কাগজের নৌকো
কাগজের নৌকো
প্রিয় চিঠি,
তোর নিয়ম মেনেই আজ আমি অনিয়মে স্বেচ্ছাচারী হলাম...!
পারলে কোন একদিন আমার বুকের কথাগুলোকে
কাগজের নৌকো করে দিয়ে যাস...!
কথা দিচ্ছি বড় আদর করে তাকে আমি
ইন্দুমতীর জলে ভাসাবো...!
কি অদ্ভুত, এখনো আমরা আমাদের জন্য
মহাবিশ্বের জরায়ুতে নিরাপদ ভালোবাসা খুঁজে বেড়াই..!
কথা ছিলো, মেঘালয় না হলেও তোর হৃদয়ের আবরণে
শরীর ভিজিয়ে মায়ার যন্ত্রণা নেবো.....!
যে সুখ ক্ষনিকের, সে-তো যন্ত্রণাই হয়, তাই না বল....?
দীর্ঘ সময় নিয়ে তোর হাতের আঙ্গুল নিজের হাতে রেখে
'ভালোবাসি'টা বলতে সুখের ভয়ে অস্থির হয়ে উঠবো...!
অথচ কালে প্রহেলিকায়,
আমাদের কলাপাতা রঙের অনুভূতিগুলো,
সময়ের শশাঙ্ক আলো ছুঁয়ে হাইড্রোলিক শব্দের ছলে মন-মৌমাছির মতো দামিনী বিধুর নিদ্রা হয়ে
উড়ে গেলো বায়বীয় স্বর্গের খোঁজে...!
আজকাল আর আগের মতো,
তোর নীল জামদানীর জানালায়
আমার শুভ্র মেঘের ঠোঁট ছোঁয়াতে
শীত ভেজা শরীরে শীশমহল বানাতে গিয়ে
একলা দুপুর পার করি না...!
আমাদের প্রিয় ভালোবাসাটা,
শৈশবের নিখোঁজ অহংকারের মতো
বোকা বনসাই হয়ে রইলো বুক পাঁজরের ঘাটে...
ইন্দুমতীর জলে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেলো,
সাধের পৌরুষের সাদা পাঞ্জাবীর গায়ে আঁকড়ে থাকা
তোর মন কেমন করা প্রথম লজ্জার লাল...!
ইতি তোর--
মেঘের কালি