জাগ্রত হোক মানবতা
জাগ্রত হোক মানবতা
আজই সেই দিন
বড় বড় রাষ্ট্রনেতার দল
যারা দম্ভের, যারা অহংকারের
প্রমাণস্বরূপ ফেলেছিল এটম
হিরোশিমা নাগাসাকিতে।
উন্মত্ত হয়েছিল আনন্দে তারা,
অহংকারের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে
ঘটাতে সক্ষম হয়েছ তার জন্য।
আর তাই নিশংস অত্যাচারেও
ওরা হেসেছে আনন্দ পেয়েছে সেদিন।
অথচ কতো, কতো মায়ের কোল
খালি করে সেদিন চলে গিয়েছে
কত শিশু,কত যুবক, কত মানুষ।
সেই দেশটা প্রায় একযুগ পিছিয়ে গিয়েছিল
পিছিয়ে গিয়েছিল সেদিন
আর ওই রাষ্ট্রনেতারা ভেবেছিল
জাপান হয়তো কোনদিন,
আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।
হয়নি হয়নি তা, ধীরে ধীরে তারা; দেশমাতৃকার প্রেম, দেশ পিতৃকার ভালোবাসাতেই
ধীরে ধীরে তারা পুনরায়; গড়ে তুলেছিল তাদের দেশকে।
অথচ আজও সেই রাষ্ট্রনেতারা
তাদের দম্ভের,তাদের অহংকারকে
প্রতিপন্ন করিবার জন্য গোপনে তারা অভিসন্ধি খাটিয়ে চলেছে আজও।
হে ঈশ্বর,হে পরমেশ্বর; তুমি এদের -
শুভবুদ্ধি দাও, মনুষ্যত্ব বোধ দাও;
এই অহংকার, এই দম্ভ,এই দাম্ভিকতায় মানুষ তার সন্তানকে হারায়।
কিন্তু মানবিকতা তাও,
তাও কি হারাতে পারে!
তবু কেন দেখতে হয় আজও
যুদ্ধে বোমায় পরমাণু অস্ত্রে
লক্ষ লক্ষ মানুষ লুটিয়ে পড়ে মাটিতে ;
হারায় সামান্য খাদ্য টুকুও।
হে ঈশ্বর তুমি এদের শুভ বুদ্ধি দাও,
মানবতাবোধ তাদের জাগ্রত হোক ;
তাদের কঠিন মানসিকতায়;
সেখানে ফুটুক ঈশ্বরের ভালোবাসা,
সত্য ও সুন্দরের ভালোবাসা।
