কথামৃত
কথামৃত
আলপথ ধরে খেতে খেতে মুড়ি,
চলছিলো গদাই আকাশ পানে চেয়ে____
স্বপ্ন দেখে ঝুরি ঝুরি, সে যে সুন্দরের পূজারী।
রাখালের দল শুধায়, "ও ছেলে, যাচ্ছো কোথায়?"
সে কথা গদাইয়ের কানে না যায়,
কে জানে! রয়েছে সে যে কোন ভাবনায় !
হঠাৎ কিসের ঘোরে, পড়ে যায় মাথা ঘুরে,
না দেখলে তো পড়েই থাকতো পথের ধারে !
রাখালেরা নিয়ে যায় চ্যাটুজ্যে-বাড়ি কোলে করে।
ক্ষুদিরাম চ্যাটুজ্যের ছেলেকে যে সবাই চেনে,
গ্রামের লোকে রাখে তাকে, আদর দিয়ে মাথায় করে।
গান গেয়ে সে যে সকলের মন জয় করে!
ফুটফুটে সেই ছেলেটার কি সুন্দর ভদ্র ব্যাবহার ।
বড় হয়ে যখন গদাই রামকৃষ্ণ হলো,
বাংলার মানবেরা যখন তাকে জানলো !
তাঁর মুখের সহজ-সরল-ভাবময় কথাগুলো শুনলো,
মহামানবেরাও তাঁর গল্পে - কথায় মজলো।
অনেকেই তাঁর ভাবে প্রাণ, মন সঁপে দিলো,
নিত্য, মুমুক্ষু, মুক্ত, বদ্ধ জীবেদের কঠিন কথাও___
জেলেদের মাছ ধরার মতো সহজ মনে হলো।
নিজেদের জীবনের যাত্রা উন্নত করতে চেষ্টা করলো,
তাঁর অমৃত বানী সকলের অন্তর ছুঁতে পেরেছিল।
মাছেদের অন্তরের কথা বোঝার ছিলো যার সাধ্য,
মানুষ তো তাঁর কাছে মনের কথা খুলে বলতে বাধ্য।
মানুষ তাঁর দেখানো আলোতে পথ চলে
নিজেদের জীবনকে অমৃতময় করে তুললো।
মাস্টারমশাই তাঁর মুখের সোজা - সাপটা কথাগুলো,
ভাগ্যিস কষ্ট করে লিখে লিখে বই করে ছেপেছিলো!
"রামকৃষ্ণ কথামৃত"অনেকের মনে জায়গা করে নিল।