কাবুলিওয়ালা ফতুর
কাবুলিওয়ালা ফতুর
আচ্ছা, রসগোল্লার মতোই কি বাংলা কবিতা !
কত জল ঘোলা হলো এ নিয়ে, কে যে আবিষ্কর্তা ?
ওড়িয়া আর বাঙালি তে টানাপোড়েন,
চললো প্রমাণ জোগাড়, এ নিয়ে হলো কত কথা!
বলছি ছোটোবেলায় পড়া হাট্টিমাটিম ছড়াটার কথা।
পড়েছিলাম চার লাইন, সাথে ছবি শিং ওয়ালা পাখি,
এখনকার গবেষকদের আলোচনায় খুললো আঁখি।
বলছেন কেউ কেউ শামুক এর কথা ভেবে নাকি,
কবিতাটি লিখেছিলেন সুকুমার রায়।
কেউ কল্পনা করেন সুকুমার রায়ের ছড়া চার লাইন,
অনুপ্রাণিত হয়ে রোকনুজ্জামান খান,
লিখে ফেলেন বাকি আটচল্লিশ লাইন।
কথাটা শুনে পুরো সুকুমার সমগ্র, ফেললাম ঘেঁটে,
কিন্তু এই কবিতাটি কোথাও পেলাম না খুঁজে মোটে।
সন্দেহ দানা বাঁধলো এবার আমার মনে,
গল্পটা করতেই হলো ছেলের সনে।
চোখে আঙুল দিয়ে ছেলে দেখালো,
ভুমিকা টা বইয়ের এইবার পড়ে ফেলো।
ওমা! সে কি কান্ড! সুকুমার রায়ের ছেলে সত্যজিৎ
স্বয়ং বলছেন হাট্টিমাটিম চরিত্র প্রাক সুকুমার যুগের।
কে যে কাবুলিওয়ালা! বুঝছিনা কিছু কি হবে এবার!
কি করে নেবো আমি ঝুলির খবর সবার?
দাদাভাই এর জন্ম উনিশশো পঁচিশ সালে ফরিদপুর,
আঠারোশো সাতাশী সালে সুকুমার রায় জন্ম নিয়ে,
উনিশশো তেইশ সালে চলে গেছেন ______
তিনি এই পৃথিবী ছেড়ে বহুদূর।
উনিশশো বাষট্টিতে কবিতাটি বর্ধিত আকারে!
ছাপা হয় শিশু সাহিত্যিক রোকনুজ্জামান এর নামে।
দাদাভাই থাকলে জিজ্ঞেস করা যেতো বটে,
কিন্তু উনিও চলে যান
উনিশশো নিরানব্বই সালে পরপারে।
হয়তো মুখে মুখেই ফিরতো চার লাইন এর
এই ছড়াটা মানুষের মাঝে অনেক বছর,
কে যে বানিয়ে ছিলেন ! কে আর তার রাখে খবর !
কবিতা তো নয়, যেন জীবন এক কাবুলিওয়ালার,
সবাইকে আনন্দ যোগাতে গিয়ে নিজেই হলো ফতুর।
