নিজের পায়ে দাঁড়াও
নিজের পায়ে দাঁড়াও


ও মেয়ে তোর মুখে কেন মেঘের ঘনঘটা?
কেনরে ও অকাল বর্ষণ, নেই সূর্য ছটা?
পিঠে কিসের দগদগে ঘা, হাত পা কালসিটে?
পেটটাও পূর্ণ দেখি অতি ভালোবাসার চোটে।
লক্ষণ তো ভালো নয়রে, কপালে দেখি শনি,
নয় তুই ফেলনা মোটে বাবাব নয়ন মণি।
মা'র আদরে ভায়ের স্নেহে জীবন তোর গড়া,
দারিদ্র্যতা সত্ত্বেও তুই শিখলি লেখাপড়া।
রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী গেলি শ্বশুড় ঘর,
মোটা পণের বিনিময়ে কিনল বাপ তোর বর।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শুরু হল বজ্জাতি,
তাদের তো কুমীরের পেট, ফাটেও না বুকের ছাতি।
প্রাণের ভিতর প্রাণ এখন বাড়ছে চড়চড়িয়ে,
পার কি পাবি তুই - বিষ খেয়ে বা জলে ঝাঁপ দিয়ে?
বিয়ের আগেই এসব বিষয় নিতে হয়রে বুঝে,
অর্থনৈতিক স্বাধীন হলে পারতিস নিতে যুঝে।
তাইতো বলি মেয়ে তোমাদের, নিজের পায়ে দাঁড়াও,
জীবন ভরের পরাধীনতায় কিসের সুখ ও?