জ্যোৎস্না
জ্যোৎস্না
চাঁদ উঠেছে, ফুল ফুঁটেছে কচু বনে তে,
পাল্লা দিয়ে আলো ছড়ায় ওরা যে কয়েক রাতে।
বোকা ঐ চাঁদ বিষাদে দিনে দিনে রোগা হয়ে যায় ,
কচু ফুলটাও মলীন হয়ে দুদিনেই ঝরে যায়,
কি জানি কেন যে ওদের নিজেদের একা মনে হয় !
থাকে চাঁদটা সূর্যের পাশে পাশে অমাবস্যায়,
তাই তো ওকে একটুও দেখা না যায়।
সূর্যের প্রখর আলোয় ও যে মৃয়মান হয়ে রয়,
হাজার তারার মাঝে উজ্জ্বল হয় রাতে পূর্ণিমায়।
মাঝে মাঝে মেঘেরাও ভেসে চলে চাঁদের পাশে,
ঘুরে বেড়ায় চাঁদটাও বেশ দেশে ও বিদেশে।
কত খোকা খুকু মনে মনে চাঁদের দেশে দেয় পাড়ি,
সকাল হলেই ফিরে আসে আবার নিজেদের বাড়ি।
যে যখন দেখে ঐ আকাশের চাঁদ টা কে,
প্রেমিকযুগল অথবা হয়তো কোনো কবি!
তোমার, আমার বলে বলে আনতে চায় এই ধরায়।
ভেবে কি দেখেছে কখনো যদি সত্যিই চাঁদ এসে যায়!
কত বড় অঘটন ঘটতে পারে এই পৃথিবীতে,
টিকবে কি পৃথিবীটা তখনও কোনও মতে?
তাই মনে হয়, চাঁদকে দূরের আকাশেই ভালো মানায়,
শুধু এইটুকু বুঝতে হবে যে চাঁদটা কখনও একা নয়।
কচুগাছ সুন্দর নরম জোৎস্না রঙের ফুল ফোঁটায়,
বাগান আলো করে সে ফুল কাদের মন ভোলায়!
কোনও দাম নেই ওই ফুলটার ফুলের বাজারে,
হালকা হলুদ ওই ফুল, ফুলদানিতে কেউ না সাজায়।
ঠাঁই হয়না ওর কোনও দেবতার পায়!
অথচ একা ফোঁটে বলেই কচুবন আলো হয় ।
অন্ধকার রাতে জোছনার যেমন দাম আছে,
কচুবনও তেমনই কচু ফুলকে ভালবেসেছে।