নিঃসংশয় হও মানুষ জাতি
নিঃসংশয় হও মানুষ জাতি
বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ, এই পুরাতন প্রশ্নটা,
আজ একেবারেই অবান্তর সকলেই গেছে ভুলি।
মানুষকে আজও অন্ততঃ জীবনের কিছুটা সময়,
পেরোতে হয় নানা আঁকা বাঁকা একাকীত্বের গলি।
মনের জোর বাড়াতে তখন ডাক দেয় দেবদেবীকে,
শিব,বিষ্ণু,গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূ, স্মরণ করে দুর্গা-কালি।
জানে সবাই একথাটা, বিজ্ঞান ছাড়া জীবন অচল,
সোজা সরল পথে চললে, যে কেউ হতে পারে সফল।
মনে মনে চায় এবড়ো খেবড়ো পথে হোঁচট খেয়ে ___
মুখ থুবড়ে পড়তে নিলে কেউ নিক কোলে তুলি।
হিন্দু মুসলিম ভাইদের বিভেদ দেখলে মনে পড়ে যায়,
কালিয়াগন্জের সকলের জাগ্রত ঠাকুর বয়রা কালি।
দারোগা "নজমুল হক" কুল(বোড়ই) গাছের নিচেই,
প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই ঠাকুর মনের ভক্তিতে খালি।
আজও দেখি প্রায় থানাতেই থাকে এক মন্দির,
প্রশ্ন ওঠেনা পুলিশ নাকি অপরাধী, ঠাকুর কাদের?
ভক্তি ও ভরসায় যেই ধরুক না কেন ঠাকুরের হাত,
ভাবি, তার দ্বারা আর হবেনা কোনো খারাপ কাজ।
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, নাকি জৈন অথবা শিখ,
ভরসাই আসল কথা, ঠাকুর দেখেননা জাতপাত।
কিন্তু সবাই জেনো অন্যায় সহ্য করারও আছে সীমা,
তখন দেবতা দেবেননা সাড়া যতোই ডাকো বাবা-মা!
নিরীহ ছাগলদের ধ'রে হাড়িকাঠে দেওয়া হতো বলি,
তাতে কি আর কখনও, খুশি হতে পারেন মা কালি!
অন্যায় করছে বুঝলে মা মা বলে হাজার ডাকলেও,
মা শুনতে পারবেননা, হবেন কালা, হাসবেন খালি।
যেকোনো সময় নেমে আসতেই পারে তাঁর খাঁড়া।
মানুষ সাবধান! অন্যায় অত্যাচার আর করিস না,
যারা অতি দুর্বল, তাদের বাঁচানোর কথা ভাব, দাঁড়া।
বিজ্ঞান বলে নিজেকে বাঁচাতে রূপ পাল্টায় ভাইরাস,
মানুষও পারে নিজেকে বদলাতে, যদি থাকে বিশ্বাস।
