জীবনচারণ
জীবনচারণ


মানবী তুমি,
প্রতিদিনের দাবানলের আগুনে পুড়ে আবারও বাঁচো,
লেলিহান শিখার দগ্ধতায় আত্মশুদ্ধিতে থাকো যেমন!
মাঠের বিচালির শূন্যতাতেও গভীর স্বপ্ন আঁকো তেমন।
মানবী তুমি,
ঈশ্বরী খোঁজো জীবনের পলে পলে, ভীষণ আঁধার রাতে,
একাকী যুদ্ধজয়ের শেষে কালের টীকা পরো কপালদেশে,
আলোর রোশনাই ছড়াও নক্ষত্রের মহাবৈঠকী সমাবেশে।
মানবী তুমি,
বিধ্বংসী জীবনশেষেও আশার আলো হাতে দাঁড়াও,
নতুন কোনো এক মানবিকতার অহনা আলোর দ্বারে,
কোলে তোলো বেঁচে যাওয়া মনুষ্যত্ব অস্তিত্ব সমাহারে।
মানবী তুমি,
বিকেলবেলার মেধাবী রোদ মাখো প্রণত ভালোবাসায়,
গোলাপ কাঁটার বিক্ষতেও পেলব পরশ খোঁজো বিশ্বাসের,
নিঃশর্ত অমায়িক সেতুর দৃঢ় বন্ধন বাঁচাও আজীবনের।
মানবী তুমি,
তুমি এমনই,যুগে যুগে উত্তরকালের কাছে মনোময়ী,
নিবিড় পরিচয়ের পাতাটায় লিখে যাও সৃষ্টির সাতকাহন,
মেদিনী মায়ের কোলেতে এক মানুষীর সহজ জীবনচারণ।