খড়ি
খড়ি
এখনকার নারী নাকি চোখের জল ফেলবে না আর,
পাকঘরের ধোঁয়ার চোটে চোখ তার জ্বলবেনা আর।
ওরা কেন দুপুর বেলা কাঁস্তে হাতে বেরোয় আবার?
কেটে সাফ করে দেয় যত সব বুনো কলমির ঝাড় !
কিছু তার মাথায় করে রোজ নিয়ে যায় নিজের ঘরে,
কিছু খড়ি আঁটি বেঁধে রেখে দেয় পরের দিনের তরে।
গুটি কয় বিমান চালায়, যায় ওরা আকাশ ফুঁড়ে,
বেশীরাই তো পড়ে আছে আজও ওরা সেই তিমিরে।
আধুনিক মানে কি ছেঁড়া জিন্স পড়া, শাড়ি ছেড়ে?
পোষাক সুবিধার জন্যেই, অন্যের নয় নিজের তরে।
পড়াশোনা করছে কি ওরা সব, কন্যাশ্রী পাবার পরে?
এবার ঐ বদনামটা ঘুচুক দেখি,
পি এন পি সি নাকি নারীরাই বেশী করে !
যেতে হয় নারীকে আজও বিয়ের পরে পরের ঘরে,
নারী কিন্তু কাজ করেই সারাটা জীবন পার করে।
নামটা তার হয়না মোটেই যদি রোজগার না করে,
লেখাপড়ার সাথেই এমন কিছু শিক্ষা যদি গ্রহণ করে!
সেধে টাকা পয়সা দিয়ে যায় লোকে তাদের ঘরে,
তবেই নারী বোধহয় বাঁচতে পারে মাথাটা উঁচু করে।
কুলো পেতে বিড়ি বাঁধাটা, নয় কোনো কাজের কথা,
বিড়ি শ্রমিকের পয়সা হয় কিন্তু মনে যে থাকে ব্যাথা।
জেনে শুনে মানুষের ক্ষতি করতে কে আর চায় !
কি করবে, যদি না থাকে টাকা রোজগারের উপায়?
আগে ওরা কেউ মনের সুখে বাড়িতেই বানাতো মুড়ি,
এখন মেশিনেই কাজটা যে সহজে হয়, ওরাও বুড়ি।
পপ কর্ণ তো ছেয়ে গেছে সারা পৃথিবীর বাজারেই,
উপকারি, এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লো ক্যালরি মুড়িকেই,
কটা দেশের লোক আর চেনে এই পৃথিবীতেই!
