙা ছুট-বেশ ছিল পাহাড়তলীতে গিয়ে সাঁতারের নীল আড়ম্বর।
আচমকা নদীপারে খসে গেল দুষ্টু এক তারা, খোপায়
কাঁঠালচাপা , হাতে তার বসন্তপলাশ।
ঠোঁটে তার মেঘলা আঁতর, ছেলেটির ছুটি খানখান।
ছেলেটি আবার পাথর।