জীবন না মৃত্যু?
জীবন না মৃত্যু?
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশু কাঁদে পৃথিবীর স্পর্শ পেয়ে;
কেন কাঁদে কেউ জানেনা, নিঃশ্চুপ বোধে তাকে কে করেছে আঘাত, অচেনা এই পৃথিবীর আলো, আঁধারে চোখ মেলে সে কি যেন কি খোঁজে। কি যেন কি চায় নিস্পাপ অসহায় শিশু।
ধীরে ধীরে অবুঝ প্রাণ খুঁজে পায় স্নেহমাখা বুক, অনাবিল শান্তির স্পর্শ , নতুন পৃথিবীর বিবিধ বর্ণ রূপ, রস, গন্ধ আর দুগ্ধ জলের স্বাদ,
ফুটন্ত ফুলের হাসি ছুঁয়ে যায় তার নিস্পাপ সুন্দর চোখ, বিচিত্র সুরের অনুরণনে সুপ্ত চেতনায় জাগায় জীবনের স্পন্দন।
জানেনা সে শিশু সাথে নিয়ে এসেছে আজন্ম শত্রু তাঁর মৃত্যু যার নাম, পথে পথে ফাঁদ পাতা তার; নানা রূপে দেয় সে হানা এটাই তার খেলা,
সে সাথে নিয়ে এসেছে আরও হাজার স্বপ্ন বীজ তার উর্বর মস্তিস্কের আনাচে কানাচে আর নশ্বর জীবনের পান্থশালায় ঘর বাঁধার অবাধ্য আকর্ষণ ।
সময়ের আপন খেলায় তাঁর এক বিন্দু ভালবাসা অজান্তেই অঙ্কুরিত হয়ে প্রাণের গভীরে শিকড় গেড়ে ডালপালা মেলেছে অবাধ ভালবাসায়
সৃষ্টি,ধ্বংস আর আনন্দ বেদনার বহমান আবর্তে। একটু একটু করে পূর্ণতা পেল ক্ষুদ্র দেহ মন পূর্ণতা পেল অবুঝ অনুভব প্রকৃতির মায়াবী স্পর্শে ।
পায়ে পায়ে ফুরায় পথ, ভাঙে পথিকের সুশোভিত দেহ , ফুরায় প্রাণের উচ্ছাসের প্লাবন, ফুরায় স্বপ্ন দেখার সীমানা, শুধু ফুরায়না পৃথিবীর মোহ,
ফিরে ফিরে চায় ফেলে আসা পথের পানে ক্লান্ত পথিক; হাতছানি দিয়ে ডাকে
এখানে সেখানে বুনে আসা ভালবাসা বিনি সূতোয় বাঁধা যা অলক্ষ্যে অন্তরে।
