ওড়িশা নামে শহর
ওড়িশা নামে শহর
কিচ্ছু ভালো লাগছেনা। সেই সুরক্ষা কোথায়?
যুদ্ধ শুরু হয়েছে যে ইউক্রেন আর রাশিয়ায়,
ভয়, কে জানে কত লোকের ক্ষতি হয়, যদি ছড়ায় !
রাজায় রাজায় যুদ্ধে যে উলুখাগড়াদের প্রাণ যায়।
টিভির খবর দেখতে গিয়ে একসময় চোখ বুজে যায়,
কান দুটো অবশ্য মোটামুটি সজাগ থাকে, হায় !
হঠাৎ একটা সময় কানে আসে কোলাহল ওড়িশায়,
কোথায় না কোথায় যুদ্ধ, ভারতের লোক কেন ধায়?
কেন অযথা কেনাকাটা আর সঞ্চয় করতে চায় !
ডগ ফাইট নাকি চলছে খারকিভের ঐ আকাশটায়।
নানা লোকের দাদাগিরির চাপান উতোর চ্যানেলটায়,
শরীরটা আমার বিদ্রোহ করেই শেষে, একটা সময়।
হাতের আঙুলগুলো ঝিমঝিম, চোখ টিমটিম,
কেমন যেন দুর্বল, পড়াশোনার আর উপায় নেই,
শুয়ে পড়া টাই সবচেয়ে ভালো বলে মনে হয়।
কিন্তু তাতে বাড়তে পারে বিপদ, তখন মুশকিল হয়,
তাই অসুবিধের কথাটা জানাই ইশারায়,
বুঝে শুনে ওষুধ পরে, প্রেশারটা মেপে দেখা হয়।
হ্যাঁ, যা ভাবা গেছে ঠিক তাই, এসব যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়,
মাঝখান থেকে বেড়ে গেছে আমার প্রেশার টাই !
পতিদেব বুঝিয়ে বলেন এ পুরীর উড়িষ্যার কথা নয়,
বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা আর এই ওড়িশা এক নয়।
কৃষ্ণ সাগরের তীরে এক জায়গাকে ওড়িশা বলা হয়,
এক শহর, ইউক্রেনে অবস্হিত, ভারতে মোটেও নয়।
পৃথিবীর নানা দেশ থেকে স্টুডেন্টরা, এই ওড়িশার
খুব পুরোনো ইউনিভার্সিটি তে ডাক্তারী পড়তে যায়।
তবু চিন্তা তো আর অত সহজে না যেতে চায়,
পৃথিবীর কোনো শহরের কিছু মানুষের তো প্রাণ যায়।
সমুদ্রের জল, সে কৃষ্ণসাগর হোক বা বঙ্গপোসাগর !
পৃথিবীর সমস্ত সমুদ্রের জলকেই যে এক মনে হয়।
সারা দুনিয়ার সব মানুষকেই যে বড় আপন মনে হয়।
করোনার দাপটে, পানীয় জলের অভাবে, দুর্ঘটনায়,
মানুষ মরলে তবু কোনোমতে সহ্য করা যায়,
কিন্তু এভাবে আদিম যুগের মতো যুদ্ধ বিগ্রহ কি,
সভ্য, বিজ্ঞানে শিক্ষিত, আধুনিক মানুষকে মানায় ?
আকাশে মেঘ ডাকছে, গুরু গুরু করে যেন গর্জায়,
জমাট কান্নাটা কোথাও বৃষ্টির জল ঝরাবে নিশ্চয়ই।
