আগমনী
আগমনী
স্নিগ্ধ সকাল,
শিশির ভেজা দূর্বা;ধুয়ে দেয় পা।
ঘন কালো বর্ষার মেঘ-
পেঁজা তুলার বেশ ধরে শরতের গান গায়,
নীল আকাশে শরৎ ভেলা সাজায়।
জানান দেয়, মা আসবে বাপেরবাড়ি!
সবুজ ভরা মাঠে উঁকি দেয় নবান্ন;
হাওয়ায় দোলায় মাথা।
গাঙ চিল, বক,শালিকের দল শরতের গান গেয়ে যায়।
কাশফুলের দল বাতাসে দুলায় মাথা,
শান্ত কুবাই নদীটির তীরে।
বৃষ্টি শেষের ঘোলাটে জল বয়ে চলে কুলকুল রবে।
সূর্যাস্তের পর,হিমেল বাতাস ছুঁয়ে যায় শরীর।
জানান দেয়,হিমাদ্রি আগত!
দিনের ক্লান্তি ছাড়িয়ে আলিঙ্গনে ব্যস্ত ঘুম,
নিশি রাত মায়াবী আরো শিউলি ফুলের গন্ধে।
ঝরে পড়া শিউলি তারাগুলো সযত্নে কুড়ায়,
বাড়ির ছোট্ট সোনা মেয়ে।
চৌকাঠে চন্দনে ডোবানো টিপি ফলের টিপ দিতে দিতে-
মহালয়ার ভোরে আগমনীর সুরে গেয়ে ওঠে আমার জননী,
এসো মা দুর্গা,বস ঘরে।
আমারই ঘরে থাক আলো করে।।
রেডিওতে বেজে ওঠে,
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা,
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।
যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা,
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।
মন্দিরে মন্দিরে,
শঙ্খধ্বনী-ঢাকের শব্দে উচ্চারিত হয় বেদমন্ত্র।
সর্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরি নারায়নী নমস্তুতে।।
ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী।
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমো হ স্তুতে।।