নিছক নকশা
নিছক নকশা
খয়েরি রঙের বেলুন ফাটাই,
তারই মধ্যে আবদ্ধ দেখি –
একঝাঁক কাদা-মাখা এলেমেলো শব্দ;
শুরু হয় তখনই,
হারিয়ে যাওয়া আলগোছে –
অথবা ভেসে যাওয়া শূন্যের সাগরে|
হাওয়া বিদীর্ণ করে,
ভেসে আসে পাখিদের ডাক;
পায়রার ঘোলাটে আমন্ত্রণে,
উন্মাদনা জাগে;
সরল রেখাগুলো,
ক্রমশ বাঁকা হয়ে যায়|
আকাশের গায়ে আল্পনা এঁকে,
নকশা করে মেঘ;
ঝাঁকে-ঝাঁকে সবুজ রং উড়ে আসে;
আল্পনার মতো নিজেদের সাজিয়ে,
গাছপাতা আঁকে –
হেমন্তের গন্ধ আসে|
বারান্দায় বসে মৌমাছি দেখি;
কোথা থেকে তখনই,
আগুন চুরি করে,
সোনালী রং ধরে ক্ষেতে;
কাশের পাখনা মেখে,
ভেসে আসে জলের কণা;
পরমাণুবিক প্রেম প্রকাশ পায়|
একমুঠো রাত এঁকে যায় চাঁদ,
তোমার চোখের কালোয়;
একটুকরো পৃথিবী,
হাতের মুঠোয় আল্পনা আঁকে;
তখনই আঙুলের ফাঁক দিয়ে –
সময়ের হাওয়া উড়ে যায় ভিনদেশে|
অবশেষে, সবশেষে,
হাতে পড়ে থাকে –
একফালি শূন্যতা,
খয়েরি রঙের বেলুনে|