কুমিরের মতো
কুমিরের মতো
গোধূলি বেলায় যখন সূর্য কাজের শেষে অস্ত যায়,
দেখেছো তো কি করে সে আকাশের মেঘকে রাঙায় !
পেটের জোগাড়ের কাজ হয়ে গেলে দিনের বেলায়,
কুমির ভায়া ডাঙায় এসে, আরাম করে রোদ পোহায়!
মানুষের জীবনের বিকেল যদি সেভাবেই রঙীন হয়,
তাহলেই তো, বাঁচাটা একদম স্বার্থক বলে মনে হয়।
কাজ করলেই ক্লান্ত হতে হবে তার কোনো মানে নেই,
ক্লান্তি আসবেনা মনে আনন্দ নিয়ে কাজ করলেই।
জবরদস্ত্ একখানা দারুণ ঘুম দুচোখে নেমে আসবে,
দুঃস্বপ্ন ঘুমের মাঝে উঁকি দিতে, নিশ্চয়ই ভুলে যাবে।
গহীন কালো রাত তো, একটা সময় ফুরিয়ে যায় ,
রোজ রোজ এই পৃথিবীতে নবীন সূর্যের উদয় হয় ।
সারাদিন আলো দেয়, ভালোবাসে, হাসায়-কাঁদায়!
সবাই তো তাই রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চায়।
ঘুমোনোর সময় বুক বাঁধে শুধুই সুদিনের আশায় !
দুঃসময় কেটে যায়, থাকতে হয় সময়ের অপেক্ষায়,
হয়তো কখনও কখনও তা, অসহনীয় মনে হয় !
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কি করে যেন সয়ে যায়।
সকাল যে হবে, এটা তো একদম জানা কথাই,
গাছের কাজ গাছ করবে, ফুল তো সে ফোঁটাবেই ।
ফল দিয়ে, শষ্য দিয়ে মানুষের সেবা ওরা করবেই।
যেন তেন প্রকারেণ সূর্যের আলোর ঋণ তো শুধবেই।
অবশ্য দিন রাত না হলে গাছপালা,পশুপাখি বাঁচবে ?
প্রকৃতির ভারসাম্য কি করে তবে বজায় থাকবে !
এভাবেই অভিনব সকাল সন্ধ্যে গুলো মন ভরাবে,
মানুষের পাশাপাশি জমির ধান, সর্ষে, গম ফলবে,
তাজা আনাজ পাতি বাজারে সকালে যখন আসবে!
ছোটো ছেলেমেয়েরা তেতো খেতে ভালো না বাসলেও,
বাড়িতে সবজির ঝাঁকায় উচ্ছের মতো করলা দেখে,
টিভির কুমিরের সাথে বড় করলার মিল খুঁজে পাবে।