ইগো
ইগো
সারাদিনের খাটুনির মাঝে খাবার তো চাই,
বাড়ি থেকে সকলের পক্ষে টিফিন আনা সম্ভব নয়।
তাই যদি ক্যাফেটরিয়া থাকে অফিসেই,
খুব সুবিধে হয় তাতে অনেকের ক্ষেত্রেই।
খেতে গিয়ে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে টেবিলে বসে একসাথে,
একে অন্যের ভরসায় হয়তো কিছুটা পথ চলে___
ভরসার হাত রেখে আরেক জনের হাতে।
কিন্তু এখানেও মনের মাঝে গড়ে ওঠে দেয়াল নানা,
কারো হয়তো পয়সা বাঁচানো বেশী জরুরী,
ভালো ভালো খাবার চোখে দেখেও খাওয়া হয়না।
এক কাপ চা বা কফি নিয়ে চুপচাপ কাটায় সময়,
পেটে ছুঁচোয় মারছে ডন, অথচ মনে খরচের ভয়।
কারো কারো ক্ষেত্রে তো সেটুকুও হয়না,
চা কফির পয়সা বাঁচিয়ে বাড়িতে পাঠাতে হবে টাকা,
কাজের মাঝেও সেকথাটা কিন্তু সে ভুলে যায়না।
ক্যাফেটেরিয়াতে ভুলেও তাই সে চুপি দেয়না !
সহকর্মীরা হয়তো তাকে খুব কিপটে ভাবে,
কেউ তো তার মনের কথা জানতে চায়না।
শরিরটা যে ভালো রাখতে হবে এটাতো জানা কথা,
দেহের ভেতরের কলকব্জা যেন না পায় ব্যাথা।
চা-কফি-খাবার যখন সামনেই আছে সাজিয়ে রাখা,
অনেকে বেশ নিজেরাই নিয়ে যায় বন্ধুকেও সেথা।
হয়তো তারা বোঝে অন্যের মনের কথা !
এই কাজটা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে করে,
মনে ভাবে সহকর্মীও বন্ধু! ওর মনের খবর রাখা,
সবুজ পেঁয়াজ কলির মতোই মনটাকে সতেজ রাখা,
এও গুরুত্বপূর্ণ কাজ! নয় উদাসীন অন্যদের মতো !
এতেও আবার বাঁধতে পারে গন্ডগোল যতো!
ইগো বা আত্মসম্মান বোধ অনেকের বেশী জাগ্রত,
লক্ষ্য রাখতে হয়, তা যেন না পায় ব্যাথা।
ডাকেতে দয়া নয়, ডাকটা যেন হয় নরম আদর ভরা,
আন্তরিকতা যেন সদাই উপস্থিত থাকে সেথা।
