ভবিষ্যতের কথা ভেবে
ভবিষ্যতের কথা ভেবে
সত্যি কথা বলতে কি,
পৃথিবীর সবাই দূরে সরে গেলেও বাবা-মা,
ঠাকুমা-দাদুদের কাছ থেকে আমাদের সরে যেতে নাই।
দূরে কিংবা কাছে,
কায়া কিংবা মায়ায় থাকতেই হবে কাছে।
ছোটবেলা থেকে আজ অবধি তারাই ছিল পাশে।
জন্ম-হামাগুড়ি-হাঁটাহাঁটি-পা-পা,পড়াশোনার শুরু থেকে।
বড্ড সেকেলে লাগে একথা জানি অনেকেরই কাছে।
তবু মর্ম গভীরে লুকানো কিছু কিছু থাকে,
সেকাল-একাল বলে কিছু নেই,কিছু কিছু সদা সত্য হয়।
যেমন করে সৌরজগত ঘোরে,নির্দিষ্ট কক্ষপথে,
যুগ যুগ ধরে।
মনোমালিন্য,কথাকাটাকাটি,যুক্তি তর্ক যত,
কখনও অপ্রয়োজনীয় কখনও বা খাঁটি।
এই অজুহাতে প্রিয় জন ছেড়ে দূরে পাড়ি দেওয়া?
নৈব নৈব চ!
দূরে গেলেও শেকড়ের টান যেনো থাকে মাটির গভীরে ছড়ানো।
নাবালক থেকে সাবালক হলে,হয়তো স্বাবলম্বী হওয়া যায়!
কিন্তু ওনারা পাশে না থাকলে,
একাকীত্ব গ্রাস করে,বড্ড অসহায় লাগে।
দাজ্জাল স্বামী/স্ত্রী জুটিলে জীবনে বাঁধন কিছুটা আলগা হয়।
সেতো ওপরে ওপরে,
গভীরে যে শেকড় শক্ত করে আঁকড়ে রেখেছে ধরে,
কার সাধ্য তা আলগা করে।
যদি আমরা না চাই!
"অবাধ্য সন্তানও শেষ সময়ে,
তার সন্তানের থেকে সেবা-যত্ন-সঙ্গ চায়।
না পেলে,সন্তান-স্ত্রী/স্বামী র নিন্দায় মগ্ন হয়।
অতীত ভুলে নিজে ভালো হতে চায়।
রক্তের তেজ কমে গেলে জীবন স্তিমিত হয়।
তখন প্রিয়জন নির্ভরশীলতা ছাড়া উপায় নাই।
সন্তান,বৌমা,নাতি-নাতনি ছাড়া কোন গতি নাই।"
অন্তত এই কথাগুলো ভেবে বেয়াড়া, অবাধ্য, সন্তান-
কারও সন্তানের অবাধ্য জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনী হতে নাই।