জল ঢালা ভাত
জল ঢালা ভাত
দিনান্তে পান্তা ফুরানোর পর,
যদি কিছু বেঁচে থাকে-
তা হল,জল ঢালা ভাত।
আমি জানতে চেয়েছিলাম,
সবদিন জল ঢালা ভাত খাওয়ার কি প্রয়োজন?গরমকালে ভালো হলেও শীতকালে ঠান্ডা লেগে যাবে।
দুপুরে-রাত্রে গরমভাত অল্প হলেও ভালো।
উত্তর পেয়েছিলাম,
জল ঢেলে ভাত খেলে চালের খরচ কিছু কম হয়।
যে কটা বেঁচে যায়,সেটা পান্তা হিসেবে খাওয়া হয়।
এটা কৃপণতা?
নাকি মধ্যবিত্তের কান্না?
সে হিসেব করার আগে স্মৃতি রোমন্থনে ফিরে পাই,
মধ্যবিত্ত সবাই এক না একদিন সেই স্বাদেই কাটিয়েছে দিন।
অল্প নুন-লঙ্কা-পেঁয়াজ কুচি সহযোগে আলুর টুকরো বা চুনোমাছ চটকানো হলে মন্দ হয় না!
পাস থেকে কেউ যেনো বলে উঠে,সঙ্গে দুমুঠো মুড়ি হবে?
চুয়া মুড়ি হলে আরও ভালো হয়।
পান্তাভাতের সাথে দুটি মুড়ি হলে আরও ভালো হয়।
কষ্টের কথা ভুলে অমৃতের স্বাদ,সত্যি ভোলা যায় না।