ইচ্ছেঘুড়ি
ইচ্ছেঘুড়ি
উড়ছিলাম আকাশে বেশ....
সূর্যরশ্মি গায়ে মেখে নিয়ে,
মেঘেদের ঘ্রাণ নিতে নিতে দেখি,
একঝাঁক পাখি উড়ে যাচ্ছে
আমার পাশ দিয়ে,
ভাবলাম ওদের মত মুক্ত আমিও,
মিশে যেতে চাইলাম ওদের দলে।
হঠাৎ সুতোয় টান পড়ল....
হিড়হিড় করে টানতে টানতে আমায়
নামিয়ে আনলে, মেঘেদের সিঁড়ি বেয়ে
রুক্ষ্ম ধূসর মাটিতে....
চিৎকার করে কাঁদতে চেয়েছিলাম জানো?....
কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
আমার কান্নার সব ফোঁটাগুলো,
সুতো বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে,
মিশে যাচ্ছিল তোমার লাটাইয়ে.
বুঝলাম তখন, আমি ছিলাম,
তোমার ইচ্ছেঘুড়ি.
সমাজের নিয়মে ,যুগ থেকে যুগ,
ইচ্ছেঘুড়িরা এভাবেই আকাশে ওড়ে,
অন্যের নিয়ন্ত্রণাধীন অনুভূতিতে,
সওয়ার হয়ে
যে মানতে চায় না,সে গাছেই আটকে
থাকে বা কোন বৈদ্যুতিক তারে,
বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে
সমাজের মাটিতে আর ফেরা হয় না তার.
কি দেবরাজ ইন্দ্র , কি ঋষি গৌতম,
কেউ কি বুঝতে চেয়েছিল?.
অহল্যারও আছে মন.