খেলার সাথী
খেলার সাথী
আমি তো এক ছোট্ট গাঁয়ের অচিনপুরের ছেলে,
কাঁদিনি তো কখনও খেলনাগাড়ি পাইনি বলে।
বিকেল বেলা পাশের গাঁয়ের স্কুলটা ছুটি হলে,
আদুর গাঁয়ে আনন্দেতে যাই যে ছুটে চলে।
ছোটন, শুভম, ঝিমলি, টিঙ্কু পাশের গাঁয়ে থাকে,
অপেক্ষা যে করছে ওরা গাঁয়ের পথের বাঁকে।
আমার গাঁয়ে শুধু প্রাইমারি স্কুল, ওদের আছে হাই,
পড়তে গিয়ে পেয়েছি বন্ধুও, এমন মজা আর নাই।
এখন আমি ক্লাস ফোর, আর কটা দিন রোসো ভাই,
দেখবে তখন কেমন ভব্য হয়ে এই পথ দিয়ে যাই।
বই, খাতা, কলম, পেন্সিল থাকবে আমার সাথে,
তখন কোনও টায়ার - টিউব রাখবো না গো হাতে।
এখন আমার ছুটির আমেজ রাখতে মনটা খুশি,
টায়ার টাকে সঙ্গী করে পথ চলতে ভালো বাসি।
আগে আগে চলে এটা, আমি চলি তার পিছে,
সারাটা সময় গল্প করি এমনি করেই মিছে।
কাঁচামিঠে আম ধরেছে দূরের ঐ একটা গাছে,
সবাই মিলে যাবো সেথা, ফুটো ঝিনুক পকেটে আছে।
গাছেও আমি ওদের চেয়ে উঠতে পারি ভালো,
তাই তো আমায় পেলে ওদের মুখে জ্বলে আলো।
যখন আমি উঠব গাছে, অথবা ছুলবো আম,
আমার এই টায়ার টারো বাড়বে আরো দাম!
কেউ না কেউ আমার মতোই করবে চেষ্টা ঠেলতে,
চলবে হেলেদুলে এটা কেমন গড়াতে গড়াতে।
হঠাৎ করে এটা যখন পড়বে ধপাস করে,
ঝিমলি রানীর মুখখানা তো উঠবে হাসিতে ভরে।
হতে পারি গরীব আমি ওদের সবার চেয়ে,
মনে মনে আমাকেই হিরো ভাবে ঐ মেয়ে।
বৃত্তি পরীক্ষা টা তো মন দিয়েই দিয়েছি,
হাই ইস্কুলে গিয়েও ফার্স্ট হতেই হবে পণ করেছি।
পুকুরে ঝাঁপিয়ে সাঁতার কাটাও মন দিয়ে শিখছি,
কাউকে ভেসে যেতে দেখলে চুপ করে থাকবোনা,
অমূল্য কিছু জীবন কি বাঁচাতে পারবো না?
