নীরব সাক্ষী
নীরব সাক্ষী
ঠাকুরগন্জের গাঁয়ের বিল থেকে আসছে জল, কুলিক নদী বেয়ে দক্ষিণে নামছে জলের ঢল।
প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার পথ আসার পরে,
রানীশংকৈলে আজও দাঁড়িয়ে আছে এক বাড়ি।
যেন সাক্ষী হয়ে আছে কুলিকের গতিপথ টার ই !
কুলিক নদীর ধারে, দশ একর জায়গায় ওপরে,
একসময় বাগান ছিল গাছপালা, ফুলে ফলে ভরে।
স্বপ্নের মতো কি করে যেন সময়টা গেছে উড়ে!
বাড়িটাকে সবাই বলে রাজা টঙ্কনাথের বাড়ি,
মানুষের সাথে অনেকদিন থেকেই বাড়িটার আড়ি।
মনের মধ্যে তার, দিনে দিনে জমেছে যত অন্ধকার,
অভিমানে ভরে গেছে যত ছিল ঘর - দুয়ার।
দেখেছে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের অবনতি,
বুঝেছে দেয়ালের ফাটলে পরগাছার বাসা হলে,
কি করে দিনে দিনে হয় মজবুত ইমারতেরও ক্ষতি।
চোখের সামনে কুলিক নদী আজও বয়ে চলেছে,
কিছু দূর যাবার পর নদীটা কাঁটা তারের মতো
দুই দেশের সীমানার কাজ করছে।
নদীর শরীর চিরে রয়েছে আজ অদৃশ্য এক বেড়া,
কত কিই না কান্ড হলো যত সব সৃষ্টি ছাড়া।
অর্ধেক জল বাংলা দেশের, অর্ধেক বাকি ভারতের,
ভাগাভাগি করে মাছ ধরে লোক, নদীর দুই ধারের।
এভাবেই কিছুদুর সীমানার কাজ করার পর,
কুলিক নদি চলে এসেছে পাশের দেশ ভারতের ঘর।
সবকিছু আজ পড়ছে ধরা স্যাটেলাইট এর দৌলতে,
নইলে তো এসব কথা কেউ মানতোনা কোনমতে।
নদীর গতিপথ এর সঠিক দিশা নেই এমনি ম্যাপে,
নইলে ম্যাপ আঁকতে গিয়ে কেউ বাড়ির পথ মাপে?
নাগরের সাথে মেশার কথা বেশ দেখানো আছে,
ম্যাপে নেই তাতে কি? কুলিকের উৎপত্তি
যে বাংলাদেশে, সে কথা তো সবার জানা আছে।
